মোবাইলে রিলস। ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট। চ্যাটবক্স। এক্স হ্যান্ডল বা ইনস্টাগ্রাম। সকাল সকাল মোবাইলে রিলস। বয়স ১০ হোক বা বয়স ৭। তাতে কী! ছোটরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ডুবে মোবাইলে। খুদেরা সমাজমাধ্যম দেখতে না পারার নিষেধাজ্ঞার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে আর্জি জানিয়ে মামলা দায়ের। আদালত জানিয়েছে এটা নীতিগত বিষয়। আদালত এতে অংশগ্রহণ করতে অনিচ্ছুক। বিচারপতি বিআর গভাই ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহর বেঞ্চ জানিয়েছে মামলাকারী এব্যাপারে আইন আনার জন্য আবেদন করা যেতে পারে। মামলাকারীর আইনজীবী জানিয়েছিলেন ১৩ বছরের নীচে শিশুদের সমাজমাধ্যম নিষিদ্ধ করা হোক। জেপ ফাউন্ডেশন নামের এক সংগঠন নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। সংগঠনের দাবি ছোটদের জন্য বেশ বিপদ ডেকে আনছে সোস্যাল মিডিয়ার অত্যাধিক ব্যবহার। ফলে শিশুদের মন ও শরীরের উপরেও নানা প্রভাব পড়ছে। ১৩ বছরের নীচে শিশুদের সমাজমাধ্যম ব্যবহারে রাশ টানার আবেদন করে ওই সংস্থা। শিশুদের সমাজমাধ্যম ব্যবহারে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থার আবেদন। ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের জন্যও সমাজমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারির আবেদন। পরিস্থিতিতে উদ্বেগের কথাও বলা হয়। মামলাকারীদের মতে, ঘরে ঘরে এই একই সমস্যা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মোবাইলে ডুবে শিশু কিশোররা। পড়াশোনা লাটে উঠছে। মানসিক স্বাস্থ্যের উপর অত্যন্ত খারাপ প্রভাব পড়ছে। অভিভাবকরাও ক্রমশ উদ্বেগে। মোবাইল, সমাজমাধ্যম থেকে শিশু কিশোরদের সরিয়ে দিলে অনেকে আবার খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে। উভয় সংকট। সমাজমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি। আবেদন সুপ্রিম কোর্টে। শিশুদের নিয়ে বাবা মায়েদের নানানরকম হয়রানি থেকে কতকিছু। পড়াশোনা থেকে আর্ট ক্রাফট সবকিছুতেই নজর রাখতে হয়। বর্তমানে অনলাইন ক্লাসের দৌলতে একটি করে মুঠোফোন ওদের হাতে। সারাদিন ফোনের সামনে থেকে থেকেই যেন নেশার মত আসক্তি! কিন্তু ওদের এই সবকিছু থেকেই দূরে রাখা বাবা মায়ের কর্তব্য। পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে ওদের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আগ্রহ এবং নেশাও কম নয়। আর কথায় বলে আগ্রহ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকা স্বাভাবিক। প্রথম পদক্ষেপ বাচ্চার মানসিক সুস্থতা নিয়েই আলোচনার প্রসঙ্গ। শিশুদের মধ্যে বাবা এবং মায়ের প্রতি এক চূড়ান্ত আকর্ষণ থাকে। তাদের কে অনুকরণ করেই ওরা বড় হয়। মোবাইল ফোন থেকে ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার এগুলোর প্রতি আকর্ষণ ওদের খুব বেশি। সোশাল মিডিয়া জীবন থেকে বহিস্কার করা একেবারেই সম্ভব নয়। রাশ টানতে হবে নিজের মত!

ছোট থেকেই ওদের যখন খুশি যা খুশি করতে না দিয়ে ওদের হাত থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। ওদের ছবি পোস্ট না করাই ভাল। বর্তমানে সাইবার বুলিং শব্দের বহুলপ্রচার। বাচ্চাদের খালি গায়ে ছবি পোস্ট না করতে। এর প্রভাব সাংঘাতিক। ওদের নিজস্ব কোনও আইডি প্রুফ কিংবা তথ্য একেবারেই না। ওদের নির্দিষ্ট ক্রিয়াকলাপ সোশাল মিডিয়ায় না জানানোই ভাল। সব শিশু সমান নয়! কার ওপর কি প্রভাব পড়বে কেউ জানে না। এটি থেকে দূরে থাকতে হবে। সন্তানকে নিয়ে রিল বানাচ্ছেন বাবা-মায়েরাও। শিশুদের মুঠোফোনের আসক্তি কমাতে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ১৬ বছরের নীচে সমাজমাধ্যম ব্যবহার করা আইনত নিষিদ্ধ। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ জানিয়ে দিয়েছেন, খুদেরা বড় বেশি যন্ত্রনির্ভর হয়ে পড়ছে। খেলাধুলা ছেড়ে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং রিল নিয়েই ব্যস্ত। আসক্তি কাটাতেই এই কড়া ব্যবস্থা। ভারতে তেমন কোনও কড়াকড়ি না থাকায় শিশুরাও এখন দিব্যি সমাজমাধ্যমে রিল বানাচ্ছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের পাতায় চোখ রাখছে। বাবা-মায়ের চোখের আড়ালে প্রাপ্তমনস্কের জন্য বানানো ভিডিয়োও দেখছে। সমাজমাধ্যমের প্রতি এই আসক্তি ভবিষ্যতে নানা মানসিক ও আচরণগত সমস্যার কারণ হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন মনোবিদেরা। সন্তানকে নিয়েই নানা ভিডিয়ো ও রিল বানাচ্ছেন এখনকার বাবা-মায়েরা। শিশুর স্কুল যাওয়া থেকে খেলাধুলো, পছন্দের খাবারদাবার, পরিবারের একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার প্রতি মুহূর্তের আপডেট সমাজমাধ্যমের পাতায়। ছোট থেকেই তাকে সমাজমাধ্যমের পাতায় ‘স্টার’ বানানোর চেষ্টা শিশুর মনের উপর চাপ ফেলছে। কিছু ক্ষেত্রে এমন কনটেন্টও ভাইরাল হচ্ছে, যা শিশুর সম্মান, সুরক্ষা, মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রশ্নের মখে ফেলছে। ট্রোলিং, নেতিবাচক মন্তব্য, কটূক্তি, সমালোচনার শিকারও হতে হচ্ছে, যা শিশুকে অবসাদের দিকেও ঠেলে দিতে পারে। মা-বাবার হাত ধরে ডিজিটাল দুনিয়ায় টিকে থাকার লড়াই গ্রাস করে শিশুমনকেও। ফলে বয়সের সঙ্গে বাড়ে অস্থিরতা, ধৈর্যের অভাব। বাবা-মায়ের দেখাদেখি শিশুরাও সারা ক্ষণ সমাজমাধ্যমে ডুবে রয়েছে। ভার্চুয়াল জগৎ তাদের বাস্তব থেকে অনেক দূরে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাবা-মায়েদের উচিত, মুঠোফোন থেকে শিশুদের দূরে রাখার চেষ্টা করা। বাইরে খেলাধুলা করাতে বা ঘুরতে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাকে সচেতনতার পাঠ। সমাজমাধ্যমের সবটাই খারাপ নয়। সেখানে অনেক শিক্ষামূলক ভিডিয়োও থাকে, যা সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধির বিষয়গুলি দেখতে অভ্যাস করানো যেতে পারে শিশুকে।

গোটা পৃথিবী জুড়ে কিডফ্লুয়েন্সারদের রমরমা। সন্তানের কীর্তিকলাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিতে ব্যস্ত বাবা-মায়েদের অজান্তেই ‘ভাইরাল’ থেকে কিডফ্লুয়েন্সার হওয়ার জার্নি। কতটা সেফ কিডফ্লুয়েন্সার? একটু বেশিই কি এক্সপোজড? কিড ইনফ্লুয়েন্সর হিসাবে সমাজে নিজের জায়গা অনেক বাচ্চাই পাকা করে ফেলেছে। সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা কোনও ভিডিয়ো স্ট্রিমিং সাইটে বা ছবি পোস্ট করার সময় অবশ্যই কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা জরুরি। স্ক্যামাররা সেই ছবি ও ভিডিয়ো ব্যবহার করে ডিপ ফেক ভিডিয়ো বানাতে পারে। নকল করতে পারে গলার স্বর। এমনকী, ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে বাচ্চাকে কিডন্যাপ করার প্ল্যানও বানাতে পারে। ফেসবুক, ইনস্টা-সহ যে কোনও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের কিছু কমিউনিটি গাইডলাইনস মেনেই কন্টেন্ট বানাতে হবে। বাচ্চাকে দিয়ে এমন কোনও কন্টেন্ট নয়ই। সমাজ মাধ্যমে বাচ্চা ট্রোলড হতে পারে। পরিচিত পরিসরে বাচ্চা ‘বুলিং’-এরও শিকার হতে পারে। আধুনিক বাচ্চারা স্মার্ট, ভীষণ আপডেটেড, স্ট্রেট ফরওয়ার্ড। তারা ছোট্টবেলা থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল করতে জানে। করতে পারে ছবি, ভিডিয়ো শেয়ারও। অতিরিক্ত সুরক্ষা স্তর হিসাবে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অপশন অন করা থাকলে বাচ্চা কিছু পোস্ট করার আগে গার্ডিয়ানের কাছে নোটিফিকেশন আসবে। বাচ্চার পার্সোনাল ইনফর্মেশন না। ফোন নম্বর, ই-মেল আইডি, স্কুলের নাম, ক্লাস ও বাড়ির ঠিকানার মতো ব্যক্তিগত তথ্য যেন ছবি কিংবা ভিডিয়োয় না থাকে। বাচ্চার আসল নামের বদলে অন্য কোনও নাম ব্যবহার করলে সুরক্ষিত থাকবে সন্তান। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের সময় লোকেশন অ্যাকসেস বন্ধ রাখলে সন্তানের কাছে পৌঁছাতে পারবে না স্ক্যামরারা। স্ক্যামারদের ভয়। সমস্যার কথা লুকিয়ে দ্রুত সম্ভব, নির্দিষ্ট জায়গায় অভিযোগ জানাতে হবে। cybercrime.gov.in-এ অভিযোগ ও সব তথ্য আপলোড করার পর টিকিট নম্বরটি সযত্নে রাখেত হবে। নিকটবর্তী পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ করলে সহজেই স্ক্যামারদের খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
ইনস্টাগ্রামে বেশি ঝোঁক। ইংল্যান্ডে স্কুলে স্কুলে বিনামূল্যে নেটফ্লিক্সের সিরিজ‘অ্যাডোলেসেন্স’।জোর তর্কবিতর্ক। বিপজ্জনক পরিস্থিতি। কিশোর-কিশোরীদের না দেখানোই শ্রেয়। সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি চর্চিত শিশুদের মোবাইলের ব্যবহার। সোস্যাল মিডিয়ায় কিশোর কিশোরীদের অনুপ্রবেশ। তার উপর আবার স্কুলের সহপাঠী এক কিশোরীকে খুনের অভিযোগে জেলে যাওয়া এক কিশোর পরিবারের কাহিনি। সাইবার বা নেটমাধ্যমে হেনস্থার উল্লেখ। নারীবিদ্বেষী সমকালীন নানা ভাবনার আদানপ্রদান। কিশোর মনে অ্যান্ড্রু টেটের মতো নারীবিদ্বেষী বিগ্রহের প্রভাব। সিরিজে নেট-আসক্ত সময়ে কৈশোরের সঙ্কটের অতি কঠিন রূপ। চ্যালেঞ্জে ঘুম উড়ে গিয়েছে বাবা-মায়েদের। ঘরের নিরাপত্তার ঘেরাটোপে বসে থাকা কিশোর সন্তানকে সত্যি নিরাপদেই রাখতে না পারা নিয়ে বহু বিতর্ক ও চিন্তার প্রকট রূপ। ‘অ্যাডোলেসেন্স’ সিরিজের প্রভাব কলকাতার কিশোরী ও কিশোরদের উপর। ইংল্যান্ডের স্কুলগুলির সীমা ছাড়িয়ে ‘অ্যাডোলেসেন্স’ পৌঁছে গিয়েছে কলকাতাতেও। ১৩ তারিখ মুক্তি পাওয়ার পর থেকে ৬.৫ কোটি জোড়া চোখের নজরে পড়েছে সিরিজ।
বলিউডের চিত্র পরিচালক সুধীর মিশ্র থেকে আমেরিকার টেসলা-কর্তা ইলন মাস্ক। দেশ-বিদেশের বহু চর্চিত ব্যক্তি। ভাল-মন্দ, প্রয়োজন-অপ্রয়োজন। উপেক্ষা করা যাচ্ছে না কম্পনশীল কৈশোরের ক্রোধে জর্জরিত হওয়ার অস্বস্তিকর সব দৃশ্য। ফাঁপরে অভিভাবকেরা। অস্বস্তিতে অভিভাবকরা। স্কুলে চরম নারীবিদ্বেষী চর্চার প্রাদুর্ভাব। কখনও হয়নি? ছেলে-মেয়েরা কি বন্ধু হতে পারে বলে মনে করে তারা? ‘ইনসেল’ মানে ‘অনিচ্ছাকৃত ব্রহ্মচারী’। ‘অ্যাডোলেসেন্স’ বিতর্ক দাঁড়িয়ে আছে ওই শব্দটির উপরে। বিরক্তি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম দেখে? দেখারই বা দরকার কী? সত্যের থেকে দূরে নয়। স্কুলের বন্ধুর সঙ্গে আসল বন্ধুত্ব। শত্রুতা হয় সমাজমাধ্যমেই। কাউকে মেয়ে হিসাবে ‘অসুন্দর’ বলে অথবা কোনও ছেলেকে ‘ইনসেল’ বলে। বাবা-মায়েদের মত স্পষ্ট, ফোন, ল্যাপটপ, সমাজমাধ্যম থেকে দূরে থাকতে হবে। সব কথা বলতে হবে না ইন্টারনেটের মাধ্যমে। নিষ্ঠুর ছবিও না দেখলে ভাল। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে সমাজমাধ্যমে কিছুই না লিখলে বিপদ দূরে থাকে বলে মনে করেন বড়রা।
অনেক ছবি, ভিডিয়ো ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে অস্বস্তিকর। নিষ্ঠুরতা যাতে প্রকাশ। সিনেমা, সিরিজ দেখা কমাতে বলছেন অভিভাবকেরা। সঙ্গে সমাজমাধ্যম, ভিডিয়ো গেমসের থেকেও দূরত্বের দাবি। কিশোর মন যা দেখে তা-ই জানতে চায়, মনে করেন প্রলয়। বেশি মাঠে যাওয়া, দৌড়ে বেড়ানোয় মন ফিরিয়ে দেওয়ার পক্ষে অনেকেই। কিন্তু সহজ নয়। চ্যাট জিপিটি ছুঁলেই মিলছে জিবলি এফেক্ট। কাল্পনিক কোনও চরিত্রের ধাঁচে নিজেকে খুঁজে নিচ্ছেন নেটিজেনরা। এসব এফেক্ট ক্ষণিকের আনন্দ দেয়! সমস্যা অনেক। কয়েনের উলটো পিঠের মতোই এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভেলকিতে চোখের নিমেষে তৈরি হয়ে যাচ্ছে ভুয়ো আধার কার্ড! বাজার ছেয়ে যাচ্ছে নকল আধারে। যে কোনও ছবি বসিয়ে আধার কার্ড বানিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতছে জালিয়াতরা। ভুয়ো আধার কার্ডের ছবি যদি চ্যাট জিপিটির মাধ্যমে তৈরি করা হয়, তাহলে তা ভালোভাবে লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে যে সেটি কৃত্রিম। ভুয়ো আধার কার্ডে নাম কিংবা ঠিকানার বানানে গন্ডগোল। লেখার ফন্ট স্টাইলে অনেক সময় আলাদা হবে। আসল আধারের পাশে রাখলেই স্পষ্ট বোঝা সম্ভব। স্পেস, কোলোন, কোমা ইত্যাদির স্টাইল অনেকটাই আলাদা আসল আধারের সঙ্গে নকল আধারে। আধারের অশোক স্তম্ভও খানিক আর্টিফিশিয়াল হয়ে যায়। আধার কার্ডের QR কোড স্ক্যান করলে কখনওই আসল আধার কার্ড দেখাবে না।
ভুয়ো ভিডিওর ছড়াছড়ি। রুখতে নতুন পদক্ষেপ। সজাগ ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। ইউটিউব চ্যানেলে দর্শক টানার জন্য ভুয়ো ভিডিও দেখানো। ২০ লক্ষের বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকা বেশ কয়েকটি চ্যানেলে। ইউটিউব কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত, জনপ্রিয় সিনেমার যেসব ভুয়ো ট্রেলার প্রকাশিত হয়, সেগুলির আয় বন্ধ করতে হবে। মার্ভেল বা হ্যারি পটারের মতো বিখ্যাত সিরিজ। নতুন পর্ব দেখার জন্য আমজনতা মুখিয়ে। আবেগকেই হাতিয়ার করে এই ইউটিউব চ্যানেলগুলি। এআই ব্যবহার করে, নানারকম প্রযুক্তির সাহায্যে ওই বহুপ্রতিক্ষীত সিনেমার ট্রেলার তৈরি করে ভিউ হুহু করে বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ইউটিউব চ্যানেলগুলি সাবস্ক্রাইবও করেন প্রচুর ইউজাররা। স্ক্রিন কালচার বা কেএইচ স্টুডিওর মতো ইউটিউব চ্যানেলগুলিতে ২০ লক্ষেরও বেশি সাবস্ক্রাইবার আছে। নিজেদের মস্তিষ্কপ্রসূত এমন কিছু সিনেমার ট্রেলার তৈরি করে, যেসব সিনেমা কোনওদিন তৈরিই হয়নি। এই চ্যানেলের আয়ের পথ বন্ধ করে দিচ্ছে ইউটিউব। কর্তৃপক্ষের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, বিজ্ঞাপনী আয়, দর্শক সংখ্যার নিরিখে আয়- কোনও কিছুই আর পাবে না এই চ্যানেলগুলি। কারণ এই ধরনের কন্টেন্টগুলি ভুয়ো, লোকঠকানো।