January 14, 2025

হুগলি নদীর নীচে চলবে গাড়ি, কলকাতা থেকে হাওড়া টানেলে তৈরীর পরীক্ষা শুরু

0
Tunnel

গঙ্গার নীচে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর টানেল। মেট্রো যাতায়াত করে টানেল দিয়ে। এবার হুগলি নদীর নীচ দিয়ে এমন টানেলের পরিকল্পনা। যেখান দিয়ে গাড়ি চলবে। সেজন্য ‘স্টাডি’ শুরু করা হয়েছে। হুগলি নদীর নীচে পণ্যবাহী টানেল তৈরির জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করল কেন্দ্রীয় সরকার। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গের মতোই নদীর তলা দিয়ে সেই টানেল কলকাতা এবং হাওড়াকে যুক্ত করবে। প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১১,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেই টানেল তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যে কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাও সেরেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কলকাতার মেটিয়াবুরুজ থেকে সম্ভবত ওই টানেল শুরু হবে। বোটানিক্যাল গার্ডেনের কাছে নদীবক্ষ থেকে সেই টানেল উঠতে পারে। টানেল-সহ ওই প্রস্তাবিত অংশের দৈর্ঘ্য ১৫ কিলোমিটার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়াল জানিয়েছেন, ওই টানেল তৈরির জন্য একটি রিপোর্ট তৈরির কাজ চলছে।

টানেল চালু হয়ে গেলে দ্বিতীয় হুগলি সেতু, হেস্টিং, গার্ডেনরিচ সার্কুলার রোড, খিদিরপুরের মতো গাড়ির চাপ অনেকটা কমে যাবে। কারণ ওই টানেল দিয়েই সমস্ত পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করবে। পণ্যবাহী বড়-বড় গাড়িগুলি ওই সব রাস্তা দিয়ে যায়। রাস্তায় যেমন গাড়ির সংখ্যা বাড়ে, তেমনই অন্যান্য গাড়ির গতিও কমে যায়। ফলে তৈরি হয় যানজট। মাল্টি-লেভেল কার পার্কিংয়ের জন্য কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষ এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। বন্দরের মালিকাধীন বিভিন্ন জমিতে মাল্টি-লেভেল কার পার্কিং তৈরির পরিকল্পনা করছে পুরনিগম কর্তৃপক্ষ। মিলেছে বন্দর কর্তৃপক্ষের আশ্বাসও। টানেল তৈরি হয়ে গেলে যানজট কমবে। দূষণও কমবে। টানেল তৈরি হয়ে গেলে কলকাতা এবং হাওড়া শহরের যানজট কাটিয়ে বেরিয়ে যেতে পারবে পণ্যবাহী গাড়িগুলি। সোজা গিয়ে উঠবে জাতীয় সড়কের (ন্যাশনাল হাইওয়ে) সঙ্গে।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed