আগুন ঝরালেন মহম্মদ সামি! তিন পয়েন্ট নিশ্চিত বাংলার, ৪ উইকেট নেওয়া বাংলার পেসারের সামনে দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বলে হ্যাটট্রিক করার সুযোগ
ছন্দে ফিরছেন মহম্মদ সামি। প্রথম দিনে ১০ ওভার বল করে উইকেট পাননি সামি। এরপর ৪ উইকেট তুলে নেন। দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বলে হ্যাটট্রিক করার সুযোগও রয়েছে। শুরু হয় মহম্মদ সামির গতির খেলা। ১৭ রানের মধ্যেই বাকি তিন উইকেট নিয়ে নেন। প্রথমে সারাংশ জৈনকে বোল্ড করলেন। এরপরে কুমার কার্তিকেয়নকে আউট করেন। শেষে কুলবন্ত খেজরোলিয়াকে বোল্ড করে চার উইকেট সংগ্রহ করেন মহম্মদ সামি। ইনিংসের শেষ দুই বলে দুটো উইকেট তুলেছিলেন সামি। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে হ্যাটট্রিক করার হাতছানি মহম্মদ সামির সামনে। সামির এই পারফরমেন্সে মধ্যপ্রদেশের প্রথম ইনিংস ১৬৭ রানেই শেষ হয়ে যায়। প্রথম ইনিংসে ৬১ রানে এগিয়ে ছিল বাংলা। ইতিমধ্যে ৩ পয়েন্ট পাকা করেছে বাংলা দল। ইনদওরে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে অনেকটাই স্বস্তিতে বাংলা দল।
কোচ লক্ষ্মী মনে করছেন, আরও কয়েকটি ম্যাচ খেললেই পুরনো শামিকে পাওয়া যাবে। রঞ্জি ট্রফিতে বাংলা দ্বিতীয় দিনের শেষে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে এগিয়ে ২৩১ রানে। বাংলা বনাম মধ্যপ্রদেশ ম্যাচের দিকে নজর রয়েছে গোটা দেশের। এই ম্যাচে খেলছেন সামি। গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিলেন। তার পর আবার প্রথম বার কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে নেমেছেন সামি। তিনি কতটা সুস্থ তা দেখার জন্য জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ফিজিয়ো রয়েছেন ইনদওরে। বাংলার কোচ লক্ষ্মীর কথায়, “সামি ভাল বল করেছে। তবে এখনও পুরোপুরি ছন্দে ফিরতে সময় লাগবে। প্রথম দিন ১০ ওভার বল করেছিল, বৃহস্পতিবার করল আরও ৯ ওভার। আরও কয়েকটা ম্যাচ খেললে পুরনো ছন্দে পাওয়া যাবে ওকে। ম্যাচ এখনও অনেক বাকি। অন্তত আরও ১০০ রান প্রয়োজন। মধ্যপ্রদেশ বড় দল। ওদের সহজে হারিয়ে দেব ভাবলে ভুল হবে। প্রথম ইনিংসে ওদের ১০ উইকেট তুলে নিতে পেরেছি মানে দ্বিতীয় ইনিংসেও পারব এমনটা নয়। আমাদের ম্যাচ থেকে মনোযোগ হারালে চলবে না।”
প্রথম ইনিংসে বাংলা ২২৮ রান করে। শাহবাজ আহমেদ ৯২ রান করেছিলেন। বল হাতে মধ্যপ্রদেশকে ১৬৭ রানে থামিয়ে দেয় বাংলা। সামি নেন ৪ উইকেট। দু’টি করে উইকেট নেন সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল এবং মহম্মদ কইফ। একটি উইকেট নেন রোহিত কুমার। এই ম্যাচে একই সঙ্গে খেলছেন সামি এবং তাঁর ভাই কইফ। এই প্রথম তাঁরা একসঙ্গে কোনও ম্যাচ খেলতে নেমেছেন। বাংলার ওপেনার সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ে আঙুলে চোট পেয়েছিলেন। যে কারণে তিনি কিছু ক্ষণের জন্য মাঠ ছাড়েন। মধ্যপ্রদেশের ইনিংস শেষ হয় তখনই। নিয়ম অনুযায়ী এক জন ফিল্ডার যত ক্ষণ মাঠের বাইরে থাকবেন, তত ক্ষণ পরে তিনি ব্যাট করতে নামতে পারবেন। যে কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেন করতে পারেননি সুদীপ। সেই জায়গায় শুভম দে-র সঙ্গে ওপেন করেন সুদীপ ঘরামি। তবে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের চোট গুরুতর না থাকায় তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৪০ রান করেন। ঘরামিও ৪০ রান করেন। দিনের শেষে বাংলা ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান। আরও ১০০ রান চাইছেন কোচ। ক্রিজে রয়েছেন অভিজ্ঞ ঋদ্ধিমান সাহা এবং ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়।