কলকাতার দলেই ব্রাত্য বাংলার ক্রিকেটাররা! কেকেআর না রাখলেও, বঙ্গ ক্রিকেটারদের জন্য ঝাঁপালেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা?
বাংলার ক্রিকেটারদের উপর শহরের দল কেকেআরের বরাবরই অনীহা। অতীতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, লক্ষ্মীরতন শুক্লা, দেবব্রত দাস, মনোজ তিওয়ারিরা নাইট রাইডার্সের জার্সি গায়ে চাপালেও সাম্প্রতিক অতীতে কোনও বঙ্গ সন্তানকে দলে নেওয়ার যোগ্য মনে করেনি নাইট ম্যানেজমেন্ট। এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না। এবারেও বাংলার হয়ে খেলা কোনও ক্রিকেটারের জন্য বিড করল না নাইটরা। বাংলার মোট ১৩ জন ক্রিকেটার নাম লিখিয়েছিলেন নিলামে।
কেকেআর বিড না করলেও বাংলার জার্সিতে খেলা একাধিক ক্রিকেটারকে দলে নিল একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি। মুকেশ কুমার মোটা দরে দল পেলেন। ভালো দাম পেলেন অলরাউন্ডার আকাশদীপও। মুকেশ কুমার গত আইপিএলে খেলেছেন দিল্লির হয়ে। আগামী মরশুমেও তাঁকে দিল্লির জার্সিতেই দেখা যাবে। ৮ কোটি টাকার বিরাট অঙ্কে ক্যাপিটালসর দলে। নিলাম টেবিলে মুকেশকে নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে গিয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস, এবং পাঞ্জাব কিংসের মধ্যে। প্রথমে তাঁকে ৬ কোটিতে পেয়ে যায় পাঞ্জাব। দিল্লি আরটিএম করে তাঁকে দলে নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত ৮ কোটিতে আরটিএম করে দিল্লি নিয়ে নেয় মুকেশকে।
ভারতীয় টেস্ট দলে প্রায় নিয়মিত খেলা বাংলার আর এক পেসার আকাশদীপকে নিয়ে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি আগ্রহ দেখাল। বাংলার এই পেসারকে দলে নিতে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখালেন কলকাতার শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। লখনউ সুপার কিংস আকাশদীপকে কিনল ৮ কোটিতে। আর এক বাংলার ক্রিকেটার শাহবাজ আহমেদের জন্যও ঝাঁপালেন গোয়েঙ্কা। আরসিবিতে খেলে যাওয়া অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদকে তিনি কিনে নিলেন ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায়। বাংলার পেসার মহম্মদ সামি প্রথম দিনই ১০ কোটি টাকায় সানরাইজার্সে। প্রথম সারির এই চার তারকা ছাড়া বাংলার আর কোনও তারকার কপালে শিকে ছেঁড়েনি। ঈশান পোড়েল, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, সুদীপ কুমার ঘরামি, ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়, প্রয়াস রায় বর্মনরা দল পাননি। সব মিলিয়ে বাংলায় খেলে যাওয়া মোট ১৩ জন ক্রিকেটার নাম লিখিয়েছিলেন নিলামে। দল পাওয়া চারজনই ভালো দরে দল পেয়েছেন। বলা ভালো বাংলার ক্রিকেটার নন আইপিএলে অনন্য নজিরের মালিক জয়দেব উনাদকাট পেলেন ১ কোটি।