January 14, 2025

আরজি কর নির্যাতিতার যোনিদ্বারে এক নারীর ডিএনএ!‌সিএফএসএল-এর একটি রিপোর্ট, যোনিদ্বারে ডিএনএ নমুনায় ‘‌গোলমেলে ইঙ্গিত’‌

0
RG Kar

আরজি কর কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর দাবি। নির্যাতিতার যোনিদ্বারে নারীর ডিএনএ। রিপোর্টে দাবি, আরজি করে খুন হওয়া নির্যাতিতার যোনিদ্বার থেকে মেলা ডিএনএ নমুনার বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, D12S391 মার্কারে অন্য মহিলার সঙ্গে নির্যাতিতার নমুনার মিশ্রণ স্পষ্ট। অন‍্য মহিলার জেনোটাইপ হল ১৬/২২। আরজি কর কাণ্ডে আবহে সম্প্রতি সিএফএসএল-এর একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে কোনও বীর্য মেলেনি। তবে সেখানে যে ডিএনএ মিলেছে, তা একাধিক ব্যক্তির মিশ্রিত ডিএনএ। এবার এক রিপোর্টে দাবি, নির্যাতিতার যোনিদ্বারে যে ডিএনএ মিলেছে, তাতে এক মহিলার ডিএনএ উপস্থিত আছে। এই আবহে আরজি কর কাণ্ডে নয়া মোড়। নির্যাতিতার যোনিদ্বার থেকে মেলা ডিএনএ নমুনার বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, D12S391 মার্কারে অন্য মহিলার সঙ্গে নির্যাতিতার নমুনার মিশ্রণ স্পষ্ট। অন‍্য মহিলার জেনোটাইপ হল 16/22।

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ২৯টি ডিএনএ নমুনার বিশ্লেষণ। কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি বা সিএফএসএলের রিপোর্টের ফলাফল পর্যালোচনা করে বিশেষজ্ঞদের দাবি, নির্যাতিতার বৃহৎ অন্ত্রের শেষ ভাগ, স্তনবৃন্ত, যোনিদ্বারে ডিএনএ নমুনায় ‘গোলমেলে ইঙ্গিত’ রয়েছে। দাবি, নির্যাতিতার বৃহৎ অন্ত্র সহ বেশ কিছু অঙ্গ থেকে যে ডিএনএ-র নমুনা মিলেছে, তা এক নারীর। নমুনার কয়েকটি মার্কারে ইঙ্গিত মিলেছে যে সেই ডিএনএ নির্যাতিতার নয়। তা সঞ্জয়েরও নয়। প্রশ্ন, কীভাবে অন্য এক মহিলার ডিএনএ এল নির্যাতিতার দেহে? ৪টি অটোসোমাল মার্কার বিশ্লেষণে নাকি অন্য পুরুষেরও ডিএনএ থাকার ইঙ্গিত রয়েছে। এই আবহে ফের আরজি কর কাণ্ডে একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা।

২১ অগস্ট সিবিআইকে দেওয়া রিপোর্টে সিএফএসএলের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, নির্যাতিতার শরীরে একাধিক ব্যক্তির মিশ্র ডিএনএ ছিল কি না, সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ঘটনায় নির্যাতিতা এবং ধৃত সঞ্জয় রায়ের একাধিক ডিএনএ টেস্টে সিএফএসএল-এর সেই রিপোর্টে, নির্যাতিতার স্তনবৃন্ত, পায়ু, যোনিদ্বারে সোয়াব নমুনায় ‘মাল্টিপল অটোজোমাল প্রোফাইল’-এর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সেখানে একাধিক ব্যক্তির ডিএনএ থাকতে পারে। এবার দাবি, নির্যাতিতার দেহে মেলা ডিএনএ-তে এক নারীর ডিএনএ-ও থাকতে পারে। সিএফএসএল-এর এক ১২ পাতার রিপোর্ট, সকলের নজর এড়িয়ে সেমিনার রুমে প্রবেশ করা ও অপরাধ করে বেরিয়ে যাওয়া অত্যন্ত ক্ষীণ। যে ম্যাট্রেসে পাওয়া গিয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের দেহ সেখানে ধর্ষণ খুনের সময় ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন মেলেনি। এনিয়ে সংশয় প্রকাশ করা সিএফএসএল রিপোর্টে।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed