চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট! ‘সুচরিতার’ উদ্দ্যেশ্য কী ছিল? আরজি করের খুনকে ‘আত্মহত্যা’ বলে চালাতে চেয়েছিলেন?
আরজি করে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে প্রথম দিকে ‘আত্মহত্যা’ বলে চালানোর চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার বাবার দাবি, তাঁকে হাসপাতাল থেকে গত ৯ আগস্ট যে ফোন করে বলা হয়েছিল, তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা চলছে। কে করেছিল সেই ফোন? আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে সম্প্রতি ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। ৯ আগস্ট আরজি করের নন মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারই ফোন করেছিলেন নির্যাতিতার বাবাকে। ফোনে দাবি করেছিলেন, তরুণী চিকিৎসক আত্মহত্য করেছেন। জানা গিয়েছে, সেদিন সন্দীপ ঘোষের নির্দেশে ৯ আগস্ট সকাল ১০টার পর নন মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সুচরিতা সরকার চেস্ট মেডিসিন বিভাগে পৌঁছেছিলেন। বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরী সেই সময় সুচকিতাকে বলেন যাতে নির্যাতিতার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়।
৯ আগস্টের সকালে নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবাকে দু’বার ফোন করেছিলেন সুচরিতা। দ্বিতীয়বার সুচরিতার ফোন ধরেছিলেন নির্যাতিতার বাবা। সুচরিতা বলেছিলেন, ‘আপনার মেয়ে সুইসাইড করেছে।’ সুচরিতা এই কথা বলার পরই নাকি তাঁকে এই নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরী। কেন এমন বলা হল? জানতে চাওয়া হলেও সুচরিতা নীরব থাকেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার কথা জানতে পেরেই নাকি সেদিন দেহ মর্গে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। নির্দেশ তিনি ইউনিট হেড সুমিত রায় তপাদারকে দিয়েছিলেন। অপরদিকে সুচরিতা কার নির্দেশে চিকিৎসকের মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ আখ্যা দিয়েছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। সুচরিতা সরকারের কোনও বয়ান নথি তালিকায় নেই বলে দাবি, কেন সুচরিতার বয়ান নথি তালিকায় নেই? দু’দফায় সঞ্জয়ের বয়ান রেকর্ড করেছে কলকাতা পুলিশ। দাবি করা হয়েছে, দ্বিতীয় বয়ানে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা অভিযুক্তের। সেই বয়ানে নাকি সই করতে অস্বীকার সঞ্জয় রায়ের।