আইএসএলে জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল, আইএসএলে পঞ্চম জয় ব্রুজোর দলের

ইস্টবেঙ্গল- ২ (বিষ্ণু, হিজাজি)
কেরল- ১ (ডানিশ)
যুবভারতীতে কেরল ব্লাস্টার্সকে ২-১ ব্যবধানে হারাল লাল-হলুদ ব্রিগেড। টানা তিন ম্যাচ হারের পর জয়। আইএসএলে গুরুত্বপূর্ণ জয় ইস্টবেঙ্গলের। যুবভারতীতে আগ্রাসী ফুটবল খেলে কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ২-১ ব্যবধানে জয় তুলে নিল অস্কার ব্রুজোর দল। ভয়ঙ্কর রিচার্ড সেলিস এবং দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস জুটি। ফর্মে ফিরছেন ক্লেটন সিলভাও। মাঝমাঠে দুরন্ত পিভি বিষ্ণুও। আনোয়ার আলির সুস্থ হতে এখনও ১৫ দিন। হেক্টর ইয়ুস্তেও পুরো ৯০ মিনিট খেলার মতো ফিট নন। মহম্মদ রাকিপ, প্রভাত লাকরার মতো ডিফেন্ডারেরা চোট পেয়ে বাইরে। এই পরিস্থিতিতে অস্কারের ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণভাগকেও বিপজ্জনক দেখাল। দিয়ামানতাকোস এবং ক্লেটনের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন কেরলের গোলরক্ষক শচীন সুরেশ।
ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ পায় ইস্টবেঙ্গল। মহেশের থেকে বল পেয়ে বিষ্ণু প্রতিপক্ষের বক্সে থাকা দিয়ামানতাকোসকে বাড়ানো বলে গোলমুখী শটে হাত ছুঁইয়ে দলের পতন রোখেন শচীন। ১৫ মিনিটে বক্সের ঠিক বাইরে সেলিসকে ফাউল করেন কেরলের এক ডিফেন্ডার। ফ্রিকিক থেকে ক্লেটনের শট কোনও রকমে আটকান শচীন। গোলের সামনে ফাঁকায় বল পেয়েও গোল করতে পারেননি ভেনেজুয়েলার স্ট্রাইকার সেলিস। প্রতি আক্রমণ থেকে কেরলের অর্ধে সেন্টার সার্কেলের মাথায় বল পান বিষ্ণু কেরলের বক্সে। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারকে গায়ে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় প্লেসিং করে ২১ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন। প্রথম গোলের ৫ মিনিট পরেই ক্লেটনের বুদ্ধিদীপ্ত ভলি ফিস্ট করে বাইরে পাঠিয়ে দেন শচীন। ৩৭ মিনিটে সেলিসের ৪০ গজের শট পোস্টে লাগে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কেরল চাপ তৈরি করে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে। সমস্যায় পড়েছিলেন জিকসন সিংহ। লাল-হলুদের রক্ষণের দুই ফুটবলার হিজাজি এবং নুনঙ্গা পরিস্থিতি সামাল দেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। ৭২ মিনিটে কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে মাথা ছুঁইয়ে দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন হিজাজি। ৮৩ মিনিটে নিখুঁত ভলিতে কেরলের হয়ে ব্যবধান কমান ডানিশ ফারুখ। ৭৯ মিনিটে বিষ্ণুকে তুলে নেন ব্রুজো। বিষ্ণুই এখন লাল-হলুদের মাঝমাঠের জেনারেল। ১৭ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট হল ইস্টবেঙ্গলের। পয়েন্ট তালিকায় ১১ নম্বরেই থাকল ব্রুজ়োর দল। ১৮ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে কেরল।