‘বাংলাদেশে কুমড়ো ৮০ টাকা, আলু ১২০’! যারা ভারতের পতাকায় পা দিয়েছে…. বাংলাদেশকে চরম হুঁশিয়ারি

অস্থির বাংলাদেশ। অনেকেই সেখান থেকে এপার বাংলায় আসছেন। পেট্রাপোল সীমান্তে গেলেই বিষয়টি স্পষ্ট। অনেকেরই ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাচ্ছে। তার জেরে সে দেশে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে এটা বুঝতে পেরেও ফিরে যাচ্ছেন নিজের দেশে। বাংলাদেশের ঢাকার বাসিন্দা এক শিক্ষিকা মঙ্গলবারই পা রাখলেন ভারতে। দেশে জিনিসপত্রের এত আগুন দাম যে কেনা যাচ্ছে না। পরিবার নিয়ে তিনি এলেন ভারতে। বাংলাদেশে আলু ১২০ টাকা, পেঁয়াজ ১২০-১৫০ টাকা, কপি ৫০ টাকা, গাজর ১৫০ টাকা, কুমড়ো ৮০ টাকা, ফলের মধ্যে বেদানা ৪০০টাকা, আপেল ২৫০ টাকা, লোকাল কমলালেবু ১২০ টাকা কেজি, দার্জিলিং কমলা ২০০ টাকা করে কেজি। লুঠপাট, সম্পত্তি দখলের একটা ভয় সবসময়ই কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে পরিবারগুলিকে। বাংলাদেশে এত গণ্ডগোল সেখানে সবাই যে অশান্তি পাকাচ্ছে তেমনটা নয়। অনেকে আবার পিঠ বাঁচানোর জন্য সেই বিক্ষোভের মধ্যে ঢুকে পড়ে। আসলে তারা যদি চুপ করে বসে থাকে তাহলে তো তাদের বাড়িতেও হামলা হতে পারে। সেকারণেই অনেকেই এখন পিঠ বাঁচাতে এই সব হামলার মধ্যে অংশ নিয়ে ফেলছে।

‘শুধু খাবার না, বাংলাদেশিদের সব বন্ধ করে দেব।’ এদিন তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কেউ স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেননি। উনি কী বুঝবেন স্বাধীনতার মর্ম?’ বাংলাদেশে লাগাতার হিন্দু নিপীড়নের ঘটনায় ফের একবার প্রতিবেশী দেশকে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘ভারতের পাতাকায় যারা পা দিয়েছে, শুধু খাবার না, তাদের আর কী কী বন্ধ করি আপনারা দেখুন। ওদের চিকিৎসাও বন্ধ করে দেব। দেশ আগে। মুখ্যমন্ত্রী দেশের মর্ম বোঝেন না বলে এই ধরণের কথা বলেন।’ এর পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আমার পরিবারের বিপিন অধিকারী স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে ৮ বছর জেলে ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের কেউ স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেননি। আমার মা ৬০ সালে বরিসাল থেকে এখানে এসেছিলেন। আমি অত্যাচার জানি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করে স্বাধীনতার মর্ম বুঝবেন?’