গদির লোভেই বাংলাদেশে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা!আওয়ামি লিগকে ‘অগণতান্ত্রিক’ ভাবে মুছে ফেলতে ছক বাংলাদেশে?

নির্বাচন কমিশন গঠন। বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা চাইছেন না এখন নির্বাচন হোক। উত্তাল বাংলাদেশে শান্তি ফেরাতে প্রয়োজন নির্বাচন। ক্ষমতার লোভে ভোটপ্রক্রিয়া নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহম্মদ ইউনুস, অভিযোগ উঠছে ক্রমাগত। বিজয় দিবসে ভাষণের মাঝেই নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় জানালেন ইউনুস।
বিজয় দিবসে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে মহম্মদ ইউনুসের ভাষণ সরাসরি সম্প্রচারের সময়ে ভোটের সম্ভাব্য সময় জানান। ইউনুস বলেন, ২০২৫ সালের শেষ দিকে নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের উপর নির্ভর করছে গোটা বিষয়টা। ভোট পিছতে পারে ৬ মাস। সবাইকে মিলেমিশে চলার কথা বলেন ইউনুস। একশো শতাংশ মানুষ যাতে ভোটদান করার কথাও নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্যও করেন। ইউনুস জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। তাঁদের হাতেই এখন গোটা প্রক্রিয়া।
হাসিনা সরকারের পতনের পর এখন বাংলাদেশের রাশ অন্তবর্তীকালীন সরকারের হাতে। ইউনুসের শাসনকালে অশান্ত বাংলাদেশ। চরমে হিন্দু নির্যাতন। অশান্তি, হামলা, অত্যাচারে সন্ত্রস্ত আমজনতা। একমাত্র নির্বাচিত সরকারই শান্তি ফেরাতে পারে বলে মনে করছে সবমহল। এদিকে গদির লোভে ইউনুস ভোট প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করতে চাইছে বলে অভিযোগও উঠছে। ইউনুসের ভোটের সময় ঘোষণা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে পালাতে বাধ্য করেছিল গণঅভ্যুত্থান। এরপর থেকেই হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের দাবিতে সরব কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নেতারা। নির্বাচনে আওয়ামি লিগ যাতে কোনও ভাবে অংশ না নিতে পারে, সেই অঙ্কই কষছে আন্দোলনকারীরা? শেখ হাসিনা এবং আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা ধরে রাখার অভিযোগ বাংলাদেশে। অন্তরবর্তী সরকার গঠন হতেই অলিখিত ভাবে আওয়ামি লিগ যেন নিষিদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশে। এবার বিজয় দিবসে জাতীয় নাগরিক কমিটির সমাবেশ থেকে বলা হল, ‘শেখ হাসিনার বিচারের আগে যারা নির্বাচন চাইবে, তারা জাতীয় শত্রু।’ ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার বাংলামোটর এলাকা থেকে জাতীয় নাগরিক কমিটির বিজয় মিছিল শুরু হয়েছিল। এরপর সেই মিছিলটি শাহবাগ, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, নীলক্ষেত, পলাশী হয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার যায়। সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা হয়ে মিছিলটি শাহবাগে এসে শেষ হয়। সমাবেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সুর চড়ান জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা।