কেরালাকে হারিয়ে শীর্ষে মোহনবাগান, দিজ ইজ হোয়াট চ্যাম্পিয়ন্স ডু্…! জয় ছিনিয়ে আনলেন পেত্রাতোসরা

মোহনবাগান: ৩ (ম্যাকলারেন, কামিন্স, রডরিগেজ)
কেরালা ব্লাস্টার্স: ২ (জিমেনেজ, ড্রিনিচ)
রডরিগেজের গোল। যুবভারতীর হাজার হাজার উচ্ছ্বসিত মোহনবাগান ভক্তের উল্লাস। হারের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে আনলেন পেত্রাতোসরা। শেষ মুহূর্তে কাঙ্ক্ষিত জয়। ঘরের মাঠে পিছিয়ে পড়েও কেরালাকে ৩-২ গোলে হারাল মোহনবাগান। ইনজুরি টাইমে জয়সূচক গোল করলেন রডরিগেজ। ম্যাচের প্রথম গোল মোহনবাগানেরই খেলার ৩৩ মিনিটে। গোল করে সবুজ-মেরুনকে এগিয়ে দেন বিশ্বকাপার ম্যাকলারেন। এই গোলের আগে আশিস রাইয়ের জোরাল শট গোলরক্ষক ধরতে পারেননি। সেকেন্ড বল গোল ঠেলে দেন ম্যাকলারেন। দ্বিতীয়ার্ধের মিনিট ছয়েকের মধ্যেই সেই গোল শোধ করে কেরালা। দূর থেকে জোরাল শটে বল মোহনবাগানের জালে জড়িয়ে দেন জিমেনেজ।
ম্যাচের ৭৭ মিনিটে মোহনবাগান গোলরক্ষক বিশালের অপ্রত্যাশিত ভুলে গোল পেয়ে যায় কেরালা। খেলার বাকি ছিল আর ১৩ মিনিট। এক গোলে পিছিয়ে পড়ে মোহনবাগান ঝাঁপাল। কোচ মোলিনা নামান কামিন্স এবং আশিক কুরুনিয়নকে। শেষ কয়েক মিনিটে একের পর এক সুযোগ তৈরি করলেন আশিক। কেরলের রক্ষণ ভেঙে গোলও পেলেন অজি স্ট্রাইকার কামিন্স। ৮৬ মিনিটে দিমির নেওয়া শটে পা ছুঁইয়ে জালে জড়িয়ে দেন কামিন্স। মোহনবাগানের জয়সূচক গোলটি এল ইনজুরি টাইমের একেবারে শেষ মুহূর্তে। ডিফেন্ডার আলবার্তো রডরিগেজ বক্সের বাইরে থেকে একটি বিশ্বমানের গোল। নিশ্চিত হল সবুজ-মেরুনের জয়। ১১ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষে মোহনবাগান। দুইয়ে থাকা বেঙ্গালুরুর থেকে এক ম্যাচে কম খেলে ২ পয়েন্ট বেশি রয়েছে মোলিনা-ব্রিগেডের। মোহনবাগান খেলছে চ্যাম্পিয়নের মতোই।