মমতাপন্থী ও অভিষেকপন্থী ! টিভিতে দলের হয়ে কারা কথা বলবেন?
নতুন চর্চা। দল কি এখন দ্বিধাবিভক্ত? একদিকে মমতা পন্থীরা আর অপরদিকে অভিষেকপন্থীরা? ২০২৬ এর বিধানসভা ভোট। সংসার সাজাতে শুরু করেছে তৃণমূল। বিজেপি যখন সদস্য সংগ্রহ করতে নাকানিচোবানি খাচ্ছে তখন তৃণমূলের একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। প্যানেলিস্টদের তালিকা। অর্থাৎ যারা তৃণমূলের হয়ে বিভিন্ন টিভিতে গিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের জবাব দেবেন সেই তালিকা প্রকাশ। সেই তালিকায় কয়েকটি পরিচিত মুখ বাদ পড়েছে। বাদ পড়া অরূপ চক্রবর্তী ফেসবুকে একটা পোস্ট করেছিলে, লেফট জব। অর্থাৎ তৃণমূলের মুখপাত্রের কর্তব্য পালনে তিনি আর নেই। অভিষেকপন্থীদের সেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অনেকের ধারনা।
তালিকায় বাদ পড়েছেন অরূপ চক্রবর্তী, ঋজু দত্ত, সুদীপ রাহা, কোহিনুর মজুমদার। নতুন তালিকায় যুক্ত হয়েছেন জয়া দত্ত, মোশারফ হোসেন, সন্দীপন সাহারা। জাতীয় কর্মসমিতির মিটিংয়ের পরে অত্যন্ত সুকৌশলে তৈরি তালিকায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছেন মমতাপন্থীরা। এতদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলে ধরার জন্য নানা পথ নিয়েছিলেন তাঁদের কার্যত পেছনের বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। একাধিক দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই জায়গায় একাধিক নতুন মুখ আনা হয়েছে যাঁরা কেবলমাত্র ও একমাত্র মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের প্রতি তাঁদের বিশ্বাসকে প্রমাণ করেছেন।
টিভিতে টিভিতে বিতর্ক সভা বা সমস্ত ডিবেট শো তে রাজ্যের সার্বিক বিষয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেবেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, কলকাতার কাউন্সিলর বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী, শ্রমিক নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের আইটি সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য, টিএমসিপির প্রাক্তন সভানেত্রী জয়া দত্ত, মৃত্যুঞ্জয় পাল. সন্দীপন সাহা, প্রদীপ্ত মুখোপাধ্যায়, ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেন, প্রাক্তন বিধায়ক দীনেশ বাজাজ ও তন্ময় ঘোষ।