বিনামূল্যে খেলা দেখবেন মোহনবাগান সমর্থকেরা, ২ জানুয়ারি যুবভারতীতে ঘোষণা উপহার গোয়েঙ্কার, রেফারির ভুলে বাঁচল মোহনবাগান? ‘সার্কাস লিগ’ পেনাল্টিতে না?

যুবভারতীতে কেরল ব্লাস্টার্সকে হারানোর পরেই মোহনবাগান সমর্থকদের জন্য উপহার দলের মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কার। নতুন বছরের প্রথম হোম ম্যাচ বিনামূল্যে দেখতে পাবেন বাগান সমর্থকেরা। ঘরের মাঠে বছরের শেষটা ভাল হয়েছে মোহনবাগানের। পিছিয়ে পড়েও যুবভারতীতে কেরল ব্লাস্টার্সকে হারিয়েছে। খেলা দেখতে মাঠে গিয়েছিলেন গোয়েঙ্কা। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ মিনিটে গোল করে দল জেতে। খেলা শেষে স্টেডিয়ামে বাগান সমর্থকদের সুখবর দিয়ে গোয়েঙ্কা বলেন, “ঘরের মাঠে জিতে বছর শেষ করলাম। তাই এখনই একটা ঘোষণা করতে চাই। পরের হোম ম্যাচে বাগান সমর্থকেরা বিনামূল্যে খেলা দেখতে পাবেন।”চোটের জন্য গ্রেগ স্টুয়ার্টকে পাচ্ছে না বাগান। দলের প্রত্যেকের প্রশংসা করে মালিক বলেন, “কোনও ফুটবলার চোট পেতেই পারে। কিন্তু আমরা হার মানি না। জিততে মাঠে নামি। এ বার দল খুব ভাল হয়েছে। খেলাও ভাল হচ্ছে। এই ম্যাচে শেষ গোলটা খুব সুন্দর হয়েছে। সেই কারণে পিছিয়ে পড়েও আমি আশাবাদী ছিলাম যে গোল হবে। শেষ পর্যন্ত জিতেছি।” বাগান ভাল খেললেও কলকাতার বাকি দুই ক্লাব ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান অনেকটাই পিছনে। দুই ক্লাবকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাগানের মালিক গোয়েঙ্কা বলেন, “আমি শুধু নিজের দল নিয়ে বলতে পারি। অন্য দল নিয়ে নয়। ওদের শুভেচ্ছা জানাই।”কেরলের বিরুদ্ধে জেমি ম্যাকলারেন গোল করে এগিয়ে দেন বাগানকে। তার পরে দু’গোল দেয় কেরল। সবুজ-মেরুনকে ৮৬ মিনিটে সমতায় ফেরান জেসন কামিংস। সংযুক্তি সময়ের শেষ মিনিটে গোল করে মোহনবাগানকে জিতিয়ে দেন আলবের্তো রদ্রিগেস। পয়েন্ট তালিকায় ১১ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে সকলের উপরে মোহনবাগান। সেই কারণেই সমর্থকদের উপহার দলের মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কার।

মোহনবাগানের বিরুদ্ধে পরিষ্কার পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত কেরালা ব্লাস্টার্স? মোহনবাগানের পেনাল্টি বক্সে ইচ্ছাকৃতভাবে বলটা হাত দিয়ে সরিয়ে দেন টম আলড্রেড? পেনাল্টি না দিয়ে রেফারি ভুল করলেন? কী বলছে নেটপাড়া? কেরালার পেনাল্টি পাওয়া উচিত ছিল। বিষয়টি নিয়ে আইএসএল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। ম্যাচের ২৬ তম মিনিটে মোহনবাগান বক্সের মধ্যে একটি বল উড়ে আসে। বলটা ক্লিয়ার করতে গিয়ে পড়ে যান মোহনবাগানের ডিফেন্ডার আলড্রেড। সেই অবস্থায় হেড করে বলটা বের করে দিতে চান। বলটা তাঁর মাথার দিকে লেগে বুকের দিকে চলে আসে। বুকে ধাক্কা খেয়ে বলটা কেরালার খেলোয়াড়ের দিকে যাচ্ছিল। সেইসময় হাতটা এমনভাবে রাখেন আলড্রেড যে বলটা আটকে যায়। যেভাবে আলড্রেড হাতটা সরিয়েছিলেন, তাতে পেনাল্টি দিলে কোনও ভুল করতেন না রেফারির। কারণ বলটা যখন আসছিল, তখন তিনি যেভাবে হাতটা রেখেছিলেন, সেটা দেখে মনে হয়নি যে সেটা স্বাভাবিক ‘মুভমেন্ট’। বরং ইচ্ছাকৃতভাবেই বলটা হাত দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করছিলেন বলে মনে হচ্ছিল। যদিও পেনাল্টি দেননি রেফারি। আর তারপর আট মিনিট পরেই গোল করে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। শেষপর্যন্ত ৩-২ গোলে জিতে গিয়েছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।