স্প্যানিশ সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা! ১০ জনের বার্সার দেওয়া ৫ গোল হজম রিয়াল মাদ্রিদের

বার্সেলোনা (৫) – রিয়াল মাদ্রিদ (২)
স্প্যানিশ সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। রবি রাতের এল ক্লাসিকোয় হারাল রিয়াল মাদ্রিদকে। ৫-২ গোলে কিলিয়ান এমবাপেদের বিরুদ্ধে জিতল ১০ জনের বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে দীর্ঘক্ষণ বার্সাকে খেলতে হয়েছিল ১০ জনে। তারকাখচিত রিয়ালকে টেক্কা দিল বার্সা। সৌদি আরবের মাটিতে হ্যান্স ফ্লিকের কোচিংয়ে প্রথম ট্রফির স্বাদ পেল বার্সেলোনা। রিয়াল মাদ্রিদ চেয়েছিল অক্টোবর মাসে লা লিগায় ৪ গোলে হার। এবার হেরে বসল বড় ব্যবধানে। এমবাপে গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে দিয়েছিলেন, বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান স্প্যানিশ তারকা লামিন ইয়ামাল। ৪৩ মিনিট বার্সেলোনাকে ১০ জনে খেলতে হয়। রিয়াল মাদ্রিদ আর গোল করতে পারেনি। লুকা মদ্রিচকে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামিয়েছিলেন কোচ অ্যান্সেলত্তি। তিনিও দলকে গোলের মুখ খুলতে সাহায্য করতে পারেননি। সৌদি আরবের জেড্ডায় বার্সেলোনার বিরুদ্ধে হেরেই ফিরতে হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদকে।

বার্সেলোনার হয়ে পেনাল্টি থেকে গোল করে বার্সাকে এগিয়ে দেন রবার্ট লেওনডোস্কি। রাফিনহা জোড়া গোল করে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে দেন। আলেজান্দ্রো একটি গোল করেন। রদ্রিগো একটি গোল করে ব্যবধান কমালেও ম্যাচে রিয়াল ফিরে আসতে পারেনি। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে এই জয় বার্সাকে অনেকটা আত্মবিশ্বাস দেবে। বার্সা গোলরক্ষকও দ্বিতীয়ার্ধে ৫৬ মিনিটে লালকার্ড দেখেন। সেই সুবিধা কাজে লাগাতে ব্যর্থ রিয়াল। এমবাপের গোলের আগেও বার্সেলোনা দু’বার গোল করার সুযোগ পেয়েছিল। রিয়াল মাদ্রিদের গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়া নিশ্চিত দু’টি গোল বাঁচিয়ে দেন। ২২ মিনিটের মাথায় লামিনে ইয়ামাল মাদ্রিদের তিন জন ডিফেন্ডারের মাঝখান থেকে যে জায়গা থেকে বল জালে জড়ালেন, সেখানে পৌঁছনো সম্ভব ছিল না কুর্তোয়ার। ১৪ মিনিটের মধ্যে পেনাল্টি পেয়ে যায় বার্সেলোনা। বক্সের মধ্যে গাভিকে ইচ্ছাকৃত ভাবে ফাউল করেন কামাভিঙ্গা। বল নয়, তাঁর লক্ষ্য ছিল গাভির পা। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ওই ভাবে ফাউল করে দলকে ডোবালেন কামাভিঙ্গা। দেখলেন হলুদ কার্ডও। পেলান্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি রবার্ট লেয়নডস্কি। ৩৯ মিনিটের মাথায় তৃতীয় গোল পেয়ে যায় বার্সেলোনা। জুলস কুন্দের ক্রস থেকে রাফিনহা যখন হেডে গোল করেন, তখন তাঁকে আটকানোর কথা যেন ভুলেই গিয়েছিল মাদ্রিদ। চতুর্থ গোলটি করেন আলেয়ান্দ্রো বালদে। প্রতি আক্রমণে গোলের দরজা খোলেন। প্রথমার্ধের সংযুক্তি সময় গোলটি করেন বালদে। এমবাপেকে গোলবক্সের বাইরে ফাউল করেন বার্সা গোলরক্ষক, ভার সিদ্ধান্তে লালকার্ড দেখেন। গোলরক্ষক ওজসিয়েক শেজ়নি। ৫৬ মিনিটের মাথায় তিনি গোল ছেড়ে বেরিয়ে এসে বক্সের বাইরে ফাউল করেন এমবাপেকে। ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁকে মেরে লাল কার্ড দেখেন বার্সেলোনার গোলরক্ষক। তিনি মাঠ ছাড়ায় বার্সেলোনা বাধ্য হয়ে তুলে নেয় ইয়ামাল এবং গাভিকে। নামায় গোলরক্ষক ইনাকি পেনা এবং মাঝমাঠের খেলোয়াড় দানি অলমোকে। শেজনির ভুলে শুধু এক জন ফুটবলার কমে গেল তাই নয়, গোলও খেল বার্সেলোনা। বক্সের বাইরে করা সেই ফাউল থেকে ফ্রি-কিক পায় রিয়াল মাদ্রিদ। সেখান থেকে গোল করেন রদ্রিগো। তাঁর বাঁক খাওয়া ফ্রি-কিক আটকাতে পারেননি নতুন গোলরক্ষক পেনা।

বার্সা কোচ ফ্লিক বললেন, ‘আজকের দিনটা আমাদের জন্য ভালো, কারণ আমরা বিশ্বের সেরা দলকে এই মরশুমে দ্বিতীয়বার হারালাম। এই আনন্দ বলে বোঝানো যাবে না। আমরা শিরোপা জেতায় সত্যিই খুশি, এই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস দেবে ’। রিয়াল কোচ আনসেলোত্তি বললেন, ‘আমরা বাজেভাবে ডিফেন্স করেছি, আর সেটাই আমাদের হারিয়ে দিয়েছে। আমরাও আমাদের সমর্থকদের মতোই দুঃখিত। ওরা সহজেই গোল পেয়ে যাচ্ছিল আমাদের খারাপ ডিফেন্সের ফলে। আমাদের সামনের দিকে তাকানো ছাড়া আর কিছুই করার নেই ’।