পাঁচ মাস ধরে মহাকাশে সুনিতা উইলিয়ামস! ফিরতে হয়ে যেতে পারে পরের বছর, কী কী খাচ্ছেন!

জল্পনা! ক্রমাগত ওজন কমছে সুনিতার। উইলিয়ামস জানান, তাঁর চেহারার পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। ভালোই আছেন। পাঁচ মাস ধরে মহাকাশে আটকে সুনিতা উইলিয়ামস। পৃথিবীতে ফিরতে হয়ে যেতে পারে পরের বছর। নাসার মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামসের স্বাস্থ্যের অবনতি প্রসঙ্গে গুঞ্জন। বিশেষ করে, সুনিতা ও তাঁর সহকর্মী মহাকাশচারী বাচ উইলমোরের কিছু ছবি উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল চিকিৎসকদের। মহাকাশে পৃথিবীর মতো দৈনন্দিন খাবারের যোগান নেই।

কী খেয়ে কাটাচ্ছেন সুনিতারা? কোন খাবারে পুষ্টি পাচ্ছেন? ১৮ নভেম্বর, এক তথ্যে প্রকাশ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর পিৎজা, রোস্ট চিকেন এবং চিংড়ি ককটেল উপভোগ করছেন। নভোচারীদের স্বাস্থ্যকর খাদ্যের যোগান সীমিত। স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করার জন্য খুব বেশি তাজা খাবার অবশিষ্ট নেই। নাসা নিশ্চিত করেছে যে প্রতিদিন প্রত্যেক মহাকাশচারীর জন্য ৩.৮ পাউন্ড খাবার পাওয়া যায়। এছাড়াও, অপ্রত্যাশিতভাবে মিশনের দিন বাড়ানোর প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত খাদ্য সরবরাহও রয়েছে। মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং উইলমোরের জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে বিভিন্ন ধরণের খাবার রয়েছে। যেমন গুঁড়ো দুধ, পিৎজা, রোস্ট চিকেন, চিংড়ি ককটেল এবং টুনা সহ নানান লোভনীয় খাবার। নাসার মেডিকেল টিমও নিশ্চিত করছে যে তাঁরা সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত ক্যালোরি পাচ্ছেন। নাসার শেয়ার করা একটি ছবিতেও ৬১ বছরের উইলমোর এবং ৫৯ বছরের উইলিয়ামস আইএসএস-এ জমিয়ে ভোজনপর্বের ছবি।

বিশেষজ্ঞ জানান, খাবারের অভাবে সুনিতা উইলিয়ামস এবং বাচ উইলমোরের ওজন হ্রাস হয়নি। তবে, আইএসএস-এ তাজা ফল ও সবজির অভাব তো রয়েছে। মিশনের শুরুতে, তাঁদের কাছে তাজা ফল ছিল। কয়েক মাস পরে, এটি ফুরিয়ে যায়। এখন প্যাকেজ করা বা ফ্রিজে শুকোনো শুকনো ফল এবং সবজি খাচ্ছেন। স্যুপ, স্ট্যু এবং ক্যাসারোলের মতো খাবার গরম করার জন্য জলের প্রয়োজন। এর জন্য স্পেস স্টেশনে ৫৩০-গ্যালন তাজা জলের ট্যাঙ্ক থেকে জল ব্যবহার করে থাকেন মহাকাশচারীরা। মজার বিষয় হল, এমনকি মহাকাশচারীদের প্রস্রাব এবং ঘামও আইএসএস-এ পুনর্ব্যবহার বা রিসাইকেল করা হয়। নাসা সতর্কতার সঙ্গে আটকে পড়া দুই মহাকাশচারীর পরিস্থিতি নজরে রাখছে। আশা রয়েছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্পেসএক্স ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলে তাঁদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে নাসার।