কাশ্মীরে ভারতের প্রথম ঝুলন্ত রেল ব্রিজ, সফল হল ট্রায়াল রান, এবার ছুটবে ট্রেন?

কাটরা-রেসাই সেকশনে চূড়ান্ত ইন্সপেকশন ৫ জানুয়ারি। তারপরই বাকি দেশের সঙ্গে ভূস্বর্গ রেলপথে যুক্ত হবে। কাশ্মীরের আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে ৫টি এসি স্লিপার এবং একটি বন্দে ভারত ট্রেনের ভোল বদল রেল। নতুন বছরের প্রথম মাস থেকেই কাশ্মীরে ট্রেন পরিষেবা চালু। উধমপুর থেকে শ্রীনগর হয়ে বারামুল্লা লাইনে কাটরা-রেসাই সেকশনে চূড়ান্ত ইন্সপেকশন ৫ জানুয়ারি। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ট্রেন স্টেশনগুলিকে বিমানবন্দরের মতো সাজিয়ে তোলা হবে। জম্মু ও কাশ্মীরের অঞ্জি খাদ রেল ব্রিজে সফল ট্রায়াল রানে ছোটে এক টাওয়ার ওয়াগন। ট্রায়াল রানের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ভারতীয় রেল মন্ত্রক লেখে, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নয়া পালক জুড়ল। ভারতের প্রথম কেবল সাসপেনশন রেল ব্রিজ, অঞ্জি খাদে সফল ভাবে টাওয়ার ওয়াগনের ট্রায়াল রান সম্পন্ন করল ইউএসবিআরএল প্রোজেক্ট।’ উধমপুর থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘুঁটি ছিল এই অঞ্জি খাদ রেল সেতু। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন ভারতের প্রথম কেবল সাসপেনশন ব্রিজের ওপর দিয়ে বন্দে ভারতে করে শ্রীনগর পৌঁছে যাওয়া যাবে।
জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় একটি মাত্র স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে এই অঞ্জি খাদ সেতু। এর উপর দিয়ে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে পারবে ট্রেন। উধমপুর থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের অধীনে এই রেল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এই রেল প্রকল্পটি নিয়ন্ত্রণ রেখা পর্যন্ত সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। জানা গিয়েছে, অঞ্জি খাদ সেতুটি ১৫ মিটার চওড়া। মূল বিস্তৃতি ২৯০ মিটার। এই সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৪৭৩.২৫ মিটার। একটি মাত্র স্তম্ভ ধরে রেখেছে সেতুটিকে। ভিত থেকে তার উচ্চতা ১৯৩ মিটার। নদীগর্ভে আরও ৩৩১ মিটার গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত স্তম্ভটি। এই স্তম্ভের সঙ্গে ৯৬টি কেবলের সাহায্যে সেতুটিকে শূন্যে রীতিমতো ভাসিয়ে রাখা হয়েছে। এই সাসপেনশন ব্রিজকে যে তার বা কেবলগুলি শূন্যে ভাসিয়ে রেখেছে, সেগুলির দৈর্ঘ্য ৮২ মিটার থেকে ২৯৫ মিটার। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই কেবলগুলির সম্মিলিত দৈর্ঘ্য হল ৬৫৩ কিলোমিটার। দাবি, ৪০ কেজি বিস্ফোরকও এই সেতুটিকে উড়িয়ে দিতে পারবে না। ঘণ্টায় ২১৩ কিলোমিটার বেগে আসা ঝড়ও সেতুটিকে দোলাতে পারবে না।