January 14, 2025

চুম্বন থেকে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে কোনও ছুতমার্গ রাখেননি হিয়া, কেউ আমার প্রতিভা দেখতে চাইছে না, বলছে ‘ওইটা’ করতে পারব কি না!

0
Hiya Roy

সব জায়গা থেকে অনেক কুপ্রস্তাব। শুনতে হয়েছে, ‘মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরলে কাজ পাবে না। সাবইকে আপোস করতে হয়। যত বড় অভিনেত্রী আছে সবাই এ ভাবেই বড় হয়েছে। কেউ আমার প্রতিভা দেখতে চাইছে না, বলছে ‘ওইটা’ করতে পারব কি না!’‌ ২০১৯ সাল থেকে একটু একটু করে কাজ। অডিশন কলকাতায়, কখনও একা, কখনও মাকে নিয়ে। টলিপাড়ায় এত ব্যাঙের ছাতার মতো প্রযোজনা সংস্থা আছে যা নবাগতদের বিভ্রান্ত করে। যাঁদের কিছু করার নেই, তাঁরা তো বিশ্বাস করে।

মফস্‌সল থেকে কলকাতায় স্বপ্ন নিয়ে আসা। সাবালক হওয়ার আগেই। ইচ্ছে ছিল অভিনেত্রী হওয়ার। মাত্র ১৯ বছরেই এমন সব অভিজ্ঞতা হল যে থমকে যেতে বাধ্য হলেন নিজেই। একটা বিরতি নিয়ে ফের নতুন করে চেষ্টা করা শুরু। অনির্বাণ ভট্টাচার্যের ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ ছবিতে সুযোগ। সে তো কয়েক সেকেন্ড মাত্র। তাতেই কেল্লাফতে! একেবারে নায়িকার চরিত্র উঠে এল হাতে। ‘তালমার রোমি জুলিয়েট’ সিরিজে জাহানারার চরিত্র। নায়িকা হিসাবে প্রথম কাজ, তাতেই পর্দায় সাহসিনী। চুম্বন থেকে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে কোনও ছুতমার্গ রাখেননি হিয়া রায়। এখন অভিনেত্রী। সিরিজের পোস্টারে নিজেকে দেখে ভাল লাগছে। লোকজন রাস্তায় চিনতে পেরে এগিয়ে আসছেন। বাবা-মাকে লোকজন জিজ্ঞেস করছে। তাঁরা গর্ব অনুভব করছেন।

ছোটবেলা থেকে চাকুরিজীবী পরিবারে বড় হয়ে ওঠা। বাবা আয়কর দফতরের আধিকারিক। কারও সাহায্য নয়। যা করেছেন নিজের চেষ্টায়। বাবার আপত্তিও ছিল। প্রথম দিকে মোটেও চাইতেন না এই পেশায় আসি। চাইতেন সরকারি চাকরি। প্রস্তুতির জন্য বিশেষ ক্লাসেও গিয়ে এক মাস করেই মন বসাতে না পেরে ফিরে আসা। ‘জাতিস্মর’ সিরিজে একটা পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়। এসভিএফের একটা ধারাবাহিক সদ্য শুরু করার পরই অডিশনের ডাক।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed