সামির হাঁটু ফোলা! ঝুঁকি নেয়নি সিএবি?বিজয় হাজারে ট্রফির ম্যাচে দিল্লির বিপক্ষে বাংলার পেসারকে বিশ্রামের সিদ্ধান্ত

দিল্লিতে শনিবার বাংলার সঙ্গে বিজয় হাজারে ট্রফিতে ম্যাচ। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে দিল্লি ভালো ক্রিকেট খেললেও ফাইনালিস্ট নয়। বাংলাও বরোদার কাছে নকআউট হেরে যায়। বিজয় হাজারের এই ম্যাচ তাই হাড্ডাহাড্ডি হবে। এই ম্যাচে বাংলা খেলাবে না তারকা পেসার মহম্মদ সামিকে। বিজয় হাজারে ট্রফিতে বহু তারকাই খেলতে চলেছেন, যে ক্রিকেটাররা জাতীয় দলে খেলছেন না। শ্রেয়স আইয়ার থেকে শুরু করে বাংলার পেসার মহম্মদ সামি। সব রাজ্য সংস্থাই দলের ক্রিকেটারদের ওয়ার্ক লোডের বিষয়টিও মাথায় রাখছে। সামনে রঞ্জির মরশুম। আবার তিন মাস পর আইপিএল।

তারকা পেসার মহম্মদ সামি নভেম্বর মাসেই মাঠে ফিরেছিলেন প্রায় ১ বছর পর। গতবছর ওডিআই বিশ্বকাপের পর থেকে তিনি মাঠের বাইরে ছিলেন চোটের জন্য। অস্ত্রোপচারও হয়। এরপরই হাঁটু ফুলে যেতে থাকে বেশি ওয়ার্কলোডের কারণে। রঞ্জিতে এক ম্যাচে বোলিং করতে তেমন সমস্যা না হলেও সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে বোলিংয়ের পর ফের হাঁটু ফুলেছে বাংলার এই পেসারের। সঙ্গে হাল্কা ব্যাথাও। আর কোনওভাবেই সামিকে নিয়ে তাই ঝুঁকি নিতে চাইছে না বাংলা। শুধু বঙ্গ ক্রিকেট সংস্থাই নয়, বিসিসিআইও চাইছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ফুল ফিট সামিকে। ব্যক্তিগতভাবে গতবারের আইপিএল মিস করা সামিও চাইছেন আর চোট না পেয়ে এবারে আইপিএল খেলতে। স্রেফ আর্থিক কারণে নয়, চোটের কারণে গুজরাট দল ছেড়ে দিয়েছে সামিকে। জবাব দেওয়ার জ্য তৈরী হচ্ছেন বাংলার পেসার।

তৃতীয় টেস্ট ব্রিসবেনে ড্র হওয়ার পরই ফের একবার অধিনায়ক রোহিত শর্মাও বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় যেখানে ও রিহ্যাব করছে, সেই এনসিএর কারোর এই নিয়ে এবার কথা বলা উচিত। ওরাই একমাত্র সামিকে নিয়ে আপডেট দিতে পারবে, ও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছে বটে। কিন্তু ওর চোট সম্পর্কে আমরা অবগত নই। তাই ২০০ শতাংশ নিশ্চিত না হয়ে ওকে আমরা খেলাতে চাই না’।

বাংলা ক্রিকেট সংস্থার এই সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যাচ্ছে, তাঁকে রাজ্য সংস্থার হয়ে খেলানোর থেকেও সামির রিকভারি এবং জাতীয় দলে ফেরার দিকেই তাঁরা বাড়তি টার্গেট করছেন। কোনওভাবেই যাতে এই বর্ষিয়ান পেসারের ওপর অতিরিক্ত চাপ না পড়ে সেদিকে নজর রাখছে সিএবি। সুদীপ ঘরামির দলে ভারতীয় দল থেকে সদ্য ফেরা পেসার মুকেশ কুমার।