৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে হাওড়া সেতু! শনির রাত থেকে বিকল্প পথে যাতায়াত

স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে হাওড়া সেতুর। তার জন্য শনিবার রাতে পাঁচ ঘণ্টা সেতুতে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হবে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে তা জানিয়ে দেওয়া হল শুক্রবার। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টে পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকবে হাওড়া সেতুতে। এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর কর্তৃপক্ষের ইঞ্জিনিয়ারেরা। ওই পাঁচ ঘণ্টা কোন পথে যাতায়াত করা যাবে, তা-ও বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দিয়েছে হাওড়া পুলিশ।হাওড়া ব্রিজে আরও একবার যান চলাচল বন্ধ হচ্ছে বেশ কিছুটা সময়ের জন্য। কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, শনিবার অর্থাৎ ১৬ নভেম্বর, রাত ১১.৩০ মিনিট থেকে রবিবার, ১৭ নভেম্বর ভোরবেলা সাড়ে ৪ টে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ব্রিজে যান চলাচল। ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এই যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
যে সমস্ত গাড়ি হাওড়া ব্রিজ পার করে কলকাতার দিকে যেতে চাইছে, সেগুলিকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দিকে ঘোরানো হবে। অর্থাৎ সেগুলি বিদ্যাসাগর সেতু দিয়ে যাবে। এগুলি আরবি সেতু-বার্ন স্ট্যান্ডার্ড মোড়- ফরশো রোড- কাজিপাড়া রুটে যাবে। যে গাড়িগুলি দক্ষিণ হাওড়া বা পশ্চিম হাওড়া থেকে উত্তর কলকাতার দিকে যাবে, তারা নিবেদিতা সেতু বা বালিব্রিজের রাস্তা নিতে পারে। সেক্ষেত্রে রুট হল, এইচআইটি ব্রিজ-গোলবাড়ি পুলিশ থানা ক্রসিং-জিটি রোড- দোবোসন রোড-জিটিরোড বা সিএম ব্রিজ-জিটি রোড।
গঙ্গার উপর হাওড়া ব্রিজ লোহার কাঠামো ও স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। ফলে সেগুলি কেমন অবস্থায় রয়েছে সেগুলি খতিয়ে দেখবে পোর্ট কর্তৃপক্ষ। আর সেই কারণেই এই ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এই হাওড়া ব্রিজের মূল নাম হয়েছিল নিউ হাওড়া ব্রিজ। এটি কমিশনড হয়েছিল ১৯৪৩ সালে। হাওড়া ও কলকাতাকে সংযুক্ত করতে এই ব্রিজ তৈরি হয়। উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে, ১৮৬২ সালে, তৎকালীন বাংলায় থাকা সরকার, ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কোম্পানির প্রধান প্রকৌশলী জর্জ টার্নবুলকে হুগলি নদীর সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা অধ্যয়ন করতে বলে। তিনি তখন সম্প্রতি হাওড়ায় কোম্পানির রেল টার্মিনাস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি ১৯ মার্চ, বড় আকারের অঙ্কন এবং অনুমান সহ রিপোর্ট করেন। তারপর বহু ধাপ ও অধ্যায় পার করে হাওড়া ব্রিজের নির্মাণ শুরু হয়। এই ব্রিজ নির্মাণে লেগে ছিল ২৬,৫০০ টন স্টিল। সেই স্টিল সরবরাহ করে টাটা স্টিল।