Friday, June 6, 2025
spot_imgspot_img

Top 5 This Week

spot_img

Related Posts

কোহলিয়ানার সেলিব্রেশন, চিন্নাস্বামীতে মর্মান্তিক বিরাট দৃশ্য!‌ নাবালক সহ পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যু?‌ কোহলিদের নিয়ে উৎসব গান-বাজনা

হাহাকার। কান্নার রোল। স্বজন বিয়োগের আর্তনাদ। পদপিষ্ট হয়ে মৃত ১১। আহতের সংখ্যা প্রায় ৫০ ছাড়িয়েছে। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ভিতরে বিরাট কোহলির আইপিএল ট্রফি জয়ের উৎসব। বাইরে সমর্থকদের মৃত্যু, হাহাকার! থামল না বিজয়োল্লাস, ট্রফি নিয়ে স্টেডিয়াম ঘুরলেন বিরাটরা। বিপরীত চিত্রে বিষাদ। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ভিতরে বিজয় উৎসবের বিরাট কোহলি ও তাঁর স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা ভক্তদের উদ্দেশে চুমু ছুড়ছেন। অনুষ্ঠান থেকে শোকপ্রকাশটুকু পর্যন্ত করল না আরসিবি। বাইরের ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা পৌঁছল না স্টেডিয়ামের ভিতরে। বাইরের মৃত্যুমিছিলের ঘটনার কথা হয়তো জানতেনই না খেলোয়াড়রা। জানতে পারলে নিশ্চয় তাঁদের তরফ থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যেত। এতটা অসংবেদনশীল তাঁরা নন। স্টেডিয়ামের গেটগুলির বাইরে ভক্তরা ভিড় করেছিলেন। পুলিশ বাধ্য হয়ে গেট বন্ধ করে দেয়। আর তখনই স্টেডিয়ামে ঢোকার জন্য শুরু হয় ভক্তদের হুড়োহুড়ি। বেঙ্গালুরু বিজয়োল্লাসে মৃতদের আর্থিক সাহায্য ঘোষণা কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার। মৃতদের পরিবারপিছু ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন। তদন্তেরও নির্দেশ দেন। এদিকে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যে বিবৃতি জারি করেছে আরসিবি। সোশাল মিডিয়ায় দুঃখপ্রকাশ করেন বিরাট কোহলি ও শচীন তেন্ডুলকর। 

আর তাতেই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। একের পর এক সমর্থকদের যখন হাসপাতালে নিয়ে ছুটছে পুলিশ। গ্যালারিজুড়ে ভিকট্রি ল্যাপ বিরাট কোহলিদের। মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরও স্টেডিয়ামের ভিতরে শিল্পীর চোখ বন্ধ করে বেহালা বাজানোর দৃশ্য। অথচ এই আনন্দে শামিল হতে গিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রাণ গেল। আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। আরসিবি কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। হুড়োহুড়ির মধ্যে পদপিষ্টের মতো ঘটনা। প্রচুর হতাহতের আশঙ্কা। আহতদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা বেশ সংকটজনক। জনসমুদ্র বেঙ্গালুরুতে। কাতারে-কাতারে মানুষের ভিড়। আরসিবির জয় উদযাপনের অনুষ্ঠান ঘিরে বেঙ্গালুরুতে প্রবল উন্মাদনা। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশ-প্রশাসন হিমশিম। বিরাট কোহলি, রজত পতিদাররা বেঙ্গালুরু পৌঁছানোর আগেই বিধান সৌধ, চিন্নস্বামী স্টেডিয়াম, হোটেল সংলগ্ন এলাকায় মাথার ভিড়। বিধান সৌধে বিরাটদের সংবর্ধনার পর তাঁরা আসেন চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে। কোহলিরা যখন কর্নাটক বিধানসভায় সংবর্ধিত হচ্ছিলেন, সেই সময় পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে। চিন্নস্বামীতে ঢুকে বিরাট, রজতরা একে একে ফ্যানদের আইপিএল ট্রফি দেখাতে থাকেন। উত্তাল চিন্নস্বামী স্টেডিয়াম কাণায়-কাণায় পূর্ণ। একটাও ফাঁকা আসন পড়ে ছিল না।শহরে একটি রোড-শো হওয়ার কথা ছিল। প্রশাসন বাতিল করে যানজটের কথা ভেবে। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সেলিব্রেশনের আয়োজন করে কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থা। সেলিব্রেশনের জন্য লক্ষ লক্ষ সমর্থক জড়ো হন স্টেডিয়ামের বাইরে। স্টেডিয়ামে ঢোকার জন্য আলাদা পাস দেওয়া হয় কর্নাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে। স্টেডিয়ামের আসন সংখ্যার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মানুষ সেখানে জড়ো হন। রাস্তায় বিরাট যানজট হয়ে যায়। পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে বিশৃঙ্খলা আরও বাড়ে। প্রাণে বাঁচতে সমর্থকরা একে-অপরকে টপকে পালাতে যান। পদপিষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি। লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ের চাপ সামলাতে দিশেহারা বেঙ্গালুরু পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠি চার্জ করতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। বন্ধ করা হয়নি উৎসব।

স্টেডিয়ামের ভিতরে চলতে থাকে অনুষ্ঠান। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর টিম বাস জনসমুদ্রের মধ্যে দিয়েই স্টেডিয়ামের পৌঁছোয় বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ। তার আগেই ঘটে গিয়েছে বিপত্তি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রয়োজনের তুলনায় পুলিশ কর্মীর সংখ্যা ছিল অনেক কম। ভিড় সামলাতে নাজেহাল অবস্থা হয় তাঁদের। এর পর স্টেডিয়ামের গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে অসংখ্য মানুষ দ্রুত ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। শুরু হয়ে যায় ছোটাছুটি। তাতেই বড় বিপত্তি। পদপিষ্ট ঘটনায় মৃত ও আহত বহু মানুষ। অসুস্থদের রাস্তাতেই সিপিআর দিতে দেখা যায়। এর পরও কী ভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী অনুষ্ঠান চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন। দুর্ঘটনার খবর আরসিবির ক্রিকেটারেরা সম্ভবত জানতেন না বলেই হয়তো আচরণে বা মুখে-চোখে তেমন কোনও উদ্বেগ দেখা যায়নি।পদপিষ্ট হওয়ার খবর পৌঁছতেই কর্নাটক মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন বিধানসভা থেকে। ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেন কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার। ডিকে বলেন, ‘‘বহু মানুষের ভিড় হয়েছে। সকলেই খুব আবেগপ্রবণ। পুরো রিপোর্ট না পেলে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। নিরাপত্তার জন্য আমরা ৫০০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। পুলিশ কর্মীর স‌ংখ্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে।’’ সবকিছু জেনেও চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পৌঁছোনোর পর মাঠের মাঝে তৈরি মঞ্চে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কোহলিদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে পড়েন মধ্যমণি হয়ে। স্টেডিয়ামের বাইরে যখন আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য একের পর এক অ্যাম্বুল্যান্স আসছে, তখন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্ধার কাজে তদারকি করতে দেখা যায়নি। বরং শিবকুমারের বক্তব্য, “দুর্ঘটনার কথা ভেবে আমরা সেলিব্রেশন ১০-১৫ মিনিটেই শেষ করে দিয়েছি।”দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর স্টেডিয়ামের সামনে ভিড় আটকানো নিশ্চিত করতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহন করে প্রশাসন। স্টেডিয়ামে যাওয়ার প্রায় সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় স্টেডিয়ামে যাওয়ার মেট্রো পরিষেবা। কুব্বন পার্ক স্টেশন থেকে ড. বি আর আম্বেডকর বিধানসভা স্টেশন পর্যন্ত মেট্রো চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয় বিকাল ৪.৩০ মিনিট থেকে। বেঙ্গালুরু পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন, স্টেডিয়ামে ঢোকার টিকিট বা পাস থাকা ব্যক্তিরাই যেন শুধু আসেন। সেই আবেদনে কর্ণপাত করেননি কেউই। পরিস্থিতি এমনই হয়েছিল যে মাইক হাতে নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করলেও বিরাটকে কথা বলার সুযোগটা দিচ্ছিলেন না আরসিবির সমর্থকরা। বিরাটের প্রতি নিজেদের ভালোবাসা জানাতে চিৎকার করতে থাকেন। তারইমধ্যে বিরাট বলেন, ‘আমার হাতে বেশি সময় নেই। তাই আমায় দয়া করে কথা বলতে দিন। গত রাতে পতিদার যেটা বলেছে, আমি সেটাই ফের বলতে চাই। এ শালা কাপ নামদে নয় আর। এবার থেকে এ শালা কাপ নামদু।’বেঙ্গালুরু কর্তৃপক্ষের পাশেই দাঁড়িয়েছেন বোর্ড কর্তারা। আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমল বলেছেন, ‘‘অত্যন্ত দুঃখজনক। স্টেডিয়ামের বাইরের ঘটনা সম্পর্কে আরসিবি কর্তৃপক্ষ কিছু জানতেন না। তাঁরা জানার পরই অনুষ্ঠান ছোট করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আমরাও বিজয় উৎসব বন্ধ করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি। কর্নাটক সরকারের কাছে পরিস্থিতি সম্পর্কে খবর ছিল কিনা, বলতে পারব না।’’ বিসিসিআই সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা বলেন, ‘‘মর্মান্তিক। ঠিক কী কারণে এমন ঘটল, তা আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়। আমরা কাউকে দোষারোপ করতে চাই না। কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থার কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর বোঝা যাবে।’’ বোর্ড সচিব দেবজিৎ শইকিয়ার কথায়, ‘‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এটা জনপ্রিয়তার নেতিবাচক দিক। ভক্তেরা প্রিয় ক্রিকেটারদের দেখার জন্য পাগলের মতো আচরণ করেন। আরসিবির আইপিএল জয়ের উৎসবের আয়োজন আরও ভাল ভাবে করা উচিত ছিল আয়োজকদের। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। এই ঘটনার সঙ্গে বিসিসিআইয়ের কোনও যোগ নেই। তবু এর থেকে শিক্ষা নিতে হবে। নিশ্চই কিছু খামতি ছিল।’’‌

৬ ঘণ্টা পর বিবৃতি দিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু কর্তৃপক্ষ। মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে কর্নাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অর্থাৎ কেএসসিএ। কোহলি লিখেছেন, ‘‘ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। অত্যন্ত হৃদয় বিদারক।’’ আরসিবির বিবৃতি, ‘‘বিকালে দলের ফেরা উপলক্ষে বিশাল জনসমাগম হয়েছিল বেঙ্গালুরু জুড়ে। আমরা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানতে পেরেছি, সেই জমায়েতে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় আমরা গভীর ভাবে মর্মাহত। সকলের নিরাপত্তা এবং সুস্থতা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরসিবি কর্তৃপক্ষ মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি আমরা।’’ আরসিবি কর্তৃপক্ষ বিবৃতিতে আরও লিখেছেন, ‘‘ঘটনার কথা জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দ্রুত কর্মসূচি পরিবর্তন করেছি। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ এবং পরামর্শ মতো পদক্ষেপ করেছি। আমাদের সব সমর্থককে নিরাপদে থাকতে অনুরোধ করছি।’’ আরসিবি দুঃখপ্রকাশ করলেও অনুষ্ঠানের আয়োজক কর্নাটকের ক্রিকেট সংস্থা মৃতদের পরিবার প্রতি ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। কেএসসিএ কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘‘প্রিয়জনকে হারানো পরিবারগুলির জন্য আরসিবি এবং কেএসসিএ যৌথ ভাবে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করছে। আমাদের আশা, শোকের সময় এই পদক্ষেপ তাঁদের জন্য কিছুটা সহায়ক হবে। তাঁরা হয়তো কিছুটা সান্ত্বনা পাবেন। এই ক্ষতিপূরণ কখনও মানুষের জীবনের মূল্য নির্ধারণ করতে পারে না। তেমন উদ্দেশ্যও নেই আমাদের। এই কঠিন সময়ে আমরা শুধু পরিবারগুলির পাশে থাকতে চাইছি। আশা করি আমাদের অবস্থান সকলে বুঝতে পারবেন।’’ বেঙ্গালুরু বিজয়োল্লাসে মৃতদের আর্থিক সাহায্য ঘোষণা কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার। মৃতদের পরিবারপিছু ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন। তদন্তেরও নির্দেশ দেন। এদিকে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যে বিবৃতি জারি করেছে আরসিবি। সোশাল মিডিয়ায় দুঃখপ্রকাশ করেন বিরাট কোহলি ও শচীন তেন্ডুলকর। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। শোকপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‌বেঙ্গালুরুতে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। এই শোকের মুহূর্তে মৃতদের পরিজনদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি। যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’‌

ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পরে মুম্বইয়ে টিম ইন্ডিয়ার ভিকট্রি প্যারেড বা অতীতে কলকাতা নাইট রাইডার্স কেকেআর সেলিব্রেশনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বোর্ডের সচিব। দুটি ক্ষেত্রেই রাস্তার মধ্যে দিয়ে বিজয় উৎসব হয়েছিল। রাস্তায় কাতারে-কাতারে মানুষ ভিড় করেছিলেন। বিজয় উৎসবের আয়োজনের ক্ষেত্রে যে বড়সড় খামতি ছিল, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া বলেছেন, ‘‌অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটল। এটাই জনপ্রিয়তার নেতিবাচক দিক। ক্রিকেটের প্রতি আসক্ত মানুষ। আয়োজকদের আরও ভালোভাবে পুরো অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা উচিত ছিল। যখন কেউ এরকম মাত্রার বিজয় উৎসবের আয়োজন করেন, তখন উপযুক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। করতে হয় সুরক্ষা সংক্রান্ত উপযুক্ত পদক্ষেপ। কোথাও তো কোনও গাফিলতি থেকে গিয়েছে। অতীতেও আইপিএল জয়ের পরে সেলিব্রেশন হয়েছে। যেমন গত বছর কেকেআর জেতার পরে কলকাতায় বিজয় মিছিল হয়েছিল। ২০২৪ সালে সেরকম কিছু না হলেও ২০১২ সালে কেকেআর আইপিএল জয়ের পরে বিজয় মিছিল হয়েছিল। কিন্তু সেখানে কিছু হয়নি। আমরা যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিলাম, তখনও সবকিছু সুরক্ষিতভাবে হয়েছিল। মুম্বইয়ে জনসমুদ্র নেমে এসেছিল। কিন্তু কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’‌

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles