জীবনে বেঁচে থাকার চেষ্টা! হাত-পা ছাড়াই চলছে জীবন যুদ্ধের লড়াই!

পা দিয়েই তিনি পুজো দেওয়া। খাওয়া দাওয়া। সমস্ত কাজই করেন। হাত-পা ছাড়াই চলছে জীবন যুদ্ধের লড়াই! জীবনে বেঁচে থাকার চেষ্টা। লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন জলপাইগুড়ির প্রতিবন্ধী মহিলা সুভদ্রা দেবি। দুই হাত নেই, পা থাকতেও নেই বললেই চলে। পা দিয়েই ধরালো বটি দিয়ে সুপারির খোল ছাড়িয়ে চলছেন কিছু উপার্জনের আসায়। পা দিয়েই পুজো দেওয়া, খাওয়া-দাওয়া সমস্ত কাজই করেন। অভাবের সংসারে সরকারি সাহায্যের আসায় সুভদ্রা। জলপাইগুড়ির সাধু পাড়ার সুভদ্রা।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধু পাড়ার ৩৫ বছরের বাসিন্দা সুভদ্রা নন্দী। হাত দুটোই নেই। পা দিয়ে কোনও রকমে চলাফেরা। বাড়ি ছাড়া কোথাও বাইরে বের হওয়া তার কাছে দুস্কর। জীবনের এমন পরিস্থিতিতে সেই পা দুটো পা কে কাজে লাগিয়ে স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করছে সাধু পাড়ার সুভদ্রা। সুভদ্রার পরিবারে মা এবং দাদা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই অভাবের সংসার। কোনও রকমে দিন যাপন। সুযোগ-সুবিধা বলতে ওই প্রতিবন্ধকতার সরকারি ভাতা যা মাত্র এক হাজার টাকা।
প্রতিবন্ধকতা দূর করে মা এবং দাদার সঙ্গে জীবন সংগ্রামে নেমে পরেছে সুভদ্রা। হাত নেই তো কি হয়েছে! পা দিয়ে রোজ সুপারির খোলসা ছাড়িয়ে দেয় সুভদ্রা। এক হাজারটা সুপারির খোলসা ছাড়িয়ে দেওয়ার জন্য পারিশ্রমিক বাবদ ৫০ টি টাকা পান। এছাড়াও বাড়ির ঘর ঝাড় দেওয়া থেকে শুরু করে অনান্যও কাজ সুভদ্রা নিজের ঘাড়েই নিয়েছে। সুভদ্রা এলাকার সকলের প্রিয়। প্রতিবেশীদের সাথে তিনি অনুষ্ঠান বিভিন্ন অনুষ্ঠান অন্যান্য যেকোনো কাজেই যাতায়াত রয়েছে। সুভদ্রার কথায়, ভাতা ছাড়াও সরকারি অনান্য সুযোগ সুবিধার জন্য বলা হয়েছে কিন্তু তা মেলেনি। পরিবারের প্রত্যেকেই সুভদ্রা দিকে সরকারি দৃষ্টি আকর্ষণের দাবি জানিয়েছে। স্রোতের বিপরীতেও সাঁতার কেটে চলেছেন জলপাইগুড়ির অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের মেয়ে সুভদ্রা নন্দী।