নিখোঁজ চিন্ময়ের সচিব! ‘গেরুয়া বসন, তিলক পরবেন না’ বাংলাদেশে সন্ন্যাসীদের বার্তা কলকাতা ইসকনের

সন্ন্যাসী হিসাবে যেন আলাদা করে বাংলাদেশে কাউকে চেনা না যায়। ধর্মীয় পরিচয় একেবারে গোপন রাখতে হবে। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারির পর থেকে উত্তাল বাংলাদেশ। বেড়েছে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে থাকা সন্ন্যাসীদের জন্য বিশেষ পরামর্শ কলকাতার ইসকনের। সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাসের মতে, গেরুয়া বসন পরা বা কপালে তিলক কাটার মতো বিষয়গুলো এখন এড়িয়ে যাওয়া উচিত। কারণ নিজেকে রক্ষা করাই আপাতত সবচেয়ে জরুরি।

কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, “এই সংকটের সময়ে সকলকে মনে করিয়ে দিতে চাই, নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। তাই খুব সাবধানে থেকে সংঘাত এড়ানোর চেষ্টা করা উচিত। আমি বলব, এখন গেরুয়া বসন পরবেন না। কপালে তিলক লাগাবেন না। যদি একান্তই গেরুয়া পরতে চান, তাহলে এমনভাবে পরুন যাতে অন্য পোশাকের আড়ালে ঢাকা থাকে। সম্ভব হলে মাথাও ঢেকে রাখুন।” ইসকন কর্তা বলেন ধর্মীয় পরিচয় একেবারে গোপন রাখতে হবে। ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, চিন্ময়ের জামিনের জন্য বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়। মামলার বিষয়টি নিয়ে চিন্ময়ের সচিবের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিলেন। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ চিন্ময়ের সেই সচিবও।

আদালতে চিন্ময় প্রভুর জামিন মামলা। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন চিন্ময়ের আইনজীবী রমেন রায়। আদালতে মামলা ওঠার আগেই বাংলাদেশের বর্ষীয়ান আইনজীবীর বাড়িতে হামলা চালায় মৌলবাদীরা। চিন্ময় প্রভুর হয়ে লড়াই করা ৬০ আইনজীবীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। এমনকী, কয়েকজন আইনজীবী যারা চিন্ময় প্রভুর জামিনের কাগজপত্র তৈরি করছিলেন, তাঁদের খুনের মামলায় ফাঁসানোর হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ শান্তি সেনা পাঠানোর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা জবাবে ঢাকার দাবি, মমতার ওই মন্তব্য ‘ওঁর ধরনের’। এদিন বাংলাদেশে বর্তমান ইউনুস সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এক সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য নিয়ে মুখ খোলেন। তৌহিদ হোসেন বলেন,’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনের বক্তব্য হিসাবেই দেখতে চাই। লমমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এমন বক্তব্য দিলেন আমরা জানি না। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি তাঁর রাজনীতির জন্য বিষয়টি ঠিক নয়। পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে আমরা স্বাভাবিক সম্পর্ক রাখতে চাই।’