February 11, 2025

ভারতের ললাটে জয়ের ‘তিলক’, ঘূর্ণি উইকেটে ইংরেজদের স্ম্লাণ করে দিলেন সূর্যেরা

0
Tilak Barma

ইডেনের পর চেন্নাইয়েও জিতল ভারত। দাপট ভারতের স্পিনারদের। চেন্নাইয়ে জিততে ভারতের ব্যাটারদের সাফল্যের পাশাপাশি সঙ্গে ম্যাচ জেতানো ইনিংস তিলক বর্মা। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের পর চেন্নাইয়ের এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়াম। চেন্নাইয়ের ঘূর্ণি উইকেটে ইংল্যান্ডের গতি ও আদিল রশিদের ঘূর্ণি সামলালেন তিলক। চার বল বাকি থাকতে দলের কপালে জয়ের ‘তিলক’ এঁকে দিতেই সিরিজে ২-০ এগিয়ে গেল ভারত।

প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও শুরুতে ইংল্যান্ডকে ধাক্কা দেন অর্শদীপ সিং। প্রথম ওভারেই সল্টের দুর্বলতা অনুসরণ করে ফিল সল্টের উইকেট নেন। বাউন্সারের বিরুদ্ধে শুরুতে খেলতে সমস্যা সল্টের। চেন্নাইয়ে ৪ রান করে পুল মারতে গিয়ে উইকেট দিয়ে এলেন সল্ট। ৩ রানে ফিরলেন অপর ওপেনার বেন ডাকেটও।

ইনিংস টানলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার। শুরুর ধাক্কা সামলে ইংল্যান্ডের ভিত গড়ে দেন বাটলার। উইকেট পড়লেও দলের রান তোলার গতি কমেনি। ১৬৫ রান তুলতে পারে ইংল্যান্ড। ৪৫ রানের মাথায় অক্ষর পটেলের বলে বড় শট মারতে গিয়ে ফেরেন বাটলার। ব্যর্থ ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডার। ইডেনের মতোই ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডার চেন্নাইয়েও রান করতে পারেনি। হ্যারি ব্রুক, লিয়াম লিভিংস্টোন দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থ। এই ম্যাচে সুযোগ পেয়ে জেমি স্মিথবেশি রান করতে পারেননি। ইডেনের পরে চেন্নাইয়েও বরুণ চক্রবর্তী, অক্ষর পটেল, রবি বিশ্নোই ও ওয়াশিংটন সুন্দরের বিরুদ্ধে বড় শট খেলতে সমস্যা হচ্ছিল ইংরেজ ব্যাটারদের। ভারতের স্পিনারেরা মোট ১৪ ওভার বল করে ১১৮ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন। পেসারেরা ৬ ওভারে দেন ৪৬ রান। এই ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ব্রাইডন কার্স ১৭ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেন।

ইডেনে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেললেও এই ম্যাচে ব্যর্থ অভিষেক শর্মা ১২ রান করে আউট হন। আর এক ওপেনার সঞ্জু স্যামসন করেন ৫ রান। ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমারের ব্যাটে রান নেই। ইডেনে শূন্য রানে ফিরেছিলেন। চেন্নাইয়ে ১২ রান করেন। কার্সের ব্যাক অফ লেংথের বলে বোল্ড হলেন। বল তাঁর ব্যাটে লাগার পরে উইকেটে লাগে। ভারতীয় ব্যাটার হার্দিক পাণ্ডিয়া, ধ্রুব জুরেল ও ফর্মে থাকা ওয়াশিংটন সুন্দরও লেংথের ফাঁদে পা দিয়ে আউট হলেন। ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। মার্ক উডের বলে ওয়াশিংটন সুন্দরের ক্যাচ ছাড়েন রশিদ। সেই ওভারে ১৮ রান নেন সুন্দর। ভারতের চাপ অনেকটা কমে যায়। ক্রিকেটে বলা হয়, ক্যাচ ছেড়ে ম্যাচ ছাড়া। তিলক বর্মা। দক্ষিণ আফ্রিকায় জোড়া শতরান করেছিলেন। চেন্নাইয়ে ইংরেজ পেসারদের গতি ব্যবহার করে একের পর এক বড় শট খেললেন। ৩৬০ ডিগ্রি শট খেললেন। চাপের মধ্যে কী ভাবে ঠান্ডা মাথায় খেলা যায় দেখালেন। চার বল বাকি থাকতে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন। ৫৫ বলে ৭২ রানে অপরাজিত তিলক।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed