ফের অগ্নিকাণ্ড কসবার অ্যাক্রোপলিস মলে, পাঁচ মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার আগুনে আতঙ্ক
সোমবার সকাল প্রায় সাড়ে ১০টা। অ্যাক্রোপলিস মলের অফিসগুলিতে সবে কর্মীরা আসতে শুরু করেছিলেন। মলের বিভিন্ন দোকানের কর্মীরাও হাজিরা দিচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পরই ব্যাপক আতঙ্কের পরিবেশ। আগুন লেগেছে বলে শোনা যায়। মলের সমস্ত কর্মী, অফিসকর্মীদের বের করে পুরোপুরি ফাঁকা করে দেওয়া হয় গোটা চত্বর। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আশপাশ। রাস্তায় ভিড় জমে যায়। যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হয়। দমকলের ইঞ্জিন প্রাথমিকভাবে আগুন নিভিয়ে ফেললেও বিভিন্ন জায়গায় পকেট ফায়ার রয়েছে। চারতলার ফুড কোর্ট থেকে আগুন লেগেছে, দমকলের তরফে এই খবর জানার পরই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফুড কোর্টটি।
১৪ জুনেও কসবার নামীদামি শপিং মল অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী ছিল। চারতলার একটি বুক স্টোর থেকে আগুন লাগে। ধীরে ধীরে ফুড কোর্টে ছড়াতেই গল গল করে ধোঁয়া বেরতে দেখেন পথচলতি মানুষজন। মল খালি করে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ করেছিল দমকল বাহিনী। দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন পৌঁছেছিল ঘটনাস্থলে দীর্ঘ ক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডের ফলে শপিং মলের বিস্তর ক্ষতি হয়। পুরো শপিং মলকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছিল। উঠেছিল মলের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন। ওই শপিং মলের কোনও অংশে গাফিলতি ছিল কি না, কেন আগুন লাগল, ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থা কতখানি সক্রিয় কতটা ছিল, ফায়ার এগজ়িট ঠিকঠাক ছিল না। সে বিষয় নিয়েই তদন্ত করে দমকল। মলের ওই বহুতলে অনেক অফিসও রয়েছে। সে সময় সে গুলিও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে দমকল এবং পুরসভার থেকে ছাড়পত্র নিয়ে মেরামতির কাজ করেন অ্যাক্রোপলিস কর্তৃপক্ষ। তার পর ধাপে ধাপে ‘শপিং মল’ খোলা হয়।পাঁচমাসের মধ্যে ফের একই দুর্ঘটনা। মলের অগ্নিনির্বাপণ পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে?