বড়দিনের মতোই উষ্ণ বর্ষবরণ? বছর শেষে উধাও জাঁকিয়ে শীত, দার্জিলিয়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা

এক দশকের উষ্ণতম বড়দিনের সাক্ষী বাংলা। বর্ষশেষ বা বর্ষবরণও একইরকম? বঙ্গবাসীর প্রশ্ন। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বলছে, বছর শেষে জাঁকিয়ে শীত উধাও। বর্ষশেষের আগে হাওয়া বদলের ইঙ্গিত। রবিবারের পর নামবে পারদ। বর্ষশেষ ও বর্ষবরণে ফিরবে শীতের আমেজ। দার্জিলিয়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা। স্বাভাবিকের উপরে থাকবে তাপমাত্রা। উইকেন্ডে বাড়বে উষ্ণতা। রবিবারের পর নামবে পারদ। তাপমাত্রা কমলেও জাঁকিয়ে শীতের পরিস্থিতি এ বছরে নেই। বর্ষশেষ ও বর্ষবরণে ফিরবে শীতের আমেজ। কলকাতার রাতের তাপমাত্রা আরও একটু বেড়েছে। সকাল সন্ধ্যা শীতের আমেজ থাকলেও কার্যত শীত উধাও কলকাতায়। দিনের বেলায় উষ্ণতার ছোঁয়া।
বছরের শেষে বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে। শনিবার হালকা বৃষ্টি হবে তিন জেলাতে-পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ। প্রভাব আশেপাশের দুই-একটি জেলাতেও। হালকা বৃষ্টি দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়িতেও। পর্যটকদের জন্য সুখবর। উঁচু পার্বত্য এলাকায় হতে পারে হালকা তুষারপাত। বরফ পড়তে পারে দার্জিলিয়েও। গভীর নিম্নচাপ এখনও সুস্পষ্ট নিম্নচাপ রূপেই অবস্থান। শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। অভিমুখ থাকবে উত্তর-পশ্চিম দিকে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তর-পশ্চিম ভারতে। উত্তর-পশ্চিম ভারতে ঢুকবে আরও একটি ঝঞ্ঝা। জেডস্ট্রিম উইন্ড উত্তর-পশ্চিম ভারতে। ঘূর্ণাবর্ত পূর্ব বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকায়। হরিয়ানা এবং মধ্যপ্রদেশ এলাকাতেও।উত্তরবঙ্গে আবহাওয়া সর্বত্র শুষ্ক থাকবে। এরপর ২৯ ডিসেম্বর উত্তরে হালকা বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পঙের কোথাও কোথাও। ২৮ ডিসেম্বর উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। তিনদিন পর ফের ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে উত্তরের তাপমাত্রা। আর তারপরে ফের কিছুটা কমবে পারদ।