সাতসকালে তিব্বতে ভূমিকম্পের তীব্রতা ৭.১,নেপাল, শিলিগুড়ি এবং সিকিম-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে অনুভূত

তিব্বতে মঙ্গল সকালে ভূমিকম্প অনুভূত। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ৭.১। রাজধানী দিল্লি এবং ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী অঞ্চলেও কম্পন। উত্তরবঙ্গেও কম্পন অনুভূত। সাতসকালে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল নেপাল। কম্পন অনুভূত হয়েছে উত্তরবঙ্গ, বিহারের উত্তরাংশ-সহ দেশের বিভিন্ন অংশে। ভূমিকম্পের উৎসস্থল তিব্বত। গুরুতর আহত অন্তত ৩৮ জন। সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পে অন্তত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা। প্রথম কম্পনটি হয় সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.১। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ফের কেঁপে ওঠে শিজাং। পর পর কম্পন অনুভূত হয়েছে একই অঞ্চলে। দ্বিতীয় কম্পন সকাল ৭টা ২মিনিটে, তীব্রতা ৪.৭। পাঁচ মিনিট পরে আবার তৃতীয় কম্পন, সকাল ৭টা ৭মিনিটে। তৃতীয় কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৯। প্রথম দু’টি ভূমিকম্প হয়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। তৃতীয়টি ৩০ কিলোমিটার গভীরে। ছ’মিনিট পরে আরও একটি কম্পন অনুভূত হয়, যার তীব্রতা ছিল ৫।

ভূমিকম্প হওয়ার পরের কিছু ক্ষণ ধরে এই ধরনের কম্পন (আফটারশক) অনুভূত বয়। মঙ্গল সকালে নেপাল-তিব্বত সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এই ভূমিকম্পের জেরে রাজধানী দিল্লি থেকে শুরু করে বিহার এবং ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী অঞ্চলে টের পাওয়া গিয়েছে কম্পন। উত্তরবঙ্গের কিছু অঞ্চলেও মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে। পাশাপাশি ভুটান এবং চিনের কিছু অঞ্চলেও কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে। ভূমিকম্পের যে তীব্রতা ছিল, তাতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও রয়ে গিয়েছে। বিহারের পটনা-সহ বেশ কিছু অঞ্চলে কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে। বিশেষ করে বিহারের উত্তর দিকে নেপাল সীমান্তবর্তী অঞ্চলে কম্পন বেশি মাত্রায় অনুভূত হয়েছে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ, সিকিম, অসমের কিছু অঞ্চলেও ভূমিকম্প টের পাওয়া গিয়েছে।
ইস্তফা দিচ্ছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো, ঘোষণার পরেই উত্তরসূরি নির্বাচন ঘিরে শুরু তৎপরতা, তিব্বতের অপর একটি শহর শিগাতসে শহরে ৬.৮ তীব্রতার ভূমিকম্প হয়েছে বলে দাবি করেছে চিন। শিগাতসে হল তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। চিনা সংবাদমাধ্যমগুলিতে দাবি করা হচ্ছে, শিগাতসের ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে গত পাঁচ বছরে তিন বা তার বেশি মাত্রার ২৯টি ভূমিকম্প হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ভূমিকম্পের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের মনে। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে কম্পনের পর আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন অনেকে। ২০২৩ সালের নভেম্বরেও ৬.৪ মাত্রার জোরালো ভূমিকম্প নেপালে। ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয় হিমালয়ের কোলে থাকা এই পাহাড়ি দেশে। বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, এই অঞ্চলে ভারতীয় পাতের সঙ্গে ইউরেশীয় পাতের সংঘর্ষের প্রবণতার কারণে এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের আশঙ্কা প্রবল।