প্রাক্তন ডেমোক্র্যাট আমেরিকার প্রথম হিন্দু গোয়েন্দা অধিকর্তা, ‘আমার প্রিয় বন্ধু তুলসী গ্যাবার্ডকে আন্তরিক অভিনন্দন’, লিখলেন মোদী
ভারতের প্রতি নিজের পক্ষপাতিত্বের কথা বলেন প্রকাশ্যেই। হিন্দুধর্ম তাঁর মতে শ্রেষ্ঠ ধর্ম! গীতা শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ। তাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একদা গীতা উপহার দিয়ে খবরের শিরোনামও হয়েছিলেন। আমেরিকার কংগ্রেসের প্রাক্তন ডেমোক্র্যাট সদস্য সেই তুলসী গ্যাবার্ডকে এ বার দেশের গোয়েন্দা বিভাগের নতুন অধিকর্তা (ডিএনআই বা ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স) নিয়োগ করলেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তুলসী নাম দেখে অনেকে তাঁকে ‘ভারতীয় বংশোদ্ভূত’ ভেবে ভুল করেন। তাঁর সঙ্গে ভারতের কোনও সম্পর্ক নেই। আমেরিকার কংগ্রেসের একমাত্র হিন্দু সদস্য তুলসী ভারতীয় বংশোদ্ভূত সমাজে যথেষ্ট জনপ্রিয়। ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ‘বর্ণবিদ্বেষী’ কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ছেড়েছিলেন। ২০২০ সালে বাইডেনের সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে শামিল হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অন্দরে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েছিলেন তুলসী। ফ্লরিডা প্রদেশ থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য ম্যাট গিৎজকে অ্যাটর্নি জেনারেল পদেও মনোনীত করেছেন ট্রাম্প।
মার্কিন গোয়েন্দা অধিকর্তা তুলসী গ্যাবার্ডকে শুভেচ্ছা বার্তা জানালেন নরেন্দ্র মোদী। তুলসী গ্যাবার্ডকে লেখা শুভেচ্ছা বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লেখেন,’আমার প্রিয় বন্ধু তুলসী গ্যাবার্ডকে আন্তরিক অভিনন্দন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক হিসাবে তার ঐতিহাসিক নিয়োগের জন্য! ‘ এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী লেখেন,’তুলসীর হিন্দুমতে বিশ্বাস এবং মূল্যবোধকে গর্বিতভাবে আপন করে নেওয়া সর্বদা আমাদের মধ্যে গভীর সংযোগের উৎস, ভারতের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের সেতু হিসাবে কাজ করে।’ এককালের ডেমোক্র্যাট প্রার্থী তুলসী পরবর্তীতে ট্রাম্পের একনিষ্ঠ সমর্থক হন। ট্রাম্প সরকারে আসতেই তুলসী হয়ে গেলেন ট্রাম্প সরকারের গোয়েন্দা বিভাগের অধিকর্তা। তুলসীর দায়িত্বে থাকবে আমেরিকার ১৮ টি গোয়েন্দা এজেন্সি। এই তুলসী গ্যাবার্ডকে নিয়ে নরেন্দ্র মোদী লেখেন,’ভারত সর্বদা তাঁর অটল নেতৃত্ব এবং গণতান্ত্রিক নীতি রক্ষার প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেছে।’ মোদী এরইসঙ্গে লেখেন,’ আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে, ডিপ স্টেটকে ভেঙে ফেলার জন্য কাজ করবেন, যা শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই নয়, বরং সমগ্র বিশ্বের জন্য হুমকিস্বরূপ- ভারতে এই ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। ‘
গ্যাবার্ডকে এই দায়িত্বে নিয়োগ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট শুভেচ্ছা বার্তায় লেখেন,’ নির্ভীক চেতনা যা আমাদের গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের কাছে তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবনকে সংজ্ঞায়িত করেছে।’ উল্লেখ্য, রাশিয়া বনাম ইউক্রেন সংঘাতের মাঝে ইউক্রেনকে আমেরিকার সমর্থনের বিরোধিতা করেছিলেন গ্যাবার্ড। আমেরিকান সামোয়া লুখিলোয়ালাতে ১৯৮১ সালের ১২ এপ্রিল গ্যাবার্ড। তাঁর বাবা মাইক গ্যাবার্ডও ছিলেন রাজনীতিবিদ। এককালে রিপাবলিকান থেকে ডেমোক্র্যাটসদের দিকে চলে আসেন। ছিলেন সেনেটারও।