কলকাতার নস্ট্যালজিয়া হলুদ ট্যাক্সি, মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে চিঠি ট্যাক্সিচালকদের
হলুদ ট্যাক্সি। কলকাতার নস্ট্যালজিয়া। কলকাতার আবেগ। হলুদ ট্যাক্সি আপাতত হেরিটেজ। আদালতের নিয়ম মেনে তা এখন বন্ধের পথে। পনেরো বছরের অনেক বেশি বয়স হয়ে গিয়েছে অধিকাংশ গাড়িরই। বসে যাচ্ছে পুরনো হলুদ অ্যাম্বাসাডর। হিন্দমোটর কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অ্যাম্বাসাডরও নতুন করে তৈরি না হওয়ায় বিলুপ্তির পথে হলুদ ট্যাক্সি। এখন হাজার তিনেক গাড়ি রাস্তায় নামে। কলকাতায় বর্তমানে রয়েছে ৭৫০০ মতো হলুদ অ্যাম্বাসাডর ট্যাক্সি। এর মধ্যে প্রায় ৪৫০০-র মতো হলুদ ট্যাক্সি ১৫ বছরের নিয়মে ‘বাতিলের খাতায়’ জমা পড়েছে। বাকি হাজার তিনেক আগামী বছরেই হয়ে যাবে। সেই শূণ্যস্থান পূরণে হলুদ ট্যাক্সি নিয়ে আসছে নয়া সংস্থা।হলুদ ট্যাক্সিকে বাঁচাতে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে চিঠি ট্যাক্সিচালকদের।
আবার নতুনভাবে শহরে আসতে চলেছে হলুদ ট্যাক্সি। নতুন এক সংস্থা হাজার দুয়েক গাড়ি নামাবে। ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে তা ঘোষণা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। কলকাতার নস্ট্যালজিয়ার কথা মাথায় রেখেই শহরে হলুদ ট্যাক্সি নামানোর কথা ভাবছে ওই সংস্থা। অ্যাম্বাসাডারের ছাঁচেই সেই গাড়ি তৈরি হচ্ছে। সাধারণ যাত্রীদের সুবিধার্থে হলুদ ট্যাক্সি বুকিংয়ের ক্ষেত্রে যাত্রীসাথী অ্যাপ যথেষ্টই জনপ্রিয়। তথ্য বলছে, চালু হওয়ার পর তিন বছরে এই অ্যাপে ৬০.৯৮ লক্ষ ট্রিপ করেছে হলুদ ট্যাক্সি। অ্যাপ সার্চ করেছে ৩.১৯ কোটি। চালকদের রোজগার হয়েছে ১৬৬ কোটি টাকা।
ট্যাক্সিচালকদের দাবি, পনেরো বছরের নিয়ম মেনে বর্তমানে শহরে ছোটা হলুদ ট্যাক্সি বসে গেলেও তাঁদের দাবি, ওই পারমিটে নতুন গাড়ি নামাতে দেওয়া হোক। তার রংও হোক হলুদ। চারজন যাত্রী বসতে পারবে এমন গাড়ি নামানোরই ছাড়পত্র দেওয়া হোক। গাড়ির মডেল তো আলাদা হবে। কারণ, এখন আর পুরনো মডেলে গাড়ি পাওয়া যায় না। এবিষয়ে পরিবহণ দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, এক্ষেত্রে নিয়ম কী আছে, দেখা হবে। যদি পুরনো গাড়ির পারমিটে নতুন গাড়ি নামানোর ছাড়পত্র থাকে, তবে দেওয়া হবে।