ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই বাবুন! ‘ক্রীড়া প্রশাসনে এগিয়ে যাচ্ছি দেখে হিংসা হচ্ছে দাদার’

বিওএ নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই বাবুন। বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে লজ্জাজনক ভাবে পরাজিত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। ময়দানের বাবুনকে সভাপতি পদে হারালেন চন্দন রায়চৌধুরী। অলিম্পিক সংস্থার নির্বাচনে স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় হারলেন ৪৫-২০ ভোটের ব্যবধানে। ময়দানের বাবুনকে সভাপতি পদে হারালেন ভারোত্তোলন সংস্থার কর্তা চন্দন রায়চৌধুরী। অলিম্পিক সংস্থার নির্বাচনে স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় হারলেন ৪৫-২০ ভোটের ব্যবধানে। এর মধ্যে আবার সংস্থার দুই সদস্য ভোট দেননি।

শুক্রবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে বেঙ্গল অলিম্পিক সংস্থার নির্বাচন ছিল। চার বছর আগে এই নির্বাচনকে ঘিরে যথেষ্ট উত্তেজনা ছিল। বিশেষ করে সভাপতি পদের লড়াই ঘিরে। কারণ সেবার এই পদের জন্য গোটা ময়দান দাদা বনাম ভাইয়ের লড়াই দেখা গিয়েছিল। দাদা অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই নির্বাচনে হারিয়ে বিওএ প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে এবারের নির্বাচনে অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলেও সভাপতির পদ নিয়ে লড়াইয়ের উত্তেজনা একই ছিল। অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও নির্বাচন কমিশনার ছিলেন তিনিই। তাঁর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবুন।

বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে জোরাল ধাক্কা খাওয়ার পরেই বিতর্কের বোমা ফাটালেন বাবুন। ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেন নিজের দাদা অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও দাদা অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এই পরাজয়ের পর স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় (বাবুন) বলেছেন, ‘সব খেলাতেই হার-জিত রয়েছে। আমি হয়তো নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে হেরেছি। তবে ময়দান ছেড়ে যাচ্ছি না। ময়দান ছেড়ে যাওয়ার লোক আমি নই।’

অলিম্পিক সংস্থার নির্বাচনে বাবুনের পরাজয় তাঁর জন্য বড় ধাক্কা বলে অনেকেই মনে করছেন। এর ফলে ক্রীড়া প্রশাসন থেকে দূরত্ব আরও বাড়ল তাঁর। এর আগে হকি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদও খুইয়েছেন। হকি বেঙ্গলের শীর্ষপদে বাবুনের বদলে এসেছেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। এবার অলিম্পিক সংস্থার শীর্ষপদও হারাতে হল বাবুনকে। আপাতত মোহনবাগানের সঙ্গে যুক্ত বাবুন।

ভোটের লড়াই হারার পরে বিতর্কের বোমা ফাটালেন স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বাবুন বলেন, ‘কিছু তো একটা হয়েছে। না হলে এই ফল হওয়ার কথা নয়। এ ব্যাপারে আমি একশো শতাংশ নিশ্চিত। এটা দেখে নিতে হবে। পরে এ নিয়ে ভাবব।’ দাদার কোনও হাত রয়েছে কিনা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বাবুন বলেন, ‘থাকতেই পারে। আমি ক্রীড়া প্রশাসনে এগিয়ে যাচ্ছি, সেটা দেখে হিংসা হতেই পারে। একশো শতাংশ হিংসা হচ্ছে দাদার। বিগত কয়েক বছর ধরেই এই ঘটনা ঘটে আসছে।’