অনুষ্টুপের অপরাজিত ৯৯, বিজয় হাজারেতে হার্দিকদের বরোদাকে উড়িয়ে দিল বাংলা

বিজয় হাজারে ট্রফিতে জয়ের ধারা অব্যাহত বাংলার। প্রথম ম্যাচে দিল্লিকে হারানোর পর ত্রিপুরার বিরুদ্ধে ম্যাচ বাতিল। বরোদাকে অনায়াসে উড়িয়ে দিলেন সুদীপ কুমার ঘরামিরা। অনুষ্টুপ মজুমদার মাত্র ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি না পেলেও বাংলাকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। ৩ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে আছে বাংলা। বরোদার কাছে হেরেই সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির যাত্রা থেমেছিল বাংলার। এবার মধুর প্রতিশোধ। হায়দরাবাদের জিমখানা মাঠে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলার অধিনায়ক সুদীপ কুমার ঘরামি। শুরুটা ভালোই করেছিলেন শাশ্বত রাওয়াতরা। সায়ন ঘোষের বলে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার দল। ৯৫ রানে অপরাজিত থেকে লড়াই চালান শাশ্বত। রান পাননি হার্দিক-ক্রুণালরা। বাংলার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন সায়ন ঘোষ ও প্রদীপ্ত প্রামাণিক। দুটি উইকেট মুকেশ কুমারের। শেষ পর্যন্ত মাত্র ২২৮ রান করে বরোদা।

জবাবে শুরুতেই আউট হয়ে যান অভিষেক পোড়েল। গোটা মরশুম জুড়ে দুরন্ত ফর্মে থাকলেও এদিন রান পেলেন না বাংলার ওপেনার। ১৭ রানে ফিরে যান সুদীপ ঘরামি। রান আউট হন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। বাংলাকে আজও ভরসা জোগালেন অনুষ্টুপ মজুমদার। বয়স ৪০! হার্দিক-ক্রুণালদের উড়িয়ে ১০৬ বলে ৯৯ রান করে বাংলাকে জয় এনে দিলেন ‘রুকু’। ১ রানের জন্য সেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়া হলেও বাংলাকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। ১২টি চারের সঙ্গে ১টি ছয় দিয়ে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। যোগ্য সঙ্গত সুমন্ত গুপ্তর ৮০ বলে ৬৯ রান। ৪৩ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় বাংলা। বাংলা ৩ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পেয়ে ‘ই’ গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে। এক ম্যাচ বেশি খেলে সমসংখ্যক পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে মধ্যপ্রদেশ। নেট রান রেটে এগিয়ে।