স্বামীজির জন্মদিন পালনে ‘বিবেকানন্দ পল্লী’, গান, ক্যারাটে প্রদর্শণী, ট্যাবলো, ব্যান্ডে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

অঙ্কিত শ্রীবাস্তব, হাওড়া : স্বামীজির ১৬২তম জন্মদিবস পালন দেশজুড়ে। দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকল প্রজন্মের কাছেই। জাতীয় যুব দিবস। ১৯৮৪ সালে ভারত সরকার সর্ব প্রথম ১২ জানুয়ারিকে জাতীয় যুব দিবস হিসাবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। দেশের যুবকদের শাশ্বত শক্তি জোগান এবং তাদের অনুপ্রাণিত করার একটি দুর্দান্ত উপায় হিসেবে এই যুব দিবসটি উদযাপন হয় দেশজুড়ে।

বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকীতে জাতীয় দিবস যুব দিবস পালিত হয় দেশজুড়ে। স্বামীজির জন্মদিন ১২ জানুয়ারি ভারতে যুব দিবস হিসেবে পালিত। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। ২০২৫ এও স্বামী বিবেকানন্দের ১৬২ তম জন্মবার্ষিকী দেশ জুড়ে মহা ধুমধামের সঙ্গেই পালিত।

একইভাবে, স্বামীজির জন্মদিন পালনে ‘বিবেকানন্দ পল্লী’ তৎপর। প্রতি বছর মহাধুমধাম সহকারে নিজেদের প্রচেষ্টায় তুলে ধরে স্বামীজির কর্মকাণ্ড। প্রকাণ্ড মূর্তিতে মাল্যদানের পর ট্যাবলো, ব্যান্ড, পদযাত্রায় ক্যারাটে প্রদর্শণীর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিতে সকল স্তরের প্রায় আট শত মানুষ পা মেলান এই পদযাত্রায়। সকল বয়সের পুর্ণমিলন এই যুব দিবসে।

হাওড়া বালিটিকুরীর বিবেকানন্দ পল্লীর উদ্যোগে পালিত স্বামীজির ১৬২ তম জন্মবার্ষিকী। সমস্ত কর্মকাণ্ডের প্রধান উদ্যোগী প্রদীপ মিত্র ওরফে অতীন। যোগ্য সহযোগীতায় এলাকার যুবসমাজ। বর্ষীয়ান সমাজসেবী বিরানব্বই বছর বয়সী প্রভাত কুমার মিত্রের সুহস্তে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন। ‘স্বামী বিবেকানন্দ’ মডেল হয়ে নিজে পদযাত্রায় হাঁটে ছোট্ট দেবাশ্রিত জাঠী।

জাতির মেরুদণ্ড হিসাবেই যুবসমাজ সমাজ সেবায় এগিয়ে এলে তবেই এগিয়ে যাব আমরা, এই ভাবনাই ছিল স্বামীজি’র। স্বামী বিবেকানন্দ তরুণ সমাজের একাংশের কাছে আজকের সময়ও যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। বিবেকানন্দ ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিকতাবাদের পথে নবজাগরণের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন।

এই স্বপ্নকে পাথেয় করে আজও দেশের প্রত্যেক সংগঠন, সংস্থা এবং ব্যক্তিবর্গ স্বামীজিকে স্মরণ করে থাকেন। স্বামীজি বিশ্বাস করতেন, লোহার পেশি এবং ইস্পাতের স্নায়ু শিশুদের মধ্যে থাকে। তরুণরা সামাজিক পরিবর্তন আনতে পারে। স্বামী বিবেকানন্দকে এসকল কারণেই যুব সম্প্রদায়ের অনুপ্রেরনার প্রতীক।

ভারতের প্রাচীন ধর্ম থেকে দর্শন, ইতিহাস পাঠ কিংবা সমাজবিজ্ঞান সকল ক্ষেত্রেই বিবেকানন্দের ছিল অবাধ বিচরণ। স্বামী বিবেকানন্দ বলতেন, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং পাশ্চাত্যের অগ্রগতির সঙ্গে ভারতের আধ্যাত্মিক সমন্বয়ে ঘটানো প্রয়োজন। তিনি বিশ্বাস করতেন এই দুটি ভাবনাই একে অপরের পরিপূরক।

আজকে সমাজ অগ্রগতির প্রশ্নেরও তাই বিবেকানন্দকে স্মরণ না করে উপায় নেই। যুব দিবস উপলক্ষে আজ বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সেমিনার, প্রতিযোগিতা, যোগাসন ইত্যাদি আয়োজন করা হয়েছে৷ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যুব দিবস পালনের সঙ্গে সঙ্গে দেশ এবং রাজ্যের বিদ্যালয় এবং কলেজগুলোতেও পালিত হবে যুব দিবস।
ছবি তুলেছেন : অঙ্কিত শ্রীবাস্তব ও সৌম্য নন্দী