হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জয় মোহনবাগানের, যুবভারতীতে ডার্বির আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিল সবুজ-মেরুন
মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (৩) : হায়দরাবাদ এফসি (০)
হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে সহজ জয় মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের। ৩-০ গোলে ম্যাচ জিতল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ডার্বির আগে আইএসএলে মোহনবাগানের শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দিল না হোসে মোলিনার দল। হায়দরাবাদ দল কোনও ভাবেই মোহনবাগানকে লড়াই দিতে পারেনি। মোহনবাগানের ফুটবলারেরা গোল না ফস্কালে আরও বেশি গোলে হারতে পারত হায়দরাবাদ। ৯ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় মোহনবাগান। লিস্টন কোলাসো উইংস ধরে দৌড়ে এসে ক্রস তোলেন সাহালকে লক্ষ্য করে। চকিতে শট নেন সাহাল। গোলরক্ষকের শরীরে লাগা বল হায়দরাবাদের রক্ষণভাগের ফুটবলার স্টেফান সাপিকের গায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। তাঁর আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। কৃতিত্ব দিতে হবে কোলাসো এবং সাহালেরও।
৪১ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোল পায় মোহনবাগান। এ বারেও গোলের পাস বাড়ান কোলাসো। উইংস থেকে তাঁর তোলা ক্রসে হেড করেন টম অলড্রেড। ২-০ এগিয়ে যায় মোহনবাগান। লাইন্সম্যান ফ্ল্যাগ তুলেছিলেন। রেফারি যদিও তত ক্ষণে গোলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। লাইন্সম্যানের সঙ্গে কথা বলেন গোলের সিদ্ধান্তই জানান। গোটা ম্যাচেই বিপক্ষকে বার বার সমস্যায় ফেলেন কোলাসো। ম্যাচের সেরা ফুটবলারও হয়েছেন। শেষ গোলটি জেসন কামিংসে। ৫১ মিনিটের মাথায় গোল করেন তিনি। জেমি ম্যাকলারেন বল বাড়িয়েছিলেন কামিংসকে লক্ষ্য করে। বক্সের মাথায় বল পেয়ে আর সময় নেননি। চলতি বলেই শট করেন গোল লক্ষ্য করে। হায়দরাবাদের গোলরক্ষক সেই বলের নাগাল পাননি।
মোহনবাগান গোটা ম্যাচ জুড়েই দাপট দেখিয়েছে। সমর্থকেরা এই ম্যাচ দেখেছিলেন বিনা টিকিটে। বছরের শুরুতে প্রথম ম্যাচে সমর্থকদের উপহার দিয়েছিলেন সঞ্জীব গোয়ন্কা। আর বছরের প্রথম ম্যাচে ফুটবলারেরাও মন ভরিয়ে দিলেন সমর্থকদের। পরের ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। ঘরের মাঠে ছ’টি ম্যাচ জিতে লাল-হলুদের বিরুদ্ধে নামবে মোহনবাগান। ১১ জানুয়ারি সেই ম্যাচ হওয়ার কথা।