কোহলির প্রত্যাবর্তনে বিরাট নিরাপত্তা, ১২ বছর পর রনজি ট্রফিতে ফিরছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক

দিল্লি বনাম রেলওয়েজের ম্যাচ নিয়ে দর্শকদের উন্মাদনা তুঙ্গে। প্রথম দিনেই অন্তত ১০ হাজার দর্শক স্টেডিয়ামে আসতে পারেন বলে অনুমান। বিরাট ভিড় সামলাতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে দিল্লির ক্রিকেট সংস্থা। দীর্ঘ ১২ বছর পর রনজি ট্রফিতে ফিরছেন বিরাট কোহলি। ম্যাচটি টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে না। ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে রনজি ট্রফির গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে রেলওয়েজের বিরুদ্ধে নামবেন বিরাটরা। ঘরোয়া ক্রিকেট হলেও কিং কোহলিকে দেখতে উদগ্রীব ক্রিকেটপ্রেমীরা। রনজি ম্যাচেও স্টেডিয়ামের দর্শকাসন পূর্ণ হবে বলে অনুমান ডিডিসিএর। ম্যাচ চলাকালীন আঁটসাট নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখতে চাইছেন কর্তারা। বিশেষ চিঠি দেওয়া হয়েছে দিল্লি পুলিশকে।

ডিডিসিএ সেক্রেটারি অশোক শর্মা জানিয়েছেন, সাধারণত রনজি ম্যাচে ১০ থেকে ১২ জন নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়। বিরাট খেললে এই ম্যাচের গুরুত্বই বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। দিল্লি পুলিশকেও বাড়তি নিরাপত্তার বিষয়টি জানানো হয়েছে। রনজি ট্রফিতে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের একটি স্ট্যান্ড দর্শকদের জন্য রাখা হয়। বিনামূল্যেই তাঁরা খেলা দেখতে আসেন। কিন্তু এই ম্যাচের জন্য খোলা হচ্ছে তিনটি স্ট্যান্ড। ৮ থেকে ১০ হাজার দর্শক খেলা দেখতে আসবেন বলে অনুমান। টিভির পর্দায় ম্যাচ দেখা যাবে না। বিসিসিআই সূত্রে খবর, গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার হবে। কর্নাটক বনাম হরিয়ানা, বাংলা বনাম পাঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীর বনাম বরোদা- এই তিনটি ম্যাচ সম্ভবত দেখা যাবে টিভিতে। প্রাথমিকভাবে দিল্লির এই ম্যাচ সরাসরি দেখানোর কথা ছিল না। শেষ মুহূর্তে সম্প্রচারের ব্যবস্থা করতে গেলে সমস্যায় পড়তে হবে বিসিসিআইকে।

বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার থেকে তিনি নিজেই অনেক কিছু শিখতে পারেন বলে জানালেন সীতাংশু কোটাক। ভারতীয় দলের নতুন ব্যাটিং কোচের মতে, যদি বিরাট-রোহিতদের ২ শতাংশও সাহায্য করতে পারেন তাহলেই দারুণ। বিরাট-রোহিতদের পরামর্শ দেবেন তিনি, তবে সঠিক সময়ে। গৌতম গম্ভীরের পছন্দের ব্যাটিং কোচ অভিষেক নায়ারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ব্যর্থতার পরেই। তাই নায়ার থাকা সত্ত্বেও এনসিএ থেকে সীতাংশুকে ভারতের ব্যাটিং কোচ করে দেওয়া হয়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজ থেকেই তিনি যোগ দিয়েছেন দলের সঙ্গে। প্রথম দুটি ম্যাচে জিতেও গিয়েছে ভারত। তৃতীয় ম্যাচের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন সীতাংশু বলেন, “বিরাট এবং রোহিত অনেক সিনিয়র ক্রিকেটার। এত ক্রিকেট খেলেছে, রান করেছে। আমি নিজেও ওদের থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি। আসলে সবসময়ে শেখার জন্য তৈরি থাকা উচিত। যদি ওদের সেরকম মানসিক প্রস্তুতি থাকে, ওরা যদি আমার পরামর্শ নিতে তৈরি থাকে, তাহলে অবশ্যই ওদের বলব। ওদের নিয়ে বেশ কিছু মতামত রয়েছে আমার। কিন্তু সেটা বলার জন্য সঠিক সময়ের দরকার। তার জন্য ওদের তৈরি হতে হবে।” ৫২ বছর বয়সি সীতাংশু কোটাক ২০ বছর সৌরাষ্ট্রের হয়ে রনজি খেলেছেন। অধিনায়ক ছিলেন দলের। ক্রিকেট কেরিয়ার শেষে তিনি দীর্ঘদিন এনসিএতে কাজ করেছেন ব্যাটিং কোচ হিসাবে। সিনিয়র দল এবং ভারতীয় এ দলের হয়ে বেশ কয়েকবার বিদেশ সফরেও দেখা গিয়েছে সীতাংশুকে। গত বছর ভারতীয় এ দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলেন। ২০২৩ সালে জশপ্রীত বুমরাহর নেতৃত্বে ভারতীয় দল আয়ারল্যান্ড সফরে গিয়েছিল, সেখানেও ব্যাটিং কোচ ছিলেন সীতাংশু। ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়া বেশ ভালো। রোহিত-বিরাটের সঙ্গে তাঁর রসায়ন কেমন হবে?