“মুখ্যমন্ত্রীই আরজি কর কাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের নায়িকা” আমাদের হাতে তদন্তভার থাকলে এতদিনে ফাঁসির সাজা হয়ে যেত : মমতা

‘মুখ্যমন্ত্রীই আরজি কর কাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের নায়িকা’। মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে সংবাদমাধ্যমকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘এটা একটা নাটক।’ আরজি কর কাণ্ডের পরে মুখ্যমন্ত্রীই আত্মহত্যার তত্ত্ব ছড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষক ও খুনি সঞ্জয় রায়কে সোমবার আজীবন কারাবাসের সাজা শুনিয়েছেন শিয়ালদা আদালতের বিচারক। সঞ্জয়ের ফাঁসি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীসহ শাসকদলের নেতারা। আর সাজা ঘোষণার পরদিনই খুনির ফাঁসির দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে ‘নাটক’ বলে আক্রমণ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সাফ কথা, আরজি কর কাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের নায়িকা হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্যালাইন কাণ্ডে মেদিনীপুর মেডিক্যালের ১২ চিকিৎসকের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে শহরে বিজেপির মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে শুভেন্দু বলেন, ‘এটা একটা নাটক। আরজি কর কাণ্ডের পরে মুখ্যমন্ত্রীই আত্মহত্যার তত্ত্ব ছড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে ব্যাপারটা মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। উনিই তথ্যপ্রমাণ লোপাটের নায়িকা।’

মালদায় এক সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আরজি কর মামলায় আমরা ফাঁসি চেয়েছিলাম। যাবজ্জীবন মানেটা কী? যাবজ্জীবনে দু’তিন বছর পরই বেরিয়ে যায়। যাবজ্জীবন কেসে প্যারোলে বেরিয়ে যায়। নিজে আইনজীবী ছিলাম। আমি আইন পড়েছি। আইন আমি একটু একটু হলেও বুঝি। এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ নয়? আমি মনে করি এটা বিরল, স্পর্শকাতর, জঘন্য অপরাধ। অপরাধ করে বেঁচে গেলে আবার অপরাধ করবে। যাবজ্জীবন মানে কী? অনেকে তো প্যারোলে বেরিয়ে যায়। অন্যায়কে ক্ষমা করে দেব? এটা জঘন্য, বিরলতম, স্পর্শকাতর একটা ঘটনা। আর জি কর মামলায় আমরা ফাঁসি চেয়েছিলাম। আইনটা আমি একটু একটু জানি, আমি আইনজীবী ছিলাম।এসব জঘন্য ঘটনা যাতে রোধ করা যায়, তাই আমরা অপরাজিতা বিল এনেছি। ধর্ষণ, খুন, নারীদের উপর নৃশংস অত্যাচারে দোষীদের জন্য প্রাণদণ্ডের বিধান দেওয়া হয়েছে বিলে। বিধানসভায় তা পাশও হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র বিলটা আটকে রেখেছে। কার্যকর করা যাচ্ছে না। আমাদের হাতে তদন্তভার থাকলে এতদিনে ফাঁসির সাজা হয়ে যেত। কিন্তু আমাদের থেকে তা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’