চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফিরছেন বাংলার পেসার? দেশের জার্সির চেয়ে বড় প্রেরণা আর কী চাই : সামি

বেঙ্গালুরুর জাতীয় অ্যাকাডেমিতে একটা সিঁড়ি বেয়ে ওঠার ক্ষমতাও ছিল না। অন্যের সাহায্য নিয়ে ধরে-ধরে এগোতেন। আবার বল হাতে আগের মতো ছুটবেন! আবার উইকেট নেবেন! আবার সেই সামিকেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দেখা যাবে? মহম্মদ সামি সেই দিনগুলো স্পষ্ট মনে করতে পারেন।বরোদায় বিজয় হজারে ট্রফিতে সামির বোলিং ১০-০-৬১-৩। পরিসংখ্যান বলছে ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে প্রত্যাবর্তন মোটামুটি নিশ্চিত। ‘‘উপরওয়ালা চাইলে সব হয়। সব হবে,’’ দার্শনিক সুর সামি বলেন, ‘‘সব সময় মনে করেছি, যদি কপালে থাকে আবার খেলব, তা হলে ঠিক খেলব। সব সময় খেলাটার প্রতি সৎ থাকতে চেয়েছি। নিজের কর্মের প্রতি সৎ থাকতে চেয়েছি। চেষ্টা করেছি, উত্থান-পতন যেমন চলে চলুক, আমার দিক থেকে যেন চেষ্টার কোনও খামতি না থাকে। খেলোয়াড়ের কাছে খেলাটাই তো সব। সেটাই যদি না থাকে, কার ভাল লাগে? আমার কাছে বলই জীবন। বল হাতে না তুলতে পারলে সেই জীবন কী করে উপভোগ করব? জীবন খুব কঠিন হয়ে উঠেছিল, এটুকু বলতে পারি। দেশের জার্সি পরে খেলব, এর চেয়ে বড়় অনুপ্রেরণা আর কী লাগবে? কোনও দিনই আর কোনও প্রেরণা আমার দরকার পড়েনি। আমি বেঙ্গালুরুর জাতীয় অ্যাকাডেমিতে রিহ্যাব করতে করতে শুধু ভারতের জার্সিটা দেখতাম। ব্যস, নিজেকে চাঙ্গা করতে আর কিছুর দরকার পড়ত না। আমি ভারতীয় দলে ফিরতে পারব কি না, সেটা সময় বলবে। নির্বাচকেরা ঠিক করবেন আমাকে নেবেন কি না। কখন ফিরব, সেটাও তাঁদের হাতে। তবে আমি আশাবাদী মানুষ। আবার ভারতীয় দলের হয়ে খেলব এই আশা, স্বপ্ন নিয়েই তো লেগেপড়ে থেকেছি যাতে মাঠে ফিরতে পারি।একটা কথা বলতে চাই। ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে বাংলার শিবিরে ফেরাটা আমাকে ফুরফুরে করে দিয়েছে। দারুণ সময় কাটিয়েছি। মনে হচ্ছিল যেন শুরুর সেই দিনগুলোতে ফিরে গিয়েছি।’’

এক বছর পরে দেশের জার্সিতে ফেরার পথে। শেষ খেলেছিলেন ১৯ নভেম্বরের অভিশপ্ত আমদাবাদে। জোড়া ধাক্কা। বিশ্বকাপ জেতা সঙ্গে চোটের ভুলভুলাইয়ায় সামি। বাংলা দলের সতীর্থদের গলার আওয়াজ প্রিয় দেশের জার্সি গায়ে তোলার অপেক্ষায়? বাংলার হয়ে খেলাটাও দারুণ উপভোগ করেছেন। বাংলার হয়ে মুস্তাক আলি ট্রফিতে খেলেছেন। বিজয় হজারেতে খেললেন। হরিয়ানার কাছে হেরে বিদায় বাংলার। রঞ্জি ট্রফি ম্যাচ ২৩ জানুয়ারি থেকে। তার আগে দেশের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজ শুরু। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সরাসরি না নামিয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সামিকে খেলিয়ে দেখে নেওয়ার ভাবনা রয়েছে। চোটের কারণে যশপ্রীত বুমরা এই সিরিজে থাকবেন নিশ্চিত। সামিকে দরকার। অজিত আগরকরের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি দল বাছতে বসবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১২ জানুয়ারি। একই সঙ্গে ইংল্যান্ড সিরিজ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল বেছে নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সামিকে কুড়ি ওভারের দলেও রাখা হলে ২২ জানুয়ারি প্রিয় ইডেনেই ভারতের জার্সি গায়ে প্রত্যাবর্তন ঘটাতে পারেন সামি। বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করবেন কলকাতায়?