আস্থা হারাচ্ছেন গম্ভীর! সিডনিতেই ভাগ্য নির্ধারণ? গম্ভীর কখনও কোচ হিসেবে প্রথম পছন্দ ছিলেন না?
টিমের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি দুঃসময়ে। দু’জনের একজনের ব্যাটেও রান নেই। সমালোচনা আসুমদ্রহিমাচলে। ক্রিকেট ভক্তরা টেস্ট থেকে দ্রুত অপসারণ চাইছেন দু’জনের। নতুন জটিলতা সৃষ্টি হল গৌতম গম্ভীরকে নিয়ে। ভারতীয় হেড কোচের দল চালানোর পন্থা ও তাঁর ম্যান ম্যানেজমেন্ট নিয়ে। অধুনা ক্রিকেটবিশ্বে ম্যান ম্যানেজমেন্ট প্রভূত গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোচিং স্ট্র্যাটেজি-ফাইন টিউনিং বাদ দিলে একটাই কাজ থাকে যে কোনও দলের হেড কোচের। এক একজন প্লেয়ারকে তাঁর মতো করে সামলে, তাঁদের থেকে সেরাটা বার করে আনা। ভারতীয় দলের হেড কোচ থাকার সময় রবি শাস্ত্রী যা করেছেন। রাহুল দ্রাবিড় যা করেছেন। কিন্তু গৌতম গম্ভীর করতে পারছেন না।
টিমের অধিকাংশ প্লেয়ারের সঙ্গেই মতের মিল হচ্ছে না গম্ভীরের। শাস্ত্রী কিংবা দ্রাবিড় জমানায় প্লেয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। নির্বাচনী নিয়ে এত দিন প্লেয়ারদের সঙ্গে অধিনায়ক রোহিত শর্মা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের সময় টস করে ফিরে এসে নাকি সঞ্জু স্যামসনকে ভারত অধিনায়ক বুঝিয়েছিলেন, কেন তাঁকে প্রথম একাদশে রাখা সম্ভব হয়নি। এত সিনিয়র হওয়া সত্ত্বেও রোহিতের এমন নম্র ব্যবহার মুগ্ধ করে দিয়েছিল সঞ্জুকে। গম্ভীর কোচ হয়ে আসার পর থেকে সেটা নাকি আর হচ্ছে না।
নিজের ফর্ম নিয়ে ঘোরতর ভুগছেন রোহিত।সমস্যা আরও বাড়িয়েছে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে টিমের খারাপ পারফরম্যান্স। পারথ টেস্ট জিতে মধুর ভাবে সিরিজ শুরু করেছিল ভারত। অ্যাডিলেড আর মেলবোর্নে হারার পর ভারতীয় ড্রেসিংরুম থেকে নানাবিধ অশান্তির খবর। এমসিজি টেস্ট হারার পর ড্রেসিংরুমে নাকি প্লেয়ারদের উপর ফেটে পড়েছেন গম্ভীর। কড়া বার্তা দিয়ে বলেছেন যে, প্লেয়ারদের নিজেদের ইচ্ছেমতো খেলা অনেক তিনি বরদাস্ত করেছেন, আর করবেন না। প্লেয়াররা নিজেদের মর্জিমাফিক খেলে চলেছেন। যা তিনি মেনে নেবেন না। এবার থেকে তাঁর বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট পন্থায় দলকে খেলতে হবে। তিনি যে ভাবে বলবেন, যা করতে বলবেন, সেটা করতে হবে। আর যে সমস্ত প্লেয়াররা সেটা করবেন না, তাঁদের জন্য ভারতীয় টিমের দরজা বন্ধ!
সিডনি টেস্ট আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যদি ভালো পারফর্ম না করতে পারে ভারত, তা হলে গম্ভীরের চাকরি বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়বে। বিশ্বজয়ী ভারতীয় ওপেনার কখনও কোচ হিসেবে প্রথম পছন্দ ছিলেন না। প্রথমে ভিভিএস লক্ষ্মণকে ভাবা হয়েছিল। নামী বিদেশি নামও বিবেচনায় ছিল। কিন্তু তাঁরা কেউ একসঙ্গে তিনটে ফর্ম্যাটে কোচিং করাতে চাননি বলে বাধ্য হয়ে গম্ভীরকে কোচ করতে হয়। আইপিএলের দু’টো ফ্র্যাঞ্চাইজিতে তিনি সফল হয়েছিলেন। জাতীয় নির্বাচকদের সঙ্গেও কোচের সম্পর্ক নিয় শোনা যাচ্ছে, চেতেশ্বর পুজারাকে নাকি গম্ভীর চেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া সফরের দলে। নির্বাচকরা আমল দেননি।