প্রৌঢ়কে ‘পিটিয়ে খুন’ করলেন তৃণমূল নেতা! আবাসের ঘরের জন্য দেওয়া ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ার অপরাধে হত্যা?
টাকার বিনিময়ে আবাস যোজনার তালিকায় নাম তুলে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। চূড়ান্ত তালিকায় প্রৌঢ়ের নাম না ওঠায় টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাঁকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের মিঠিপুর এলাকার ঘটনায় মৃত প্রৌঢ়ের নাম কালু শেখ (৫২)। রবিবার অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মিঠু শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃত কালু মিঠিপুর পঞ্চায়েতের মুকুন্দপুর এলাকার বাসিন্দা। অনেক দিন ধরেই আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। মৃতের পরিবারের দাবি, স্থানীয় তৃণমূল নেতা মিঠুকে পাঁচ হাজার টাকাও দিয়েছিলেন আবাসের তালিকায় নাম তুলিয়ে দেওয়ার জন্য। সম্প্রতি আবাসের যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হলেও, কালুর নাম না থাকায় শনিবার সন্ধ্যায় মিঠুর কাছে টাকা ফেরত চাইতে গিয়েছিলেন কালু। দু’জনের মধ্যে বচসাও হয়। অভিযোগ, সেই সময়ে লোহার র়ড দিয়ে কালুকে বেধড়ক মারধর করেন মিঠু। পরে পড়শিরাই প্রৌঢ়কে উদ্ধার করেন। পুলিশও আসে ঘটনাস্থলে। সঙ্গে সঙ্গেই প্রৌঢ়কে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার একটি হাসপাতালে। রবিবার সকালে সেই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় কালুর।
মৃতের ভাইপো রমজান মণ্ডল বলেন, ‘‘কাকা মিঠুকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছিল আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়ার জন্য। লিস্টে নাম না থাকায় শনিবার ওই টাকা ফেরত চাইতে গিয়েছিলেন। মিঠু তখন পুলিশে কেস করার হুমকি দেয়। কাকা প্রতিবাদ করলে ঘর থেকে লোহার রড নিয়ে এসে বেধড়ক মারধর করে কাকাকে। আজ সকালে কাকার মৃত্যু হয়েছে। তৃণমূল নেতা বলে যেন মিঠুকে ছেড়ে দেওয়া না হয়! ওর যেন ফাঁসি হয়।’’ জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, ‘‘কোনও ব্যক্তি অপরাধ করলে তার দায় দলের উপরে বর্তায় না। আইন আইনের মতো চলে।’’