দামোদর থেকে উদ্ধার ১১০০ বছরের সূর্য মূর্তি! বর্ধমানের পিকনিক স্পট থেকে মিলল পাল-সেন যুগের মূর্তি!

পিকনিক স্পট। পূর্ব বর্ধমানের রায়নার নতুন পঞ্চায়েত এলাকার হরিপুর। চড়ুইভাতি করতে গিয়েছিলেন রাজকুমার কুণ্ডু, সঞ্জয় তার দলবল! পিকনিক স্পটের অদূরে চোখে পড়ল, বড়সড় কালো একটা খোদাই করা মূর্তি। বহু প্রাচীন মূর্তির আদল সূর্যমূর্তির মতো। সপ্তাশ্ব, একচক্র, দুই নারী – এক জায়গায় খোদাই করা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা খবর দেন পুলিশ। জেলার এসপি সায়ক দাসের নেতৃত্বে মূর্তি উদ্ধার করে সংরক্ষণের জন্য পাঠানো হয় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামে। গবেষণা শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা। রায়নার হরিপুর থেকে উদ্ধার হওয়া প্রাচীন মূর্তির মুখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়াম ও আর্ট গ্যালারির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শ্যামসুন্দর বেরা জানিয়েছেন, পাল-সেন যুগের মূর্তি। দশম-একাদশ শতকের। অর্থাৎ প্রায় ১০০০ থেকে ১১০০ বছরের প্রাচীন। কালো ব্যাসাল্ট পাথরের মূর্তি। সপ্ত অশ্ববাহিত রথে অবস্থিত, মাঝে একচক্র রথ। সূর্যদেবের দুই হাতে পদ্ম, রয়েছে সারথী-সহ কয়েকজনের মূর্তিও। সূর্য মূর্তির দুপাশে ঊষা ও প্রত্যুষা নামে দুই নারীও রয়েছে। বলা হচ্ছে, এই মূর্তিতে ভাস্কর্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে মিশে রয়েছে ধর্মও।

একশো কেজি ওজন হবে মূর্তিটির। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামে তা সংরক্ষণ করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শ্যামসুন্দর বেরার অনুমান, হয়তো পাশে মন্দির ছিল। বন্যায় ভেসে গিয়েছিল অথবা চুরির পর ফেলে দেওয়া হয়ে থাকে। যার জেরে মূর্তিতে সূর্যের মুখ কিছুটা বিকৃত হয়েছে। ইতিহাসের খোঁজ চলছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজ়িয়ামে বেশ কয়েকটি সূর্য মূর্তি রয়েছে। তবে এই মূর্তিতি ‘ব্যতিক্রমী’ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। মূর্তিটির উচ্চতা তিন ফুট, প্রস্থ প্রায় দেড় ফুট। দামোদর নদের তীর থেকে উদ্ধার এই প্রাচীন সূর্য মূর্তি। মূর্তিটির ইতিহাস জানার চেষ্টায় রয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। ব্যাসল্ট পাথর দিয়ে তৈরি। উচ্চতা প্রায় তিন ফুট, প্রস্থ দেড় ফুট মূর্তিটির উদ্ধারকাজে সহায়তা করার জন্য রায়না থানার পুলিশ এবং স্থানীয় গ্রামবাসীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।