অভিষেক পোড়েলের শতরান, বিজয় হাজারের প্রথম ম্যাচেই বড় জয় বাংলার

দিল্লি: ২৭২/৭ (অনুজ রাওয়াত ৭৯, হিম্মত সিং ৬০)
বাংলা: ২৭৪-৪ (অভিষেক ১৭০, অনুষ্টুপ ৩৭)
বাংলা ৬ উইকেটে জয়ী।
সামিহীন ম্যাচে নায়ক অভিষেক। মুস্তাক আলি ট্রফিতে অনবদ্য ফর্মে ছিলেন। বিজয় হাজারেতেও নজর কাড়ছেন। সেঞ্চুরি অভিষেক পোড়েলের। বিজয় হাজারের প্রথম ম্যাচেই বড় জয় বাংলার। দিল্লিকে ৬ উইকেটে হারালেন লক্ষ্মীরতন শুক্লার ছেলেরা। সামির অনুপস্থিতি বঙ্গ বোলিং বিভাগের নেতৃত্ব দিলেন মুকেশ কুমার। হায়দরাবাদে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ৩৬ রানের মধ্যেই দুই উইকেট হারায়। বৈভব কাণ্ডপাল ৪৭, আয়ুশ বাদোনিরা ৪১ রানের পর হিম্মত সিং এবং অনুজ রাওয়াতের জোড়া অর্ধশতরানে ভর করে দিল্লি ৭ উইকেটে ২৭২ রান করে দিল্লি। হিম্মত ৬০ এবং অনুজ ৭৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। বাংলার হয়ে ৪টি উইকেট নেন মুকেশ কুমার।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাকে জেতান অভিষেক পোড়েল। ১৩০ বলে অপরাজিত ১৭০ রানের ইনিংস খেললেন বঙ্গ উইকেটরক্ষক। ইনিংসে ছিল ১৮টি বাউন্ডারি এবং ৭টি ওভার বাউন্ডারি। অভিষেকের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৪১ ওভার ৩ বলেই নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলা। গত আইপিএল থেকেই অভিষেক নির্বাচকদের নজরে। সম্প্রতি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতেও অনবদ্য ফর্মে ছিলেন। এবার বিজয় হাজারেতেও নজর কাড়ছেন। ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে আগামী দিনে জাতীয় নির্বাচকদের চিন্তায় ফেলবেন বাংলার উইকেটরক্ষক।

জাতীয় দল থেকে বাংলা শিবিরে ফিরেই বল হাতে চমক মুকেশ কুমারের। মহম্মদ সামির অভাব টের পেতে দিলেন না তারকা পেসার। শনিবার হায়দরাবাদে বিজয় হাজারে ট্রফির ই-গ্রুপের ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে সুদীপ ঘরামির নেতৃত্বাধীন বাংলা ও আয়ুষ বাদোনির নেতৃত্বাধীন দিল্লি। টস জিতে বাংলা দলনায়ক সুদীপ শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান দিল্লিকে। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৭২ রানের বডসড় ইনিংস গড়ে তোলে। হাফ-সেঞ্চুরি করেন হিম্মত সিং ও উইকেটকিপার অনূজ রাওয়াত। হিম্মত ৫৭ বলে ৬০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ৭টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ৬৬ বলে ৭৯ রান করে অপরাজিত অনূজ ৯টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৬ বলে ৪১ রান করেন ক্যাপ্টেন বাদোনি। বৈভব কান্দপাল ৬৭ বলে ৪৭ রান করেন। তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। যশ ধুল ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৯ বলে ৮ রান করেন।

মুকেশ দিল্লির বিরুদ্ধে ১০ ওভার বল করে ১ মেডেন-সহ ৬৬ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন। সায়ন ঘোষ ১০ ওভার বল করে ১ মেডেন-সহ ৬৬ রানে ১ উইকেট নেন। ৯ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন কৌশিক মাইতি। ব্যাট করতে নেমে বাংলা ৪১.৩ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৭৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ৫১ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে বাংলা। ওপেন করতে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন অভিষেক পোড়েল। ১৭০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। ১৩০ বলের বিধ্বংসী ইনিংসে অভিষেক ১৮টি চার ও ৭টি ছক্কা মারেন। ৫ রান করে আউট হন করণ লাল। ক্যাপ্টেন সুদীপ ঘরামি ২৩ রান, অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার ৩৭ রান, সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ১৫ রান করেন। ১৩ রানে অপরাজিত সুমন্ত গুপ্ত। ৮ ওভারে ৪৪ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন আয়ুষ বাদোনি। ১টি উইকেট নেন নভদীপ সাইনি। উইকেট না পেলেও ৭ ওভারে মাত্র ২৭ রান খরচ করেন ইশান্ত শর্মা। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন অভিষেক।