দেশের দরিদ্রতম মুখ্যমন্ত্রী মমতা, ধনীতম চন্দ্রবাবু নায়ডু!সম্পত্তির মালিকানার তালিকায় শীর্ষে ৯৩১ কোটির মালিক
প্রকাশ্যে দেশের সবচেয়ে ধনী ও সবথেকে দরিদ্র মুখ্যমন্ত্রীর নাম। কয়েক শো কোটির সম্পত্তির মালিক হয়ে শীর্ষে চন্দ্রবাবু নায়ডু। মাত্র ১৫ লক্ষ টাকার সম্পত্তির মালিকানায় তালিকার একেবারে নিচের নামটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দেশের বাকি ৩১ জন মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ত্তের পরিমান? অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস অর্থাৎ এডিআরের রিপোর্ট বলছে, দেশের ধনীতম মুখ্যমন্ত্রী অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নায়ডুর সম্পত্তির পরিমাণ ৯৩১ কোটি টাকা। ধনসম্পদের নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডুর সম্পত্তির মোট পরিমাণ ৩৩২ কোটি টাকা।
এনডিএ-র শরিক দলের মুখ্যমন্ত্রীরা সম্পত্তির নিরিখে তালিকার শীর্ষস্থানে। কেবল ১৫ লক্ষ টাকার মালিকানা নিয়ে তালিকার একেবারে নিচে রয়েছেন মা-মাটি-মানুষের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের দ্বিতীয় গরিব মুখ্যমন্ত্রী জম্মু কাশ্মীরের ওমর আবদুল্লার সম্পত্তির পরিমাণ ৫৫ লক্ষ। দেশের ‘সর্বহারা’দের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দেওয়া বাম মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও কোটি টাকার মালিক। কেরলের প্রশাসনিক প্রধানের সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি। ২০২৩-২০২৪ আর্থিক বর্ষে রাজ্য বিধানসভাগুলি থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই তালিকা।
বিরোধী নেত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী, মাঝে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, একের পর এক হাই প্রোফাইল দায়িত্ব সামলানো সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধাসাধি জীবনযাত্রা সকলের নজর কেড়েছেন। দিনের পর দিন টালির চালের বাড়িতে জীবন কাটিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও সেখানেই থাকছেন। মা-মাটি-মানুষের নেত্রীর জীবনযাত্রা বহু রাষ্ট্রনায়ককে বিস্মিত করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার জানিয়েছেন তিনি প্রাক্তন সাংসদ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে পেনশন নেন না। মুখ্যমন্ত্রী বা বিধায়ক হিসেবেও নেন না পুরো বেতন। মাসিক মাত্র ১ টাকা বেতন তোলেন। বই এবং গানের রয়্যালটির টাকায় সংসার চলে মমতার। ফলে তিনিই দেশের দরিদ্রতম মুখ্যমন্ত্রী।