‘ভূমিপুত্র’ শব্দের অর্থ? প্রশ্নটা বেশ জটীল। বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রী চিঠি মারফৎ বঙ্গ ফুটবলের নিয়ামক সংস্থাকে অনুরোধ করেছেন বাংলার ফুটবলারদের অর্থাৎ ‘ভূমিপুত্র’দের বেশী করে সুযোগ দিতে হবে। ‘ভূমিপুত্র’ শব্দের অর্থ খুঁজে পাচ্ছেন না ক্লাবকর্তারা! অধিকাংশ প্রাক্তন ফুটবলারদের প্রশ্ন, বাংলার ফুটবলে উন্নতি কিভাবে হবে? ভিনরাজ্যের ফুটবলাররা কি ‘ভূমিপুত্র’ নন? এই প্রসঙ্গে একমত বাংলার ফুটবল কর্তা সৌরভ পাল। হঠাৎ করে শুধুমাত্র বাংলার ফুটবলারদের খেলার অধিকারে জোর দেওয়া হল। কলকাতা লিগ এই মূহুর্তে জৌলুসহীন। একে বিদেশীহীন। পাশাপাশি ভিনরাজ্যের ফুটবলারদের অংশগ্রহনে রাশ টানা। এর পর আরও শোচণীয় অবস্থায় পরিণত হবে বলে মনে করেন সার্দার্ন কর্তা। তিনি বলেন, ‘আইএফএ-র উচিৎ ছিল ‘ভূমিপুত্র’ বিষয়টা নিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে ক্লাবগুলোকে নিয়ে আলোচনা করা। এবং আগামী বছর পুরো পরিকাঠামো সাজিয়ে তারপর ‘ভূমিপুত্র’ বিষয়ে মান্যতা দেওয়া উচিৎ ছিল। কারণ, কন্যাশ্রী কাপের খেলার সময়ও শুধুমাত্র বাংলার মেয়েদের খেলানো হয়নি। ভিনরাজ্যের মেয়েরাও খেলেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রিমিয়ার লিগে ক্লাবগুলোর মধ্যে বৈষম্য স্পষ্ট। এইবছর কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে ২৬ দল অংশগ্রহন করলেও, আর্থিক দিক থেকে প্রভাবশালী ক্লাবগুলোর সঙ্গে ছোট ক্লাবগুলোর পাল্লা দেওয়া বেশ কঠিন। এই বিষয়েও ‘ভূমিপুত্র’ প্রসঙ্গ মাথাচাড়া দিচ্ছে। আদৌ বাংলার ফুটবলের জন্য কতটা উপকারী তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে আসছে। বাঙালি স্ট্রাইকার উঠে আসাও বেশ চিন্তার বিষয়।’ কালিঘাট স্পোর্টস লাভার্স কর্তা বাবুন ব্যানার্জ্জীও একমত। তিনি জানান, ‘রাজ্য সরকারের ক্রীড়া মন্ত্রকের অনুরোধ শুনতেই হয় আইএফএকে। তবে, এই মূহুর্তে আমরা প্রত্যেক ক্লাব কর্তারাই চাপে পড়ে গেছি। কারণ আর কটা দিন পরই লিগ শুরু, এই মূহুর্তে আবার নতুন করে বাঙালি ফুটবলার খোঁজা দু:সাধ্য বিষয়। আর আর্থিক দিক থেক বড় ছোট ক্লাবের বৈষম্য থেকেই গেছে। ‘ভূমিপুত্র’ নিয়মের বিষয়টাও অকস্মাৎ বেশ জটীল বলেই মনে হচ্ছে আমাদের প্রায় সবকটি ক্লাবকর্তাদের কাছেই।’

ইন্ডিয়ান ফুটবল সংস্থা। বাংলার ফুটবলের নিয়মকানুন নিয়ামক সর্বোচ্চ সংস্থা আইএফএ। সেই ফুটবল সংস্থার উপরেই ক্রীড়ামন্ত্রীর চাপ। রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রকের চাপে মান্যতা দিল আইএফএ! কলকাতা প্রিমিয়ার ডিভিশন ফুটবল লিগে ফুটবল পাঁচ ভুমিপুত্র বাধ্যতামূলক করা হল? আদৌ বাংলার ফুটবলারদের নিয়ে ফুটবল হলে বাংলার ফুটবল কতটা এগোবে, তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন তুলে দিল রাজ্যের ক্রীড়া দপ্তর। কলকাতা ফুটবল লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনের নূন্যতম ভূমিপুত্রের সংখ্যা বাড়লো। এর আগে প্রিমিয়ার ডিভিশনের ক্লাব প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে ভূমিপুত্রের সংখ্যা নূন্যতম পাঁচজন নির্ধারিত হয়েছিল। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের ক্রীড়া দপ্তর ভূমিপুত্রের সংখ্যা বাড়ানোর অনুরোধ করে আইএফএকে। আইএফএ প্রিমিয়ার ও ফার্স্ট ডিভিশন লিগ কমিটির ও প্রিমিয়ারের ক্লাব প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে ক্রীড়া দপ্তরের অনুরোধ কে মান্যতা দিয়ে নূন্যতম ভূমিপুত্রের সংখ্যা পাঁচ থেকে বাড়িয়ে ছয় করার মান্যতা দিতে বাধ্য হল আইএফএ।

রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রকের অনুরোধে আইএফএ মান্যতা দিলেও মেনে নিতে পারছেনা বেশ কিছু ক্লাব। বঙ্গ ফুটবল সংস্থায় রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না ক্লাবগুলো। প্রত্যেকেই তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছে। বাংলার ফুটবলের বিষয়ে সরকারী হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রশ্নও তোলে বেশ কিছু ক্লাব। তাহলে কি নিদৃষ্ট কিছু ক্লাবকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হল? এমনটাও অভিযোগ তুলে প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রকের হস্তক্ষেপের বিষয়টিকে। ক্লাবগুলোর প্রশ্ন, ভিনরাজ্য থেকে ভালো ফুটবলার না আসার ফলে বাংলা থেকেও ভালো ফুটবলার উঠে আসা প্রায় অসম্ভব। ভিনরাজ্যের ফুটবলার সংখ্যা কমে গেলে, বাংলার ফুটবলে প্রতিদ্বন্দিতার খামতি দেখা যেতে পারে। এমনিতেই কলকাতা ফুটবল লিগ বিদেশীহীন হওয়ায় জৌলুস অনেকটাই কমেছে। এরপর ভিনরাজ্যের ফুটবলারদের আগমন ধীরে ধীরে কমতে থাকলে, শেষ হয়ে যাওয়ার পথে বাংলার ফুটবল! এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করছে ক্লাবগুলো।

শেষমেস ক্রীড়ামন্ত্রীর চাপে লিগের ম্যাচে ভূমিপুত্রের উপস্থিতি বাড়াতে বাধ্য হল আইএফএ। পাঁচজন নয়, এবার থেকে ক্লাবগুলিকে ম্যাচে ছ’জন ভূমিপুত্রকে রাখতেই হবে মাঠে। কয়েকদিন আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছেল, ম্যাচে পাঁচজন ভূমিপুত্রকে মাঠে রাখা বাধ্যতামূলক করা হবে। তারপরেই রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস আইএফএ-র সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করে দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, কলকাতা লিগ বাংলার লিগ। এখানে বাঙালি ফুটবলারদের প্রাধান্য পাওয়া উচিত। কলকাতা লিগ শুধুমাত্র ভূমিপুত্র ফুটবলারদের নিয়ে খেলা উচিত। কন্যাশ্রী কাপের ফাইনালের দিন পুরস্কার বিতরণী মঞ্চ থেকে এই বার্তা দেন। এরপরেই ক্রীড়াদপ্তর থেকে একটি চিঠির মারফৎ আইএফএ-তে অনুরোধ আসে। সেই অনুরোধের পর প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর সঙ্গে বৈঠকে আইএফএ কর্তারা। সেখানেই ভূমিপুত্র বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। বৈঠকে ইস্টবেঙ্গল ও মহামেডান ক্লাব উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না মোহনবাগান ক্লাবের সদস্য। প্রতিনিধি পাঠায়নি সাদার্ন সমিতিও। উপস্থিত ছিলেন না আইএফএ-র দুই সহ-সভাপতি সৌরভ পাল ও স্বরূপ বিশ্বাস। বেশ কিছু ক্লাব ভূমিপুত্র বাড়ানোর বিষয়ে বিমুখ। কিছু ক্লাব এই মুহূর্তে লিগের ঠিক আগে দল তৈরি করে ফেলেছেন, এই বলে ছ’জনের বেশি ভূমিপুত্র না করতে অনুরোধ করে। ভূমিপুত্র বাড়ানোর বিষয়ে আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেন, “ক্রীড়া দপ্তরের থেকে চিঠি দিয়ে আমাদের কাছে অনুরোধ এসেছিল ভূমিপুত্র বাড়ানোর। আমরা সেই অনুরোধ রাখতেই বৈঠকে বসেছিলাম। সেখানে আলোচনার মাধ্যেমে লিগের ম্যাচে পাঁচের বদলে ছয় ভূমিপুত্র মাঠে রাখার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে।” আইএফএ-কে সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা দশ লক্ষ টাকা নিয়েও অ্যাফিলিয়েশন না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল। আইএফএ সচিব জানিয়েছেন, বিষয়টি ঠিক নয়। গভর্নিং বডির অনুমোদনের পর অ্যাফিলেয়েশন দেওয়া হয়েছে উক্ত ইউনিভার্সিটিকে। তাদের এই বিষয়ে আইএফএ পালটা চিঠি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সচিব।

কলকাতা ফুটবল লিগে বিদেশিদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে গতবছর থেকেই জারি নিষোধাজ্ঞা। পরিবর্তে দেশীয় ফুটবলারদের উপর বাড়তি নজর দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয় বঙ্গীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফে। যার ফলে, গোটা দেশ থেকে একাধিক তরুণ ফুটবলার সুযোগ পান প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের দলগুলিতে। যাদের অধিকাংশের চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স সহজেই মন কেড়েছে বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের। যার প্রভাবে একটা ক্ষুদ্র অংশের মনে করছেন অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছে বাংলার ফুটবলারদের পারফরম্যান্স। রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর কান ভারী হয়ে গেছে এই ক্ষুদ্র অংশের মতামতেই বলে ধারনা কিছু ক্লাবকর্তাদের। কলকাতা ময়দানের তিন প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট হোক কিংবা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ভিন রাজ্যের ফুটবলারদের উপর ভিত্তি করে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সহজ জয় ছিনিয়ে নিচ্ছে। বঙ্গের প্রতিভাবানরা দলে থাকলেও যথেষ্ট নিস্প্রভ। এই যুক্তি খাড়া করে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ভিন রাজ্যের ফুটবলারদের সংখ্যা কমানোর জন্য চিঠি দেন ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে। শেষ পর্যন্ত রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রকের অনুরোধে মান্যতা দিয়ে কলকাতা লিগে ভিন রাজ্যের ফুটবলার কম করার সিদ্ধান্তে উপণীত হয় আইএফএ।

ময়দানের অন্যান্য দল গুলির ক্ষেত্রে বাঙালি ফুটবলারদের অংশগ্রহণ অধিক পরিমানে দেখা গেলেও নজরে আসছেন হাতেগোনা কয়েকজন। যা নিয়ে কিছুটা হলেও হতাশা প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বঙ্গীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফে মুখ খোলেন সচিব অনির্বাণ দত্ত। তিনি বলছিলেন, ‘কলকাতা ফুটবল লিগে ভিন রাজ্যের ফুটবলারদের অংশগ্রহণ করা আজকের ঘটনা নয়। চিরকাল তাঁরা খেলে এসেছে। আমরা তাদের আপন করে নিয়েছি। নিজের মনে করে। কলকাতা লিগে ভিন রাজ্যের বহু ফুটবলার খেলেছেন। পরবর্তীতে অনেকেই কলকাতার মানুষ হয়েছেন। বলতে গেলে সারা ভারতবর্ষের ফুটবলার কলকাতা লিগে খেলতে আসতে চায়। তাছাড়া ময়দানের ক্লাব গুলির সুবিধা অসুবিধা দেখেই আইএফএকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এই নিয়ে আমরা যখন আলোচনায় বসেছিলাম তখন বাংলার ছেলেদের দলে রাখার ক্ষেত্রে ক্লাব গুলিকে আমাদের রাজি করাতে হয়েছিল। আশা করি আগামী দিনে সংখ্যা আরো বাড়বে। তাছাড়া প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগ থেকে যে অর্থ আসে সেই দিয়েই বাংলার অন্যান্য ডিভিশন গুলির খেলা পরিচালনা হয়ে থাকে। সেজন্য পারফরম্যান্সের মান পড়লে তার প্রভাব এসে পড়বে অন্যান্য ক্ষেত্রে। যা বাংলার ফুটবলকে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তাই সবদিক বজায় রেখেই আমাদের এগোনোর পরিকল্পনা রয়েছে।’

কলকাতা ফুটবল লিগের জন্য ইস্টবেঙ্গল স্কোয়াডে নতুন সংযোজন তিন বঙ্গসন্তান। লাল-হলুদে সই করেছেন মনতোষ মাজি, বিক্রম প্রধান এবং সঞ্জয় ওরাওঁ। মনতোষ ও বিক্রম সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলা দলের সদস্য ছিলেন। স্ট্রাইকার পজিশনে খেলেন মনতোষ। বিক্রম প্রধান এবং সঞ্জয় ওরাওঁ ডিফেন্ডার ও মিডফিল্ডার পজিশনে খেলেন। এই তিন বঙ্গসন্তানের অন্তর্ভুক্তি লাল-হলুদ দলকে আরও শক্তিশালী করবে। এই মরশুমের প্রথমদিনের অনুশীলন থেকে মশাল ব্রিগেডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিন ফুটবলার। তিনজনের লক্ষ্য, কলকাতা লিগে ভালো খেলে আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের মূল দলে সুযোগ করে নেওয়া। প্রসঙ্গত, ক্রীড়ামন্ত্রীর অরূপ বিশ্বাসের চাপে কলকাতা লিগের ম্যাচে ভূমিপুত্রের উপস্থিতি বাড়াতে বাধ্য হয়েছে আইএফএ। পাঁচজন নয়, এবার থেকে ক্লাবগুলিকে ম্যাচে ছ’জন ভূমিপুত্রকে রাখতেই হবে মাঠে। আসন্ন কলকাতা লিগে একই গ্রুপে রয়েছে দুই প্রধান। গ্রুপ এ-তে দুই প্রধান। অন্যদিকে গ্রুপ বি-তে আরও এক প্রধান মহমেডান। এই গ্রুপেই রয়েছে ডায়মন্ড হারবার এফসির মতো আর এক শক্তিশালী দল। গ্রুপ এ-তে দুই প্রধান ছাড়া বাকি দলগুলো হল মেসারার্স ক্লাব, কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স, সুরুচি সংঘ, রেলওয়ে এফসি, বেহালা এসএস, জর্জ টেলিগ্রাফ, কালীঘাট মিলন সংঘ, ক্যালকাটা কাস্টমস, পাঠচক্র, আর্মি রেড ও পুলিশ এসি। সিকোয়েন্স অনুযায়ী সপ্তম রাউন্ডে মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা।

প্রিমিয়ারের লটারি নিয়ে কোনও কোনও মিডিয়ায় প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। সেই বিষয়ে বৈঠকে উত্থাপিত হয়। উপস্থিত ক্লাব প্রতিনিধিরা সমবেত ভাবে জানান অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে লটারি হয়েছে এবং এ নিয়ে তাঁদের কোনও অভিযোগ নেই। সার্দার্ন সমিতির কর্তা সৌরভ পাল আইএফএকে চিঠি দিয়ে জানান, ‘আইএফএ-র লটারি স্বচ্ছ ছিল না’। এই বিষয়ে সবকটি ক্লাবকে নিয়ে আইএফএ আলোচনা করে। ক্লাবগুলিও সর্বসম্মতিতে জানায়, এই বছর প্রিমিয়ার ডিভিসন ফুটবল লিগে আইএফএ-র লটারির স্বচ্ছতায় কোনও খামতি ছিল না। আইএফএ-র বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লিগ আইএফএ সভাপতি অজিত বন্দোপাধ্যায়, সচিব অনির্বাণ দত্ত, সহ সচিব রাকেশ ঝাঁ, মহম্মদ জামাল, সুদেষ্ণা মুখার্জী, এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি সুফল রঞ্জন গিরি সহ প্রত্যেক ক্লাব প্রতিনিধিরাও।