এখনই জেল থেকে বেরোতে পারবেন না সন্দীপ, চার্জশিট দিতে পারল না সিবিআই! আরজি কর ধর্ষণ-খুন মামলায় জামিনে মুক্ত সন্দীপ, অভিজিৎ
জামিন পেয়ে গেলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিতে পারল না সিবিআই। চিকিৎসক-পড়ুয়ার খুন এবং ধর্ষণের মামলায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ ছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। ২০০০ টাকা বন্ডের বিনিময়ে জামিন পেয়েছেন সন্দীপ এবং অভিজিৎ। জামিন পেলেও এখনই জেল থেকে বেরোতে পারবেন না সন্দীপ। আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগেই গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। মামলায় এখনও জামিন পাননি। অভিজিতের বিরুদ্ধে অন্য কোনও মামলা না থাকায় জেল থেকে বার হলেন। যখন থানায় ডাকা হবে, তখনই হাজিরা দিতে হবে অভিজিৎ মণ্ডলকে।
সিবিআই আদালতে ছিল আরজি করে খুন এবং ধর্ষণের মামলার শুনানিতে একটি চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। সন্দীপ এবং অভিজিতের গ্রেফতারির ৯০ দিনের মাথায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। আদালতে সিবিআই জানায়, এই মামলায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে ধৃত সন্দীপ এবং অভিজিতের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের নির্ধারিত সময়সীমা শেষ। তারা চার্জশিট দিচ্ছে না। আদালতকে আইন মেনে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে বলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। অভিযুক্তদের আইনজীবী সওয়াল করে জানান, তাঁর মক্কেলরা ৯০ দিনের বেশি সময় ধরে হেফাজতে রয়েছেন। এবার জামিন দেওয়া হোক। সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার (আইও) জানান, এই মামলার তদন্ত চলছে। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে না। সিবিআই আদালতের বিচারক জামিন দেন দুই অভিযুক্তকেই।
সিবিআইয়ের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেব। জামিন হয়ে গিয়েছে বলে তদন্ত শেষ, এমনটা নয়। দ্রুত গতিতে তদন্ত চলছে। তদন্ত সম্পূর্ণ হলে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেব। এখন সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় নথিপত্র নেই বলেই তা দিয়ে উঠতে পারিনি।’’আরজি করের ৯০০ ঘণ্টার ফুটেজ দেখছে সিবিআই! প্রমাণ লোপাটের মামলায় চলছে ‘প্রমাণ’-এর সন্ধান।
কর্তব্যরত অবস্থায় হাসপাতালের ভিতরে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের মতো গুরুতর ঘটনা। অথচ সেই ঘটনায় আর জি কর হাসপাতালের তৎকালীন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ এবং থানার কর্তব্যরত ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে ৯০ দিনেও চার্জশিট পেশ করতে পারল না সিবিআই। আর সেই কারণে শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে এই দুই ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর করেছে। আর এই ঘটনায় স্পষ্টতই হতাশায় ডুবেছেন অভয়ার মা-বাবা। তাঁদের মনে হচ্ছে, মেয়ের সুবিচারের দাবিতে এত আন্দোলন বুঝি বৃথাই গেল! আর তাই এই খবর শুনে অভয়ার মায়ের সাফ বক্তব্য, ”আমি তো আর সিবিআই নই, হলে আমিই কাজটা করে দিতাম।” অভয়ার মা বললেন, ”এই ঘটনায় আমি খুবই হতাশ। বলার মতো কোনও কথা নেই আমাদের কাছে। সিবিআই ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট না দিতে পারায় তাঁদের জামিন হয়ে গেল! আর কী বলার আছে?” এরপর সিবিআইকে তোপ দেগে তাঁর আরও মন্তব্য, ”আমি তো আর সিবিআই নই, হলে আমিই কাজটা করে দিতাম।”