বিবাহ বন্ধনে জড়িয়েছেন বলে কোনও খবর নেই। তবে তাঁর সঙ্গে নাকি মনে মনেই বিয়ে সেরে ফেলেছেন এক মডেল ও নায়িকা। শুধু মনে মনে বিয়ে সেরেই তিনি ক্ষান্ত হননি। শ্রেয়সের সন্তানের মা-ও তিনি। এমনটাই তাঁর দাবি। এত পর্যন্ত পড়ার পরে অনেকেরই চোখ কপালে উঠতে পারে। প্রশ্ন জাগতে পারে কে এই নায়িকা? এই মডেল কাম নায়িকার নাম এডিন রোজ। দুবাইয়ে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। ‘বিগ বস ১৮’তাঁকে দিয়েছে পরিচিতি। এক অনুষ্ঠানে এসে তিনি শ্রেয়সের সঙ্গে বিয়ে ও তাঁর সন্তানের মা হওয়ারও খবর শোনালেন। একটি ইউটিউব চ্যানেলে রোজ বলেছেন, ” আমি যে শ্রেয়স আইয়ারকে পছন্দ করি, সেটা ‘বিগ বস’–এ প্রথম থেকে সবাই জানে। অনেকবার বলেছি। এমন না যে প্রচারের জন্য বলেছি। শ্রেয়সকে ভাল লাগে। ভাল লাগার কথাই বলেছি।” সঞ্চালক এই নায়িকাকে প্রশ্ন করেন, ”আপনি নিজেকে শ্রেয়স আইয়ারের স্ত্রী হিসেবেও দাবি করেছেন।” এই প্রশ্নের জবাবে রোজ বলেন, ”আমি বিশ্বাস করি আমি শ্রেয়সের সন্তানের মা। মানসিকভাবে আমি শ্রেয়সের সঙ্গে বিয়ে সেরে ফেলেছি।” রোজের মতে বিরাট কোহলি-অনুষ্কা শর্মার জুটি আদর্শ। তিনি বলেছেন, ”ওদের মতো সুন্দর, ন্দর, একে অপরকে সম্মান করা জুটি আমি আর দেখিনি। যদি কাউকে বলি, আমি কেমন বিয়ে চাই, আমি বিরাট-অনুষ্কার কথাই বলব।”
পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ছবি ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’-তে ‘বিনোদিনী’ হবেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। এই ঘোষণা আগেই হয়েছিল। সৃজিত সাফ জানিয়েছিলেন শুভশ্রীকে ‘বিনোদিনী’ হিসাবে ভেবেছিলেন চার বছর আগে। তাঁর কথায়, “ওই আমার প্রথম পছন্দ ছিল। কোনও কারণে সেটা হয়ে ওঠেনি। এখন আমি আমার প্রথম পছন্দকেই পাচ্ছি জগন্নাথের ইচ্ছায়।” নিজেকে ‘বিনোদিনী’ রূপে গড়ে তুলতে কেমন প্রস্তুতি চলছে শুভশ্রীর? এর উত্তর নায়িকার সমাজমাধ্যমে চোখ রাখলেই পাওয়া যাচ্ছে। কিছুদিন আগে ‘নটী বিনোদিনী: আমার কথা’ বইটি পড়তে দেখা যায় শুভশ্রীকে। বোঝাই যাচ্ছে, ‘বিনোদিনী’ নিয়ে ইতিমধ্যেই পড়াশোনা শুরু করেছেন শুভশ্রী। চরিত্রটি নিজের মতো করে গড়ে তুলতে জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। সূত্রের খবর, শরীরচর্চাতেও জোর দিচ্ছেন তিনি। বদল এনেছেন ডায়েট চার্টেও। বড়পর্দায় ফুটিয়ে তোলার জন্য পুরোদমে মঞ্চে মহড়ায় ব্যস্ত অভিনেত্রী। কখনও দর্শকাসনে বসে, কখনও আবার মঞ্চে উঠে শুভশ্রীকে চরিত্রের খুঁটিনাটি বুঝিয়ে দিচ্ছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। সমাজমাধ্যমে এই ছবি ভাগ করে নিয়েছেন ছবির প্রযোজক রাণা সরকার। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমি দেখিনু গৌরাঙ্গ চান্দে। ও রুপ দেখিয়া আকুলি-বিকুলি, পরিলাম পিরিতি ফান্দে। সিনেমাকে প্রেমিকার মত সাজাই, যত সাজাই তত সুন্দর লাগে, আরও প্রেম বাড়ে, আরও সাজাই, আরও আরও অন্তহীন এই অ্যাড্রিনালিন রাশ ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ সিনেমার রিহার্সাল থেকে।’
“ডুয়া লিপার সঙ্গে গান নয়… সন্তান চাই!”এই এক লাইনের মন্তব্যে চরম বিতর্কে জড়ালেন বাদশা। এই মন্তব্য ঘিরে যেমন অনেকে হতবাক, তেমনই অনেকেই বলছেন এটা কোনও রসিকতা নয়, বরং একেবারে স্পষ্ট যৌন ইঙ্গিত!
সম্প্রতি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ বাদশা ডুয়া লিপার একটি পোস্টে হার্ট ইমোজি দেন। এক নেটিজেন তখন জিজ্ঞেস করেন, “আপনি কি ডুয়া লিপার সঙ্গে কোনও গান বানাচ্ছেন?” উত্তরে বাদশা লিখে বসেন “ভাই, ওর সঙ্গে গান না, বাচ্চা বানাতে চাই!”
বাদশার এহেন মন্তব্যের পর সমাজমাধ্যমে শুরু হয় প্রবল সমালোচনা। কড়া নিন্দার মুখে এরপর বাদশা লিখেছেন “আমি মনে করি, কোনও মহিলাকে আপনি যদি সত্যি সম্মান করেন, তবে তাঁকে নিয়ে সন্তানের কথা ভাবা এটাই সবচেয়ে সুন্দর কমপ্লিমেন্ট। এটা আমার চিন্তা নয়, এটা তোমাদের চিন্তা, যেটা সামনে এসেছে।” কিন্তু বাদশার এই ব্যাখ্যা আরও উসকে দিয়েছে ক্ষোভ!
একজন মন্তব্য করেন“তুমি ভাবছ তোমার জিন এত মূল্যবান যে সন্তান নেওয়া উচিত? এটা কমপ্লিমেন্ট নয়, এটা হ্যারাসমেন্ট!”
আরও এক মহিলা লিখেছেন“একজন নারীর মূল্য কি শুধু মা হওয়ার যোগ্যতা দিয়েই মাপা যায়? এটা একেবারেই যৌনগন্ধী, যৌন ইঙ্গিত! কোনও প্রশংসা নয়।”
কেউ আবার বলেন“তোমার প্রচার টিম বুঝি জোর করে বলিয়েছে এসব?”
একজন মহিলা তো কড়া ভাষায় লেখেন “আমি একজন মেয়ে, আর আমি কখনওই চাইব না কেউ আমার এই ধরনের ‘প্রশংসা’ করুক। দু’জনের মধ্যে সম্মতি ছাড়া এটা একটা জঘন্য ইঙ্গিত!” ডুয়া লিপা বর্তমানে একটি স্থিতিশীল সম্পর্কে রয়েছেন। এমন অবস্থায় বাদশার এমন মন্তব্য অনেকের চোখে অপমানজনক ও পুরুষতান্ত্রিক। নেটিজেনদের মতে, মেয়েদের প্রতি সম্মান দেখানো মানে সন্তান চাওয়া নয়, বরং তাদের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দেওয়া।
মাইকেল জ্যাকসনের ‘ভারত সফর’-এর স্মরণীয় সেই মুহূর্তের অন্যতম সাক্ষী শুধু নয়, অংশীদারও ছিলেন অভিনেত্রী সোনালী বেন্দ্রে! ২৯ বছর পর মুখ খুললেন নায়িকা, বললেন— ‘ স্রেফ একটি শর্তে রাজি হয়েছিলাম বিমানবন্দর থেকে মাইকেল জ্যাকসনকে বরণ করার প্রস্তাবে।’ স্মৃতির সরণিতে ফিরে গেলেন ‘সারফারোশ’ অভিনেত্রী। জানালেন কীভাবে মুম্বই বিমানবন্দরে ‘কিং অফ পপ’-এর তিলক-আরতির দায়িত্ব এল তাঁর কাঁধে! ১৯৯৬ সালে ভারতের মাটিতে পা রেখেছিলেন বিশ্বখ্যাত পপ তারকা মাইকেল জ্যাকসন। তাঁর ঐতিহাসিক ‘হিস্ট্রি ওয়ার্ল্ড ট্যুর’-এর অংশ হিসেবেই তিনি এসেছিলেন মুম্বইয়ে। আর সেই মুহূর্তে যিনি তাঁকে ভারতীয় রীতিতে স্বাগত জানিয়েছিলেন— তিনি আর কেউ নন, অভিনেত্রী সোনালী বেন্দ্রে। দীর্ঘ ২৯ বছর পর সেই বিশেষ দিনের পর্দার আড়ালের গল্প ফাঁস করলেন অভিনেত্রী নিজেই। ‘আমি তিলক পরিয়ে আরতি করেছিলাম এমজে-এর, তবে একটা শর্তে’— এক সাক্ষাৎকারে অকপট হলেন সোনালী। কীভাবে এল সুযোগ? সোনালী জানান, রাজ ঠাকরে-র স্ত্রী শর্মিলা ঠাকরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শর্মিলার মা এবং সোনালীর মাসি ছিলেন দীর্ঘদিনের বান্ধবী। সেই সূত্রেই শর্মিলা সোনালীকে বলেন, “তুমিই মাইকেল জ্যাকসনকে স্বাগত জানাও।” প্রথমে একটু দ্বিধা থাকলেও, সোনালী রাজি হয়ে যান— কিন্তু একটা শর্তে! সোনালীর সাফ কথা ছিল— “আমি রাজি আছি, তবে আমি এবং আমার বন্ধুবান্ধবদের জন্য শো-এর সবচেয়ে ভাল আসনের টিকিট চাই। আমি আর আমার বোন, তার বন্ধুরা— সবাই মিলে জমিয়ে জ্যাকসনের সেই শো উপভোগ করেছিলাম। সেই টিকিট পাওয়ার আনন্দেই আমি অভ্যর্থনা জানিয়ে বরণ করার কাজটা করেছিলাম।” একটি ঐতিহ্যবাহী নব-গজের শাড়ি পরে, হাতে আরতির থালা আর কপালে তিলক— এভাবেই সোনালী মুম্বই বিমানবন্দরে স্বাগত জানিয়েছিলেন মাইকেল জ্যাকসনকে। ভারতের সংস্কৃতিকে বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করেছিলেন অনবদ্যভাবে। প্রসঙ্গত, সেই সময় সোনালী ও রাজ ঠাকরের সম্পর্ক নিয়ে নানান গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। এই প্রসঙ্গে সোনালী স্পষ্ট বলেন— “এসব প্রসঙ্গে কথা তোলাটাই খুবই কুরুচিকর। এসব বিষয়ে তো একাধিক পরিবারও জড়িয়ে থাকে। এভাবে কথা বলা ঠিক নয়।”
এক মাস মুম্বই শহরে কাটিয়ে অবশেষে কলকাতায় ফিরলেন অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য। জন্মদিনের আগের দিন শহরে আসা, তবে শুধুমাত্র কাছের মানুষদের সঙ্গে জন্মদিন কাটানো একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। সঙ্গে সুখবর নিয়ে এলেন তিনি। এই সুখবরের পর থেকে তাঁকে শুধু অভিনেতা বললে অবশ্য একটু ভুল হবে। কারণ এবার অভিনেতা নীল হয়ে উঠলেন গায়ক। জন্মদিনের ঠিক আগের দিন অর্থাৎ ৭ জুন মুক্তি পেল নীলের গাওয়া প্রথম হিন্দি গান। গানের নাম ‘টাল্লি’। বন্ধুবান্ধবের আড্ডা এবং সেই আড্ডাকে ঘিরে নানা মজার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এই গান। নতুন প্রজন্ম এই গান শুনতে পছন্দ করবেন। নীলের জন্মদিনের রাতেই এই গান ছুঁয়ে ফেলল প্রায় ১০ লক্ষ্য ভিউ। নতুন শহরে একা থাকা নিয়ে নীল এদিন বলেন, “আমি আগে কখনও একা থাকিনি। তাই নিজেকে গুছিয়ে নিতে তো অসুবিধা হচ্ছেই। তিন-চার মাস একটা ট্রেনিং এর মধ্যে থাকব, তারপর দেখা যাক কি হয়।” নীলের গান শুনে তৃণা বলেন, “কলেজ লাইফ থেকেই আমি ওকে বলতাম গান গাইতে। কারণ নীল বরাবর খুব ভাল গান গায়। তাই আমি দারুণ খুশি।” এক মাস পর নীলকে দেখে প্রথম কী অনুভূতি হল তৃণার? কিছুক্ষণ চুপ থেকে তৃণা জানালেন, “আমার মাথা কিছু কাজ করছে না, অনেকদিন পর দেখলাম তো।” জন্মদিনের পার্টির আয়োজন একা হাতে করেছেন তৃণা। এছাড়াও নীলের পছন্দের একটি ঘড়ি উপহার দিয়েছেন তিনি। তিন-চার দিন এই শহরে থাকবেন নীল। পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে সময় কাটানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে অভিনেতার। এখনই নতুন কোনও কাজে ফেরার কথা ভাবছেন না নীল। তবে সময় নিচ্ছেন, আরও দক্ষ অভিনেতা হয়ে ওঠার জন্য।
মাত্র ১৪ বছর বয়সে অভিনয় জগতে পা রাখেন সোনম খান। তাঁর আসল নাম বখতাওয়ার খান। কিংবদন্তি পরিচালক যশ চোপড়ার ইচ্ছাতেই বদলে যায় তাঁর নাম। সোনম নাম নিয়েই বলিউডে যাত্রা শুরু করেছিলেন। ১৯৮৮ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি ‘বিজয়’-এর মাধ্যমে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। যেখানে অনিল কাপুর, ঋষি কাপুর, হেমা মালিনী, মীনাক্ষী শেশাদ্রি, অনুপম খেরের মতো তারকাদের পাশে পর্দায় এসেই নজর কাড়েন সোনম। ছবির একাধিক চুম্বনদৃশ্যে রাতারাতি দর্শক মহলে সাড়া ফেলে দেন সোনম। ‘ত্রিদেব’ ছবির ‘ওয়ে ওয়ে’ গান আজও দর্শকের পছন্দের তালিকায়। এছাড়া ‘মাটি ও সোনা’ ছবিতেও সাহসী দৃশ্যের জন্য আলোচনায় আসেন সোনম। এক সাক্ষাৎকারে সোনম জানিয়েছিলেন, ‘মাটি ও সোনা’ ছবির একটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয়ের সময় তিনি ছিলেন মানসিকভাবে অপ্রস্তুত। কারণ, তিনি তখন ছিলেন মাত্র এক কিশোরী। অথচ তাঁকে শুটিং ফ্লোরে নিয়ে আসেন এক আত্মীয়। তিনি শিশুসুলভ লোভ দেখিয়ে খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য রাজি করান অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর কথায়, “আমায় বলা হয়েছিল, যদি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করি, তবে আমায় চকোলেট দেওয়া হবে। আমি তখন খুবই ছোট। আর শুধুই চকোলেটের লোভে সেই দৃশ্যে অভিনয় করেছিলাম।”
“আমাকে দেখিয়ে হস্তমৈথুন করা শুরু করল সে…”। শৈশবের ভয়ানক অভিজ্ঞতা ভাগ করলেন জনি লিভারের মেয়ে! জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও কৌতুকশিল্পী জেমি লিভার নিজের শৈশবের একগুচ্ছ অস্বস্তিকর ও মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন সম্প্রতি। মাত্র ১০ বছর বয়সেই তিনি এমন কিছু পরিস্থিতির মুখোমুখি হন, যা আজও তাঁর মধ্যে একটা অস্পষ্ট ভয় রেখে দিয়েছে বিশেষত পুরুষদের নিয়ে। জেমি লিভার জানান, স্কুল ছুটির পর ড্রাইভার যখন তাঁকে নিয়ে গাড়িতে অপেক্ষা করছিলেন, জেমি তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে পিছনের সিটে গল্প করছিলেন। ঠিক তখনই এক অপরিচিত ব্যক্তি গাড়ির জানলার পাশে এসে দাঁড়ায়। অশালীনভাবে আচরণ করতে শুরু করে। তারপর প্যান্টের চেন খুলে হস্তমৈথুন করা শুরু করে! “ওই ব্যক্তি জানলার ঠিক পেছনে এসে দাঁড়িয়ে… অশ্লীলভাবে আমাকে লক্ষ্য করে হস্তমৈথুন করছিল… যা বোঝার বয়স তখন আমার ছিল না…ওই প্রথমবার কোনও পুরুষাঙ্গ দেখি আমি… খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম। ভেবেছিলাম সে দরজা খুলে কিছু করে বসবে।..” বলেন জেমি। তিনি আরও জানান, সেই সময় দরজা লক করে তিনি ভান করেছিলেন কিছু দেখেননি, যাতে লোকটি চলে যায়। এই ঘটনা তাঁকে ভীষণভাবে নাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি স্কুলবাসেই নিরাপত্তাহীনতার কথাও তিনি জানালেন। জেমি জানান, তাঁর স্কুল বাসের কন্ডাক্টরও ছিলেন অত্যন্ত অশালীন ও অসভ্য। তাঁর কথায়, “সে আমাদের অনুচিতভাবে, নোংরাভাবে স্পর্শ করত। আমি এসব ঘটনা মাথা থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছি বহুবা। আজও অনেক সময় মনে হয়, সেগুলো বুঝি দুঃস্বপ্ন ছিল। অথচ সবই সত্যি।” অভিজ্ঞতাগুলিই তাঁকে পুরুষদের প্রতি একপ্রকার অনাস্থা জন্মাতে বাধ্য করেছিল। “আমি নিজের চারপাশে দেওয়াল তুলে নিয়েছিলাম। আমি কারও সঙ্গে ডেট করিনি বহু বছর। কেবল যখন বিদেশে গিয়েছিলাম ২০ বছর বয়সে, তখন প্রথম সম্পর্কের কথা ভাবতে পারি,” বলেন তিনি। “বাবা-মাকে বলিনি। কারণ আমি নিজেই বুঝিনি” জেমি জানান, এই ঘটনাগুলি তিনি কখনওই বলেননি তাঁর বাবা জনি লিভার বা মা সুজাতাকে। কারণ সেই বয়সে তিনি নিজেই ঠিকমতো বুঝতে পারেননি যে, তাঁর সঙ্গে কী ঘটছে। ‘হাউজফুল ৪’, ‘ভূত পুলিশ-এর মতো জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেছেন। ২০২৪ সালে দক্ষিণী সিনেমায় পা রাখেন, ‘আ ওকাট্টি আদাক্কু’-তে। পাশাপাশি ওয়েব সিরিজ ‘পপ কৌন’এও দেখা গেছে। জেমি লিভারের এই কনফেশন শুধু ব্যক্তিগত নয়, সামাজিক বার্তা। জেমি লিভারের এই ভাগ করে নেওয়া অভিজ্ঞতা কোনও ‘গসিপ’ নয়এ এক শক্তিশালী সচেতনতার বার্তা। সমাজে শিশু ও কিশোরীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব সকলের। সেই আলোচনার দরজাই খুলে দিলেন জেমি যেখানে সাহসিকতা মানেই পরিবর্তনের প্রথম ধাপ।