চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারিতে জ্বলছে বাংলাদেশ! বন্দিত বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রেও? সন্ন্যাসী চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে সরব হাসিনা, হিন্দু নির্যাতনে গর্জে উঠলেন মুজিবকন্যা
ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারিতে জ্বলছে বাংলাদেশ। বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করছেন হিন্দুরা। এবার হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেপ্তারিতে সোচ্চার বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবিতে সরব মুজিবকন্যা। বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে মুজিবকন্যা তথা দলনেত্রীর বিবৃতি প্রকাশ করে আওয়ামি লিগ। সেখানে বলা হয়েছে, ‘বর্তমান ক্ষমতা দখলকারীরা সর্বক্ষেত্রেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ। সাধারণ মানুষের উপরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এইসব নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানাই। সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের একজন শীর্ষ নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দিতে হবে। চট্টগ্রামে মন্দির পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে মসজিদ, মাজার, গির্জা, মঠ এবং আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি আক্রমণ করে ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’
হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনে সংখ্যালঘু নির্যাতন লাগামছাড়া আকার নিয়েছে বাংলাদেশে। এই ঘটনায় রাষ্ট্রসংঘের প্রশ্নের মুখে পড়েছে ইউনুস সরকার। তবে পরিস্থিতি শোধরাতে কোনও উদ্যোগ তো দূর, নয়া আইন এনে এবার বাংলাদেশের সংখ্যালঘু মুখ সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারির ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সোশাল মিডিয়ায় ফের ইউনুসকে কটাক্ষ করলেন সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন। ফেসবুকে ভারত থেকে বাংলাদেশে রপ্তানির প্রসঙ্গ তুলে তসলিমা লিখলেন, ‘‘ইউনুস এবং তাঁর জ ঙ্গি বন্ধুরা প্রচণ্ড ভারতবিদ্বেষী। ভারত যদি চাল ডাল পেঁয়াজ রসুন আলু পটল নুন চিনি গরু খাসি পাঠানো বন্ধ করে দেয়, তবে বাংলাদেশের মানুষ কী খেয়ে বাঁচে একবার দেখতে ইচ্ছে করে। যদি জল বন্ধ করে দেয়, যদি বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়?”