পৃথিবীর উপরে আছড়ে পড়ল গ্রহাণু! রাশিয়ার ইয়াকুতিয়ার আকাশে বিস্ফোরিত
৭০ সেমি ব্যাসের এক গ্রহাণু আছড়ে পড়ল পৃথিবীর বুকে। গতকাল রাতে স্থানীয় সময় ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ রাশিয়ার ইয়াকুতিয়ার আকাশে বিস্ফোরিত। আবিষ্কারের পর মাত্র কয়েক ঘণ্টাতেই সেটি প্রবেশ করে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে। রাতের আকাশে দেখা যায় দৈত্যাকার আগুনের গোলা। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। গ্রহাণুটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে একাধিক খণ্ডে বিভক্ত হয়ে রাশিয়ার বনাঞ্চল জুড়ে পাথর ছড়িয়ে পড়ে ছোট ছোট আকারে। আকার এবং অবস্থানের কারণেই কোন বড়সড় প্রভাব বা ক্ষতি কিছু হয়নি। স্বস্তি বিজ্ঞানীদের। WJ, 2023 CX1, এবং 2024 BX1 নামের তিনটি গ্রহাণু একই ভাবে আছড়ে পড়েছিল।
https://x.com/Abdullah25544U/status/1863985579320385851?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1863985579320385851%7Ctwgr%5Ecf2faf2756f556226c5c05ea4b70b6a308c99b2b%7Ctwcon%5Es1_c10&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.sangbadpratidin.in%2Fscience-and-environment%2Fasteroid-collides-with-earth-explodes-above-russia%2F
আগন্তুক গ্রহাণু অতীতে বহুবার পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছে এবং পৃথিবীর বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রাগৈতিহাসিক কালে পৃথিবীর বুকে রাজত্ব করা ডাইনোসরদের অবলুপ্তির পিছনেও এই ধরনের মহাজাগতিক বস্তুর আছড়ে পড়াকে অন্যতম কারণ হিসেবে দাবি করেন বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক অতীতে বহুবারই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষে মানব সভ্যতা ধ্বংস হওয়ার নানা জল্পনা। গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের সম্ভাবনা কমই থাকে। অন্য গ্রহের সঙ্গে মহাকর্ষীয় টানের কারণে তারা আচমকাই অনেকটা কাছে চলে আসে। এই ধরনের গ্রহাণুর গতিবিধির নিরীক্ষণ করে নাসা। পাশাপাশি গ্রহাণুর পাথুরে শরীর থেকে উপাদান সংগ্রহের চেষ্টাও করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। নাসার পরিকল্পনা পৃথিবীর কাছাকাছি এসে পড়া কোনও গ্রহাণুকে ধাক্কা মেরে সেটির গতি কমিয়ে দেওয়ার। এই গ্রহাণুটির ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হয়নি। কারণ আবিষ্কারের মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ে আগুনের গোলা রুপে।