ক্রিকেট দেখতে মেট্রো চড়ে সোজা ইডেন! মেট্রোয় পৌঁছে যাওয়া যাবে ইডেন গার্ডেন্সের ১ নম্বর গেটের সামনে?
প্রস্তাব রেল বোর্ডের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্মতি এলেই বিষয়টি নিয়ে এগোনো হবে। এর আগে ভাবা হয়েছিল, এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন থেকে একটি লম্বা টানেল খুঁড়ে সেখানে সরাসরি একটি সাবওয়ে নির্মাণ করা হবে। মেট্রো যাত্রীরা সহজেই সরাসরি ইডেন গার্ডেন্সের সামনে গিয়ে উঠতে পারেন। আগামী দিনে মেট্রোয় চড়েই পৌঁছে যাওয়া যাবে ইডেন গার্ডেন্স? সূত্র বলছে, তেমন একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে! জোকা-এসপ্ল্যানেড রুটে মেট্রো রেলের পরিষেবা (পার্পল লাইন) আরও ১.৬ কিলোমিটার বাড়িয়ে ইডেন গার্ডেন্স পর্যন্ত টেনে নিয়ে য়াওয়ার কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ। পরিকল্পনা যদি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে শুধুমাত্র ক্রিকেট বা ফুটবলপ্রেমীরাই নন, উপকৃত হবেন সেই সমস্ত হাজার হাজার মানুষ, যাঁরা প্রতিদিন স্ট্র্যান্ড রোড, বাবুঘাট এবং কলকাতা হাইকোর্টে বা তার আশপাশের এলাকায় পেশার টানে যাতায়াত করেন।
ইডেন গার্ডেন্স পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু হলে এই নিত্যযাত্রীরা অনেক সহজে, যানজট এড়িয়ে এবং দ্রুত নিজেদের গন্তব্যে আসা যাওয়া করতে পারবেন। প্রস্তাব রেল বোর্ডের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের সম্মতি এলেই বিষয়টি নিয়ে এগোনো হবে। এর আগে ভাবা হয়েছিল, এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন থেকে একটি লম্বা টানেল খুঁড়ে সেখানে সরাসরি একটি সাবওয়ে নির্মাণ করা হবে। যাতে মেট্রো যাত্রীরা সহজেই সরাসরি ইডেন গার্ডেন্সের সামনে গিয়ে উঠতে পারেন। এখনও পর্যন্ত মেট্রোর পার্পল লাইনের মোট দূরত্ব ১৪.৪ কিলোমিটার। এই পথে মোট আটটি স্টেশন রয়েছে (বা থাকবে) মাটির উপর এবং বাকি চারটি মেট্রো স্টেশন ভূগর্ভস্থ। জোকা থেকে মাজেরহাট পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার পথে এই পরিষেবা চালু রয়েছে। সচল অংশের সবকটি স্টেশনই মাটির উপরের অংশে অবস্থিত। এই রুটের অষ্টম মেট্রো স্টেশনটি হল – মোমিনপুর মাটির উপরের স্টেশন।
এই রুটে প্রায় ৫ কিলোমিটার অংশ মাটির নীচ দিয়ে গিয়েছে। সেই অংশে মোট চারটি স্টেশন থাকবে। সেগুলি হল – খিদিরপুর, ভিক্টোরিয়া, পার্ক স্ট্রিট ও এসপ্ল্যানেড। যদি মেট্রো কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব মঞ্জুর হয়, তাহলে এই ভূগর্ভস্থ অংশেই তৈরি হবে পঞ্চম স্টেশন। যেটির অবস্থান হবে ইডেন গার্ডেন্সের ১ নম্বর গেটের উলটোদিকে – মোহনবাগান ফুটবল মাঠের কাছে। ট্রেনের লাইনেও কিছু বদল আনতে হবে। পার্পল লাইনের ভূগর্ভস্থ ‘ক্রসওভার পয়েন্ট’টিকে – যেখানে ট্রেনের কামরা এক লাইন থেকে অন্য লাইনে ঢোকে, স্ট্র্যান্ড রোডের দিকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বর্তমান নকশায় সেটির অবস্থান পার্ক স্ট্রিট ও এসপ্ল্যানেডের মাঝামাঝি অংশে। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে মনোহর দাস তড়াগের কাছে বেড়ে ওঠা অনেকগুলি গাছও কেটে ফেলতে হবে।