February 11, 2025

গোধরা ট্রেন কাণ্ড নিয়ে বিষন্ন প্রধানমন্ত্রী!‌ ঠিক তিনদিন আগে ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি

0
Godhara Case

২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি। গোধরায় ট্রেনে অগ্নিকাণ্ড। ঘটনায় ৫৯ জন করসেবকের মৃত্যু হয়েছিল। সেসময় মাত্র তিনদিনের বিধায়ক মোদি। কেটে গিয়েছে দু দশকেরও বেশি সময়। গুজরাটের গোধরায় জ্বলন্ত ট্রেন আর শয়ে শয়ে লাশের ছবি এখনও দগদগে ভারতবাসীর মন থেকে। সেসময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কীভাবে এত মানুষের মৃত্যু যন্ত্রণা চেপে রেখে, মন শক্ত করে কড়া হাতে পরিস্থিতি সামলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এক পডকাস্ট চ্যানেলে বললেন, ”যতটা পেরেছি, নিজেকে সামলেছি। আবেগের ঊর্ধ্বে উঠে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি। কল্পনা করুন, চারিদিকে লাশের পাহাড়। আমি তার মাঝে দাঁড়িয়ে।”

নিখিল কামাত নামে এক সাংবাদিকের পডকাস্ট চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে ২০০২ সালের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ফেব্রুয়ারি মাসে যখন গোধরায় এই ঘটনা ঘটছে, তার ঠিক তিনদিন আগে ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এমন চিত্র দেখে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা জানাতে মোদি বলেন, ”বিধানসভায় ছিলাম সেদিন। হঠাৎ খবরটা পেলাম যে গোধরায় ট্রেনে আগুন লেগে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শুনেই আমি কেঁপে উঠি। অত্যন্ত আশঙ্কা হতে থাকে। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে আসি। ভাদোদরা থেকে গোধরা যেতে চাই। সেসময় কোনও কপ্টার ছিল না। আমি বলি যে কোনও কপ্টার লাগবে না। সাধারণ মানুষ যেভাবে যাচ্ছে, সেভাবেই যাব। তা সত্ত্বেও একটা সিঙ্গল ইঞ্জিন কপ্টারের ব্যবস্থা করেছিল ওএনজিসি, তাতেই গেলাম। গিয়ে দেখি, চারপাশে শুধু মানুষের দেহ ছড়িয়ে রয়েছে, পোড়া পোড়া। আমার হৃদয় ভেঙে গেল। কীভাবে যে নিজেকে সামলেছি… আমিও তো একজন মানুষ। তারপর মনে হল, আমাকে এসবের ঊর্ধ্বে উঠে পরিস্থিতি অনুযায়ী সব ব্য়বস্থা করতে হবে। সব যন্ত্রণা বুকে চেপে সেই কাজ করি। এই ঘটনাটা সামলানো আমার পক্ষে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জ ছিল। সেসময় যেভাবে পেরেছি, পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি।”

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed