রবিবার দুপুরে ময়দানে ঘুরলেন মহারাজ, সৌরভ উপস্থিতিতে চমকে গেলেন প্রত্যেকেই

রবিবাসরীয় দুপুর। নির্ভেজাল ছুটির দিনে ভাতঘুমে থাকে শহর কলকাতা। তবে তিনি তো মহারাজ। তাঁর তো আর ঘুম নেই। তাই রবিবাসরীয় দুপুরে গোটা ময়দান ঘুরে বেড়ালেন সৌরভ। রবিবাসরীয় দুপুর। দুপুরে ময়দানের সবুজ ঘাসে চলছে সিএবি পরিচালিত সাদা বলে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। দীর্ঘদিন পর সেই ম্যাচ পরিদর্শনে উপস্থিত হলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

ময়দানের পরিচিত বাটা, টাউন মাঠ-সহ বেশ কিছু মাঠে ঘুরে বেড়ালেন সৌরভ। মূল উদ্দেশ্য বাংলা ক্রিকেটের হাল হাকিকত সরজমিনে দেখে নেওয়া। কীভাবে চলছে বাংলা সাপ্লাই লাইন, সেই ব্যাপারেই খোঁজ করলেন মহারাজ। সৌরভের সঙ্গে ছিলেন সিএবি র ট্যুর অ্যান্ড ফিকচার্স কমিটির চেয়ারম্যান সৌরভের বন্ধু সঞ্জয় দাস। ছিলেন কয়েকজন কর্তাও।

পিএনটি মাঠে প্রাক্তন সতীর্থ ভারতীয় তারকা অরুণলালের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় সৌরভের। বাংলার রঞ্জি ট্রফি জয়ী দলের সদস্য ছিলেন সৌরভ এবং অরুণ লাল দুজনে। খেলা দেখতে দেখতে পুরনো দিনের বেশ কিছু কথাও হয় দুজনের মধ্যে।

সিএবি পরিচালিত টুর্নামেন্টের পরিকাঠামো দেখে খুশি সৌরভ। তবে শুধু একদিন নয় মাঝেমধ্যেই সময় পেলে সিএবির খেলাধুলার জন্য মাঠে আসবেন বলে জানিয়েছেন মহারাজ।

এর আগেও বাংলা সিনিয়র দলের অনুশীলনে উপস্থিত হয়েছিলেন। সিএবি সভাপতি থাকাকালীন এভাবেই সৌরভ বিভিন্ন মাঠে পৌঁছে যেতেন। ১ ডিসেম্বর, রবিবার এক ফেলে আসা মধুর অতীতের স্মৃতি ফেসবুকের পাতায় ভাগ করে নেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আর এই অতীত স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন সৌরভ কন্যা সানা।

কী সেই স্মৃতি? রবিবার ফেসবুকে সৌরভ যে ছবিটি পোস্ট করেছেন, সেখানে তাঁকে সাদা পুরনো দিনের কম্পিউটরের সামনে বসে ইমেল চেক করতে দেখা যাচ্ছে। সেদিন সেই ইমেলে এসেছিল তাঁর সদ্যোজাত কন্যা সানার ছবি। সাদা কাপড়ে জড়ানো পুতুলের মতো ছোট্ট শিশুটি তখন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের কোলে। সৌরভ তখন হাসিমুখে এক অদ্ভুত আনন্দের সঙ্গে ছবিটি দেখছিলেন।

দূর থেকে এভাবে সদ্যোজাত মেয়ে দেখা ছাড়া আর কীই বা করতে পারতেন! কারণ, যখন সানার জন্ম হয়, মহারাজ তখন ছিলেন সাউথ আফ্রিকায়। ২০০১ সালের ৩ নভেম্বর জন্ম হয়েছিলেন সৌরভ-ডোনা কন্যার। সেদিন সৌরভ ছিলেন দেশ থেকে বহু দূরে। কারণ, তিনি তখন ভারতীয় দলের ক্রিকেটার। চলছিল ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ। সানার জন্মের সেই ছবি পোস্ট করে মহারাজ লিখেছেন, ‘জীবনের সবথেকে মধুর ইমেইল। সানার প্রথম ছবি…দক্ষিণ আফ্রিকায় থেকেও সেদিন মনে হয়েছিল কাছেই আছি।’

নাহ, সৌরভ তখন পিতৃত্বকালীন ছুটি পাননি, সেসময় খেলে ছেড়ে ছুটি নিয়ে হাসপাতালে থাকবেন, তেমনটা কোনও খেলোয়াড় ভাবতেও পারতেন না। আজকাল অবশ্য অনেককিছুই বদলেছে। সন্তান জন্মের সময় পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। সাউথ আফ্রিকা সফর শেষে দেশে ফিরেই তবে মেয়র মুখ দেখেছিলেন সৌরভ। সৌরভ কন্যা সানা এখন অনেকটাই বড়। গতমাসেই ২২তম জন্মদিন সেলিব্রেট করেছে সে। তবে এদেশে নয়, লন্ডনে। আপাতত সৌরভ-ডোনা কন্যাও প্রবাসী। ইংল্যান্ডের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সংস্থা ইনোভারভিতে চাকরিরত সৌরভ কন্যা।