‘কেউ বিদেশি নয়, সবাই পরিবার’, মোহনবাগানের ম্যাচে এশিয়ার সর্ববৃহৎ টিফোর সাক্ষী যুবভারতী
![Tifo](https://rknewz.com/wp-content/uploads/2024/11/2a-4.jpg)
মোহনবাগানের সমর্থকেরা ইতিহাস গড়লেন! যুবভারতী দেখল এশিয়ার সবচেয়ে বড় টিফো। ‘কেউ বিদেশি নয়, সবাই পরিবার’। সবুজ-মেরুন পরিবারকে অনন্য সম্মান মেরিনার্স এরিনার। ম্যাচ শুরুর আগে প্রেস বক্সের ঠিক উলটো দিক থেকে সুবিশাল টিফো। টিফোর দিকে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে ছিলেন আলবার্তো রডরিগেজ আর টম অলড্রেড। বিষয় ভাবনার অভিনবত্বে ভরা এই টিফোর আয়তন ১২ হাজার ৬০০ স্কোয়ার ফুট! মোহনবাগান ফ্যান ক্লাব মেরিনার্স এরিনার তরফ থেকে এই টিফো তৈরি করা হয়েছিল জামশেদপুর ম্যাচে। মোহনবাগানের বিদেশি ফুটবলারদের উজ্জ্বীবিত করার জন্য বেশ কয়েকটি শব্দ লেখা, “আমাদের ভালোবাসা তোমাদের মুখে হাসি ফোটাবে।” ক্যাচলাইন ছিল সেখানে, লেখা ছিল, “হোম অ্যাওয়ে ফ্রম হোম”সেখানে মোহনবাগানের সব বিদেশিদের ছবি আঁকা।
যেহেতু বিদেশি ফুটবলাররা দিনের পর দিন পরিবার ছেড়ে এদেশে এসে ফুটবল খেলছেন। তাদের মানসিকভাবে চাঙ্গা করতেই মেরিনার্স এরিনার প্রয়াস। ১১ কেরালা ব্লাস্টার্সের ফ্যান ক্লাব মাঞ্জাপাড্ডা যে বিশাল টিফো তৈরি করেছিল তার আয়তন ছিল ১১ হাজার ৭৫২ বর্গ স্কোয়ার ফুট। মেরানর্স এরিনার এই সুবিশাল টিফো ছাপিয়ে গিয়েছে আগের সেই সব টিফোদের। তৈরি করতেও খরচ হয়েছে দেড় লক্ষ টাকার বেশি।
ম্যাচ শেষে হাসি মুখে মাঠ ছাড়তে ছাড়তে টম অলড্রেড প্রশংসা করে গেলেন এই টিফোর। বললেন, তাঁর মা ও এই সমর্থকদেরই গোল উৎসর্গ করেছেন। মোহনবাগান অধিনায়ক শুভাশিস বসু বলছিলেন, এই ধরনের টিফো ফুটবলারদের সঙ্গে সমর্থকদের একাত্মতা বাড়ায়। মেরিনার্স এরিনার সিইও কৌস্তভ দেবনাথ বলছিলেন, “মোহনবাগান মাঠেও সেরা, আবার ভাবনা চিন্তাতেও সেরা। এই কথাটা আমাদের সৃঞ্জয় বোস বলেছিলেন। ওনার কথাতেই এই টিফো তৈরি করার সাহস দেখিয়েছি আমরা। এই ইতিহাস তৈরির দিন দল জিতেছে আনন্দ বেড়ে গেল অনেকটাই।” এর আগে ২০২২ সালে মাঞ্জাপাড্ডা নামের এক ফ্যান ক্লাব কেরালা ব্লাস্টার্স ম্যাচে ১১ হাজার ৭৫২ বর্গ স্কোয়ার ফুটের টিফো বানিয়েছিল। চলতি আইএসএলে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের সমর্থকরা মুম্বই সিটিএফসির ম্যাচে ১২ হাজার ৩৭৫ বর্গ স্কোয়ার ফুটের টিফো নামিয়েছিলেন। শৈলেন মান্নার শতবর্ষ উপলক্ষ্যে তৈরি হয়েছিল একটি টিফো। আর সেই সবকিছুকেই যেন শনিবাসরীয় রাতে ছাপিয়ে গেল মোহনবাগান সমর্থকরা। বিষয় ভাবনা নিয়ে কৌস্তুভ আরও জানান, “এই বিদেশিরা দেশ ছেড়়ে, পরিবার ছেড়ে আমাদের আনন্দ দিচ্ছে। এই প্রয়াস ওদের পাশে দাঁড়ানোর।” আরজিকর ইস্যুতে দুই প্রধানের ভক্তদের এক করার পিছনেও এই টিফোর বড় ভূমিকা ছিল। প্রতিবাদের গর্জন হযেছিল এই টিফো। খেলার মাঠে এই টিফো দিয়ে প্রতিবাদের আগুনকে আরও জ্বালিয়েছিল। যুবভারতী স্টেডিয়ামে নির্যাতিতার বিচার চেয়ে বড় টিফো।