February 11, 2025

‘হিন্দুদের কসাই’ ইউনুসের নোবেল সম্মান প্র্রত্যাহারের দাবিতে চিঠি!‌ বাংলাদেশের ঘটনা ‘কাপুরুষোচিত ও ইসলামবিরোধী’! ইউনুসকে লেখা চিঠি ভারতীয় মুসলমানদের

0
Mahammad Yunush

চিঠিতে ইউনুসকে ‘হিন্দুদের কসাই’ বলে উল্লেখ করে লিখেছেন, এক সময় সমাজ সংস্কারক হিসাবে সম্মনিত ইউনুসকে এখন অনেকে হিন্দুদের কসাই বলে উল্লেখ করছেন। শুধু তাই নয় নিজের ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্য ভারতবিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন। বাংলাদেশের মুখ্য পরামর্শদাতা ইউনুসের নোবল সম্মান প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে নোবেল কমিটিতে চিঠি দিলেন পুরুল্যার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময়সিং মাহাতো। চিঠিতে ইউনুসকে ‘হিন্দুদের কসাই’ বলে উল্লেখ করেন। বিভিন্ন মহল থেকে ইউনুসের নোবেল সম্মান ফেরত নেওয়ার দাবি উঠেছে। গ্রামীণ ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা করার জন্য ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল সম্মান পান ইউনুস। চিঠিতে লেখা, এ এক অদ্ভূত পরিহাস, এমন একজনকে নোবেল সম্মান দেওয়া হয়েছে যার নাম হিন্দুদের ওপর হিংসা, অবিচারে জড়িয়ে পড়েছে। ক্ষুদ্রঋণের জন্য গোটা দেশে ডক্টর ইউনুসকে সম্মান করা হয় বটে, তবে এখন তিনি হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের নায়ক বা মানবতাবিরোধী অপরাধে চোখ বন্ধ করে থাকা একজন ব্যক্তি। বক্তব্যে স্পষ্ট, ‘নোবেল সম্মান প্রত্যাহার করা যায় না। কিন্তু আপনাদের নৈতিক দায় সেখানে শেষ হয়ে যায় না। আমার আবেদন তাঁর কৃতকর্মের প্রকাশ্যে নিন্দা করা হোক। যাতে এই অত্যুঙ্গ সম্মান প্রাপকরা প্রত্যেকে তাঁদের জীবনকালে সর্বোচ্চ নৈতিক মূল্যবোধে পরিচালিত হন।’

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যে ধরনের ‘নৃশংস আচরণ’ করা হচ্ছে, যেভাবে তাঁদের ‘নিশানা’ করা হচ্ছে, ভারতীয় মুসলমান সমাজ অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশে হিন্দু-সহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর যেভাবে লাগাতার অত্যাচার চালানোর প্রতিবাদে সরব ভারতীয় মুসলমানরা। বাংলাদেশে এহেন হিংসা বন্ধ করতে সরাসরি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসকে চিঠি পাঠালেন।
ভারতীয় নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে মহম্মদ ইউনুসকে। যে ভারতীয়রা ওই নাগরিক গোষ্ঠীর সদস্য, তাঁদের অধিকাংশই ইসলাম ধর্মাবলম্বী এবং সমাজের বিশিষ্ট জন হিসাবে পরিচিত। তাঁরা তাঁদের চিঠিতে বাংলাদেশজুড়ে চলা বর্তমান অরাজকতার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, অবিলম্বে হিন্দু-সহ সমস্ত সংখ্যালঘুর সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।
মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যাতে অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ করে, চিঠিতে সেই দাবিও তুলেছেন ভারতীয় মুসলমানরা। চিঠিতে যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা স্বাক্ষর করেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন – প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এস ওয়াই কুরেশি, দিল্লির প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নাজিব জং, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিসি জামিরউদ্দিন শাহ, প্রাক্তন সাংসদ শাহিদ সিদ্দিকী এবং শিল্পপতি সইদ শেরবানি। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘…আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় এর নিন্দা করছি। এটি একটি কাপুরুষোচিত আচরণ। যা ইসলামকে অত্যন্ত নেতিবাচকভাবে তুলে ধরছে। যা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা প্রদানের নিশ্চয়তার গুরুত্বকে ক্ষুণ্ণ করছে। সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করা হচ্ছে, সেটা (যেকোনও) গণতন্ত্রের কাছেই একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।’
‘সিটিজেন্স ফর ফ্র্যাটারনিটি’ নামক ওই নাগরিক গোষ্ঠীর তরফে চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘মুসলিম হিসাবে আমরা এই ধরনের ইসলামবিরোধী আচরণ দেখে ব্যথিত ও হতাশ। এই আচরণ স্পষ্টতই ইসলামের নীতি এবং নবীর দেখানো পথের বিরোধী। আমরা সত্যিই আশা করি, বাংলাদেশের (বর্তমান অন্তর্বর্তী) সরকার সমস্ত সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কঠোরভাবে পদক্ষেপ করবে এবং দেশের হিন্দু জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি অন্য সংখ্যালঘুদেরও পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।…’ ৪ ডিসেম্বর ইউনুসকে পাঠানো ওই চিঠি লেখা হয়েছে।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed