February 11, 2025

পার্থর অপা’‌র ‘‌অ’‌‌ ছাড়া পেলেও ‘‌প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী’‌ এখনও জেলেই!‌ প্যারোলে মুক্তি পেলেন অর্পিতা, মায়ের মৃত্যুর জেরে নির্দেশ দিল আদালত,

0
Partha Apa

দ্রুতই খোলা আকাশের নীচে আসবেন অপা’‌র ‘‌অ’‌। পার্থর জামিন হয়নি। বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় প্যারোলে মুক্ত। পার্থর বিয়য়টা এখনও বিচারাধীন। বিচারপতিদের মতপার্থক্যে এখন তা তৃতীয় বেঞ্চে শুনানি হবে। সেখানে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া আর এই প্যারোলে মুক্তির আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। সেক্ষেত্রে দ্রুতই খোলা আকাশের নীচে আসবেন অপা’‌র ‘‌অ’‌। যেহেতু অর্পিতার মায়ের মৃত্যু হয়েছে তাই বিশেষ আদালত বৃহস্পতিবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে পাঁচদিনের জন্য প্যারোলে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে। অর্পিতার কাছ থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর বিদেশি মুদ্রা-সোনার গয়নাও। উৎস অর্পিতা বলতে পারেননি। কোনও বৈধ নথিও দেখাতে পারেননি। আদালতে দেখা হতে পার্থ ভালবাসার বার্তা দেন অর্পিতাকে। মুচকি হেসে তা গ্রহণ করেন অর্পিতা। তারপর কেটে যায় প্রায় দু’বছর চার মাস। নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সিবিআইও।

তবে, পাঁচদিনের মুক্তির পর আবার ফিরতে হবে জেলে। পাঁচদিন অর্পিতার জীবনে একটা বড় মুক্তির স্বাদ। ২০২২ সালের ২৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয়েছিল তৎকালীন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ–বান্ধবী’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। ইডি তাঁদের গ্রেফতার করেছিল। তবে সেখানেই ঘটনা থেমে থাকেনি। তারপর অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি অফিসাররা। তখনই টালিগঞ্জের ‘ডায়মন্ড সিটি’ আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। যা গুণতে মেশিন আনতে হয়েছিল। বেশ কয়েকটি ট্রাঙ্ক পর্যন্ত আনা হয় ওই টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ওই টাকা তাঁর নয় বলে দাবি করেছিলেন। অর্পিতাও ওই টাকা তাঁর নয় বলে দাবি করেন। তাহলে ওই টাকা কার?‌ প্রশ্ন উঠেছিল। ইডি সূত্রে খবর, ওই টাকা নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে উপার্জিত। যা রাখা হয়েছিল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে। তারপরই ২০২২ সালেরই ২৭ জুলাই বেলঘরিয়ার ‘ক্লাব টাউন হাইট্‌স’ আবাসনে অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা নগদে বাজেয়াপ্ত করা হয়। অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাট থেকে নগদে মোট ৪৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং ৫ কোটি ৮ লাখ টাকার গয়না উদ্ধার হয়েছিল। সঙ্গে সাতটি বিদেশের মুদ্রাও। উদ্ধার হয় প্রচুর বিদেশি মুদ্রা এবং সোনার গয়নাও। যার উৎস অর্পিতা বলতে পারেননি। এমনকী কোনও বৈধ নথিও দেখাতে পারেননি। আদালতে দেখা হতে পার্থ ভালবাসার বার্তা দেন অর্পিতাকে। মুচকি হেসে তা গ্রহণও করেন অর্পিতা। তারপর কেটে যায় প্রায় দু’বছর চার মাস। নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে আরও একটি কেন্দ্রীয় এজেন্সি—সিবিআই। পার্থ–অর্পিতা শান্তিনিকেতনে থাকা বাংলো ‘‌অপা’‌ এখনও আছে। বেলঘরিয়াতে থাকতেন অর্পিতার মা। তাঁর পারলৌকিক কাজে যোগদানের জন্য প্যারোলে মুক্ত অপা’‌র ‘‌অ’‌‌। ‘‌পা’ পার্থ অর্থাৎ রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী আপাতত জেলেই?‌‌

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed